সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের (কুসিক) ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সৈয়দ মোহাম্মদ সোহেলের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। মঙ্গলবার (২৩ নভেম্বর) বাদ জোহর পাথরিয়াপাড়া ঈদগাহ মাঠে জানাজা শেষে পাশেই পাথরিয়াপাড়া কবরস্থানে দাফন করা হয়।
এদিকে একই ঘটনায় নিহত কাউন্সিলর সোহেলের সহযোগী হরিপদ সাহার অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া মঙ্গলবার দুপুরে সম্পন্ন হয়েছে।
কুমিল্লায় কাউন্সিলরকে হত্যার ঘটনায় হামলা-ভাঙচুর, আতঙ্কে মৃত্যু
জানাজায় কয়েক হাজার মানুষ অংশ নেয়। ইমামতি করেন কাউন্সিল সোহেলের ছেলে হাফেজ মো. নাদিম। এ সময় তিনি বলেন, আমার বাবার জনপ্রিয়তার কারণে সন্ত্রাসীরা পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে। হত্যাকারীদের কঠোর শাস্তি দাবি করেন তিনি।
এ সময় বক্তব্য দেন কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. মনিরুল হক সাক্কু, কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরফানুল হক রিফাত, ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. জাহাঙ্গীর হোসেন ও সোহেলের ছেলে হাফেজ সৈয়দ মো. হাফিজুল ইসলাম।
সিটি মেয়র মনিরুল হক সাক্কু বলেন, কাউন্সিলর সোহেল খুব ভালো মানুষ ছিলেন। এলাকার উন্নয়নে অনেক কাজ করেছেন। হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার করতে হবে।
কুমিল্লায় দুর্বৃত্তের গুলিতে কাউন্সিলরসহ ২ জনের মৃত্যু
উল্লেখ্য, সোমবার বিকালে নগরীর পাথরিয়াপাড়ায় কাউন্সিলরের নিজ কার্যালয়ে সোহেলসহ সাত জন দুর্বৃত্তের গুলিতে আহত হন। রাত সাড়ে ৮টায় কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোহেল ও তার সহযোগী হরিপদ মারা যান।