অনলাইন প্লাটফর্ম থেকে পাবজি, ফ্রি ফায়ারসহ ক্ষতিকর গেমস বন্ধের রুলের শুনানিতে পক্ষভুক্ত হতে ফ্রি ফায়ার গেমসের প্রস্ততকারী প্রতিষ্ঠান সিঙ্গাপুরের গ্যারিনা অনলাইন প্রাইভেট লিমিটেড হাইকোর্টে আবেদন জানিয়েছে। আগামী ২৬ অক্টোবর তাদের পক্ষভুক্তির বিষয়ে আদেশের দিন ধার্য করেছেন হাইকোর্ট।
আবেদনটির ওপর শুনানি নিয়ে রবিবার (১০ অক্টোবর) বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে গ্যারিনার আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার জুনায়েদ আহমেদ চৌধুরী ও তানভীর কাদের। আর রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন ব্যারিস্টার হুমায়ন কবির পল্লব।
এর আগে ১৯ জুন অনলাইন প্লাটফর্ম থেকে টিকটক, বিগো লাইভ, পাবজি, ফ্রি ফায়ার গেম তথা লাইকির মতো অনলাইন গেমস এবং অ্যাপস বন্ধে একটি আইনি নোটিশ পাঠানো হয়। তবে সে নোটিশের জবাব না পেয়ে এ রিট দায়ের করা হয়।
গত ২৪ জুন সব অনলাইন প্লাটফর্ম থেকে টিকটক, বিগো লাইভ, পাবজি, ফ্রি ফায়ার গেম তথা লাইকির মতো সব অনলাইন গেমস এবং অ্যাপস অবিলম্বে বন্ধ করার নির্দেশনা চেয়ে এ রিট দায়ের করা হয়। সুপ্রিম কোর্টের দুই আইনজীবী ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ন কবির পল্লব এবং ব্যারিস্টার মোহাম্মদ কাউছার এ রিট দায়ের করেন।
রিটে ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব, বিটিআরসির চেয়ারম্যান, শিক্ষা সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, আইন সচিব, স্বাস্থ্য সচিব এবং পুলিশের আইজিকে বিবাদী করা হয়।
রিটের শুনানি নিয়ে গত ১৬ আগস্ট দেশের অনলাইন প্লাটফর্ম থেকে পাবজি, ফ্রি ফায়ারসহ সব ক্ষতিকর গেমস অবিলম্বে বন্ধের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে সব অনলাইন প্লাটফর্ম থেকে টিকটক, বিগো লাইভ, পাবজি, ফ্রি ফায়ার গেম তথা লাইকির মতো সব ধরনের অনলাইন গেমস এবং অ্যাপস বন্ধে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন আদালত। বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এসব আদেশ দেন।
সেই রিটের রুল শুনানিতে অংশ নিতে হাইকোর্টে আবেদন জানায় সিঙ্গাপুরের গ্যারিনা অনলাইন প্রাইভেট লিমিটেড। তারা আবেদন জানায়, ফ্রি ফায়ার গেমসের অসংখ্য প্লেয়ার বাংলাদেশে রয়েছে। আদালতের আদেশে ফ্রি ফায়ার গেমসের লিংক ব্লক করে দেওয়ার কারণে গ্যারিনা অনলাইন প্রাইভেট লিমিটেড ব্যবসায়িকভাবে সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাই এই রিট মামলায় গ্যারিনা অনলাইন প্রাইভেট লিমিটেড পক্ষভুক্ত হতে চায়।
প্রসঙ্গত, এর আগে একই নির্দেশনা চেয়ে গত ৩০ ডিসেম্বর হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন আইনজীবী মো. জে আর খান রবিন। সে রিট আবেদনটি শুনানির জন্য হাইকোর্টের কার্যতালিকায় অপেক্ষমাণ রয়েছে।