পররাষ্ট্র সচিব বলেন, ‘মুহিবুল্লাহর মতো হত্যাকাণ্ড যেন আর না ঘটে সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। মুহিবুল্লাহর পরিবার ও তার সংগঠনের অন্য সদস্যদের নিরাপত্তা দেওয়ার বিষয় নিয়েও আমরা আলোচনা করেছি।’
ক্যাম্পের ভেতর উত্তেজনা বিরাজ করছে জানিয়ে তিনি বলেন. ‘যারা অপরাধী তাদের চিহ্নিত করা হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষ করে দ্রুত শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।’
যাদের ইতোমধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে তাদের কাছ থেকে তথ্য পাওয়া যাচ্ছে বলেও জানান তিনি।
মুহিবুল্লাহর মৃত্যুতে প্রত্যাবাসনে প্রভাব পড়বে কিনা জানতে চাইলে মাসুদ বিন মোমেন বলেন, ‘বিভিন্ন জনের সঙ্গে কথা বলে যেটা মনে হয়েছে এমন কিছু হবে না। লোকজন এখনও ফিরে যেতে আগ্রহী।’
‘যে প্রতিক্রিয়াশীল গ্রুপ ও দুর্বৃত্ত চক্র সেখানে আছে, তারা নিজেদের আরসা নামধারী বলতে চায়। কিন্তু তারা দুর্বৃত্ত। তাদের কোনও রাজনৈতিক ও মতাদর্শগত ভিত্তি নেই বললেই চলে।’ যোগ করলেন সচিব।
ক্যাম্পে মিয়ানমারের সংস্কৃতি
রোহিঙ্গা যুব সম্প্রদায়কে মিয়ানমারের সংস্কৃতি ও অন্যান্য বিষয়ে জানানোর জন্য বিভিন্ন লার্নিং সেন্টারে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।
পররাষ্ট্র সচিব বলেন, ‘ক্যাম্পে এখন যে লার্নিং সেন্টারগুলো আছে সেখানে মিয়ানমারের জাতীয় সংগীত বাজিয়ে সেটার সঙ্গে তাদের পরিচিত করা হচ্ছে।’
‘যেসব দক্ষতা অর্জন করলে মিয়ানমারে গিয়ে তারা কাজে লাগাতে পারবে সেগুলোই আমরা রোহিঙ্গাদের শেখানোর চেষ্টা করছি।’
রাখাইন উন্নত অঞ্চল নয় জানিয়ে সচিব আরও বলেন, ‘কৃষি, মৎস্য, কাঠ বা ইলেকট্রিকের কাজ শিখলে তারা রাখাইনে গিয়ে কাজ করতে পারবে।’
মাঠ পর্যায়ে সমন্বয়
মাঠ পর্যায়ে কিছু কাজে ডুপ্লিকেশন ও ওভারল্যাপিং আছে। সেগুলো দূর করার চেষ্টা করছে সরকার। এমনটা জানিয়ে পররাষ্ট্র সচিব বলেন, ‘স্থানীয় প্রশাসন ও জাতিসংঘের সংস্থাগুলোর সঙ্গে কথা বলে এটা বুঝতে পেরেছি। আগামীতে ন্যাশনাল টাস্কফোর্স (এনটিএফ)-এর মাধ্যমে এসব নিরসনের চেষ্টা করবো।’
তিনি বলেন, ‘এনটিএফ থেকে আগেও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আগামী এনটিএফ বৈঠক আমরা কক্সবাজারে করতে চাই। কারণ মাঠপর্যায়ের সমস্যা সেখানেই সমাধান করে ফেলা যায়। ঢাকায় বসে সমাধান দিলে তা অনেক সময় কার্যকর হয় না।’
ভাসানচর
পররাষ্ট্র সচিব বলেন, ‘আরও ৮০ হাজারের বেশি রোহিঙ্গা ভাসানচরে যাবে। এতে তিন-চার মাস লাগবে। যারা স্বেচ্ছায় যেতে চায় শুধু তাদেরকেই নিয়ে যাওয়া হবে। ভাসানচরে এখন জাতিসংঘ সম্পৃক্ত হচ্ছে।’