দিনাজপুরে বন্যায় ১৪ জনের মৃত্যু

দিনাজপুরে বন্যায় আশ্রয় খুঁজছেন মানুষদিনাজপুরে বন্যাকবলিত হয়ে একই পরিবারের তিন জনসহ মোট ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে একজন, সাপের দংশনে একজন ও পানিতে ডুবে বাকি ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। রবিবার (১৩ আগস্ট) সন্ধ্যায় দিনাজপুর জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির এক সভায় দিনাজপুরের জেলা প্রশাসক মির খায়রুল আলম এক ব্রিফিংয়ে ১৩ জনের মৃত্যুর কথা জানান। এছাড়া, রাত ১০টার দিকে বীরগঞ্জে বন্যার পানির তোড়ে একজন ভেসে গেছেন বলে বাংলা ট্রিবিউনকে জানিয়েছেন তার বড় ভাই।
ব্রিফিংয়ে জেলা প্রশাসক জানান, রবিবার দিনের বিভিন্ন সময়ে জেলার কাহারোল, বিরল, বীরগঞ্জ ও সদর উপজেলায় মৃত্যুর ঘটনাগুলো ঘটে। পানিবন্দি মানুষদের উদ্ধারে সেনাবাহিনী এরই মধ্যে কাজ শুরু করেছে বলেও জানান তিনি।
মির খায়রুল আলম জানান, গত পাঁচ দিনে দিনাজপুরে ৪৯২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এর মধ্যে সর্বশেষ ৪৮ ঘণ্টায় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ছিল ২৯৬ মিলিমিটার, যা দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ।
বন্যায় জেলার ক্ষয়ক্ষতি ও প্রশাসনের ত্রাণ তৎপরতা প্রসঙ্গে জেলা প্রশাসক বলেন, ‘অবিরাম বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে দিনাজপুর জেলার ১৩ উপজেলার মধ্যে আটটি উপজেলাই প্লাবিত হয়েছে। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন প্রায় দেড় লাখ মানুষ। জেলার ১ লাখ ২০ হাজার ৭শ হেক্টর জমির ফসল পানিতে তলিয়ে গেছে। জেলা প্রশাসন ত্রাণ তৎপরতা জোরদার করেছে।’ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের কাছে ৩শ মেট্রিক টন চাল ও নগদ ৫০ লাখ টাকা জরুরি ভিত্তিতে বরাদ্দ চেয়ে ফ্যাক্স বার্তা পাঠানো হয়েছে বলে জানান তিনি।
এদিকে, রবিবার রাত ১০টার দিকে বীরগঞ্জে জাহাঙ্গীর নামে এক ব্যক্তি বন্যার পানির তোড়ে ভেসে গেছেন বলে জানা গেছে। জাহাঙ্গীরের বড় ভাই মাসুদ রানা এ তথ্য বাংলা ট্রিবিউনকে জানিয়েছেন। তারা বীরগঞ্জ থানাপাড়া এলাকার বাসিন্দা বলে জানান।

আরও পড়ুন-

দ্বিতীয় দফা বন্যায় নাকাল দেশবাসী

নেত্রকোনায় পানিবন্দি ৫ শতাধিক গ্রামের মানুষ
/এনআই/টিআর/