নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার চৌমুহনী বাজারে সাম্প্রদায়িক বিশৃঙ্খলার ঘটনায় জড়িত অভিযোগে এক ইউপি চেয়ারম্যানসহ নয় জনকে গ্রেফতার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন ও পুলিশ।
গতকাল মঙ্গলবার বিকাল পৌনে ৪টা থেকে বেগমগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ছয় জনকে গ্রেফতার করে র্যাব-১১।
র্যাবের অভিযানে গ্রেফতারকৃতরা হলো—নিজাম উদ্দিন (৩৫), মো. রাসেল (৩২), আবদুল মোতালেব (৪৭), শাহাদাত হোসেন (৩৪), গোলাম কিবরিয়া (৩২) ও আনোয়ারুল আজিম (৪০)।প্রত্যেকেই বেগমগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা।
সিপিসি র্যাব-১১ এর লক্ষীপুর ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার খন্দকার মো. শামীম হোসেন স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বুধবার (২০ অক্টোবর) দুপুরে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টায় র্যাব-১১, সিপিসি-৩, লক্ষ্মীপুরের একটি বিশেষ আভিযানিক দল চৌমুহনী কলেজ রোড এলাকায় অভিযান চালিয়ে বিশৃঙ্খলায় জড়িত আনোয়ারুল আজিমকে গ্রেফতার করে। তিনি সিসিটিভি ফুটেজ ও ভিডিও স্থিরচিত্রের মাধ্যমে শনাক্তপূর্বক বিভিন্ন মন্দিরে হামলা ঘটনায় করা মামলায় সন্দেহভাজন আসামি। একই দিন বিকাল পৌনে ৫টায় অভিযানিক দল চৌমুহনী এলাকায় অভিযান চালিয়ে নিজাম উদ্দিন, রাসেল, আব্দুল মোতালেব, সাহাদাত ও গোলাম কিবরিয়াকে গ্রেফতার করতে করা হয়। তাদের বেগমগঞ্জ মডেল থানায় দায়েরকৃত চারটি মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে পুলিশে হস্তান্তর করা হয়েছে।
অপরদিকে, চৌমুহনী বাজারে পূজামণ্ডপসহ বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ ও হামলার ঘটনায় ভিডিও ফুটেজ দেখে তিন জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন—উপজেলার একলাশপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান, একলাশপুর গ্রামের আবুল বাসারের ছেলে মো. মিজানুর রহমান ও একই গ্রামের আবদুল মমিনের ছেলে খলিলুর রহমান। এর মধ্যে খলিলুর রহমান ১৮ অক্টোবর বেগমগঞ্জ মডেল থানায় দায়েরকৃত মামলার এজাহারনামীয় আসামি।
আজ দুপুরে জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শহীদুল ইসলামের পাঠানো এক বার্তায় জানানো হয়, এ নিয়ে মোট ৮০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, বেগমগঞ্জে সাম্প্রদায়িক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির ঘটনায় ১৮টি মামলায় এজাহারনামীয় ২৮৫ জন এবং অজ্ঞাত ৪-৫ হাজার জনকে আসামি করে মামলা করা হয়।