শেবাচিম হাসপাতালের পরিচালক ডা. এস এম সিরাজুল ইসলাম মঙ্গলবার (১৬ মে) ওই প্রতিবেদন জমা হওয়ার তথ্য নিশ্চিত করেন বাংলা ট্রিবিউনকে। তিনি জানান, ছয় সদস্যের ওই কমিটি তাদের প্রতিবেদনে দায়িত্বে গাফিলতির বিষয়ে অধিকতর তদন্তের সুপারিশ ও পরামর্শ দিয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ বিষয়ে বিভাগীয় তদন্তের পাশাপাশি আইনি তদন্তেরও প্রয়োজন।
এদিকে, ওষুধ উদ্ধারের ঘটনায় পুলিশের দায়ের করা দুই মামলার পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও একটি মামলা দায়ের করেছে। সোমবার রাতে বাদী হয়ে কোতোয়ালী থানায় মামলাটি দায়ের করেন হাসপাতালের পরিচালক ডা. এস এম সিরাজুল ইসলাম। এই মামলায় মহিলা মেডিসিন ওয়ার্ডে অবৈধভাবে ওষুধ জমিয়ে রাখার দায়ে আটক হওয়া ইনচার্জ বিলকিস জাহান ও অফিস সহায়ক (আয়া) শেফালী বেগমকে আসামি করা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে শেবাচিম হাসপাতালের পরিচালক ডা. এস এম সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘শেফালীর ছেলে আমাদের স্টাফ নয়। সম্প্রতি হাসপাতালে স্থগিত হওয়া নিয়োগ কার্যক্রমে মামুনের চাকরি হলেও সে কর্মস্থলে যোগ দিতে পারেনি। এ কারণে মামুনকেও ওই মামলায় আসামি করা হয়নি। তবে পুলিশের তদন্তে এ ঘটনার সঙ্গে মেডিসিন স্টোরের কারও জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধেও আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এ নিয়ে সরকারি ওষুধ উদ্ধারের ঘটনায় মোট তিনটি মামলা দায়ের হলো। এর আগে এ ঘটনায় উপ-পরিদর্শক (এসআই) অরবিন্দু বাদী হয়ে দুইটি মামলা দায়ের করেন বলে জানিয়েছেন বরিশাল কোতয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ শাহ মো. আওলাদ হোসেন।
এই মামলা দু’টির প্রথমটিতে চতুর্থ শ্রেণি কর্মচারীদের কোয়ার্টার ও সামনের একটি পুকুর থেকে বিপুল পরিমাণ সরকারি ওষুধ উদ্ধারের ঘটনায় শুক্রবার আটক মহিলা মেডিসিন ওয়ার্ডের আয়া শেফালি বেগম ও তার ছেলে মো. মামুনকে আসামি করা হয়েছে। আর শনিবার মহিলা ওয়ার্ড থেকে ওষুধ উদ্ধারের ঘটনায় দায়ের করা দ্বিতীয় মামলায় আসামি করা হয়েছে ওই ওয়ার্ড থেকে আটক করা ওয়ার্ডের নার্সিং ইনচার্জ সিনিয়র স্টাফ নার্স বিলকিস বেগমকে।
এরই মধ্যে আসামিদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন-
সরকারি ওষুধ উদ্ধারের ঘটনায় শেবাচিমে ৩ তদন্ত কমিটি
শেবাচিম থেকে ফের ওষুধ উদ্ধার, ইনচার্জ স্টাফ নার্স আটক
/টিআর/