পশ্চিম আফ্রিকার দেশ সেনেগাল থেকে দুটি জাতের মোট ৩৫টি পাখি গাজীপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে আনা হয়েছে। এর মধ্যে ৩০টি সুস্থ। পাখিগুলোকে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।
পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও সহকারী বন সংরক্ষক তবিবুর রহমান বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে পাখিগুলোকে পার্কে আনা হয়েছে। বাংলাদেশ বন বিভাগের বন্য প্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ ইউনিটের মাধ্যমে তারা এগুলো পেয়েছেন। জীবাণু ঝুঁকি এড়াতে পার্কের ভেতরেই কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।
তিনি জানান, ঢাকার একটি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান সম্প্রতি দুই হাজারের বেশি পাখি আমদানি করে। এর মধ্যে ৫৮টি পাখির অনাপত্তি সনদ না থাকায় সেগুলো সিলেটের হযরত শাহজালাল (রহ.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে খালাসের অনুমতি পায়নি। কাস্টমসের তত্ত্বাবধানে থাকাকালে প্রচন্ড গরম ও হঠাৎ প্রতিকূল পরিবেশের কারণে প্রায় অর্ধেক পাখি মারা যায়।
পার্ক সূত্র জানায়, পাখিগুলোর মধ্যে ওয়েস্টার্ন প্লেইনটেইন ইটার ও গ্রিন ক্রিস্টেড টুরাকো জাতের পাখি রয়েছে। ওয়েস্টার্ন প্লেইনটেইন ইটার জাতের পাখিগুলো গ্রীষ্মমণ্ডলীয় পশ্চিম আফ্রিকার উন্মুক্ত উডল্যান্ড আবাসস্থলের আবাসিক প্রজননকারী।
এই জাতের পাখি দুই বা তিনটি ডিম পাড়ে। এদের লেজ কমপক্ষে ৫০ সেন্টিমিটার লম্বা হয়। এই প্রজাতির পাখিগুলো বিশেষ করে ডুমুর, বীজ ও অন্যান্য উদ্ভিজ পদার্থ খেয়ে থাকে। পশ্চিম আফ্রিকায় এরা খুব পরিচিত।
গ্রিন ক্রিস্টেড টুরাকো গ্রীষ্মমণ্ডলীয় পশ্চিম আফ্রিকা বনের পাখি। পাখিগুলো উজ্জ্বল সবুজ ও নীল। চোখের চারপাশ লাল ও সাদা বর্ণের। একটি বড় তুরাকো প্রায় ৪০-৪৩ সেন্টিমিটার লম্বা হয়। আর ওজন হয় ২২৫-২৯০ গ্রাম। পাখিগুলো রেইন ফরেস্টে বসবাস করতে পছন্দ করে।