দুই দিনের ব্যবধানে কাঁচা মরিচের দাম আরও বেড়েছে। চাহিদার তুলনায় আমদানি কম এবং দুর্গাপূজা উপলক্ষে ছয় দিন আমদানি বন্ধ থাকায় নিত্যপ্রয়োজনীয় এই পণ্যের দাম বেড়েছে বলে দাবি দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরের আমদানিকারকদের।
হিলি বন্দরে দুই দিন আগেও প্রতিকেজি কাঁচা মরিচ পাইকারিতে ৭০ টাকা বিক্রি হচ্ছিল। বর্তমানে দাম বেড়ে ৯০ থেকে ৯৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। দাম বাড়ায় বিপাকে পড়েছেন বন্দরে মরিচ কিনতে আসা পাইকার ও সাধারণ ক্রেতারা।
ব্যবসায়ী আসা আব্দুস সাত্তার বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, গত বৃহস্পতিবার হিলি বন্দর থেকে কাঁচা মরিচ কিনে নিয়ে গেলাম ৭০ টাকা কেজি দরে। আজ (শনিবার) কাঁচা মরিচ কিনতে এসে দাম শুনি বেড়ে গেছে। কেজিপ্রতি ২০ থেকে ২৫ টাকা বেড়ে ৯০ থেকে ৯৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
হিলি বন্দরের কাঁচা মরিচ আমদানিকারক আনোয়ার হোসেন বলেন, দেশের বাজারে কাঁচা মরিচের দাম নিয়ন্ত্রণে ভারত থেকে আমদানি করা হচ্ছে। তবে দেশটিতে বন্যার কারণে সরবরাহ কম থাকায় মরিচের দাম বাড়তি ছিল। এতে দেশের বাজারেও দাম বেড়েছে। বর্তমানে ভারতে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় সরবরাহ বাড়ছে। বন্দর দিয়েও কাঁচা মরিচ আমদানি বেশি হচ্ছে। তবে অতিরিক্ত গরমের কারণে আমদানি মরিচের মান খারাপ হয়ে যাওয়ায় দাম বাড়ছে।
তিনি আরও বলেন, এক কেজি কাঁচা মরিচের শুল্ক পরিশোধ করতে হচ্ছে ২৬ টাকার মতো। এদিকে দুর্গাপূজার কারণে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ছয় দিন আমদানি-রফতানি বন্ধ থাকবে, একইভাবে দেশের অন্যান্য বন্দর দিয়েও পূজার জন্য আমদানি-রফতানি বন্ধ থাকবে। এ সময় বন্দর দিয়ে মরিচ আমদানি বন্ধ থাকায় দেশের বাজারে সরবরাহে ঘাটতি দেখা দেবে। এমন আশঙ্কায় দেশের বিভিন্ন স্থানে মোকামগুলোতে মরিচের ব্যাপক চাহিদা তৈরি হয়েছে। এর ওপর বন্দর দিয়ে কাঁচা মরিচের আমদানি আগের তুলনায় কিছুটা কমেছে। ফলে নিত্যপ্রয়োজনীয় দাম বাড়ছে।
হিলি স্থলবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন বলেন, হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে কাঁচা মরিচ আমদানি অব্যাহত রয়েছে। তবে আমদানি কিছুটা কমেছে। আজ বন্দর দিয়ে ১১টি ট্রাকে ১০২ টন আমদানি হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার বন্দর দিয়ে ১৪টি ট্রাকে ১৪৭ টন মরিচ আমদানি হয়েছিল।