চবি উপাচার্যসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ

চবি`র আইইআর ভবনচট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের ১৮ শিক্ষকের কলেজে ফিরে যাওয়া নিয়ে দেওয়া হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ না মানায় উপাচার্য, রেজিস্ট্রারসহ চার জনের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগে পিটিশন দায়ের করা হয়েছে। সোমবার (২২ অক্টোবর) দুপুরে হাইকোর্টে বিচারপতি মামনুল রহমান ও বিচারপতি আশিস রঞ্জনের বেঞ্চ এই পিটিশন আমলে নিয়ে কেন এই চারজনকে শোকজ করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন।

এ ব্যাপারে পিটিশন দায়েরকারী আইনজীবী ফাহমিদ সারওয়ার বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আদালতের স্থগিতাদেশ শর্তেও আইইআর এর ১৮ শিক্ষককে আগের অবস্থানে পদায়ন করা হয়নি। এর মধ্য দিয়ে আদালতের রায়কে আবমাননা করা হয়েছে। তাই আজ উপাচার্যসহ চার জনের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার পিটিশন দায়ের করা হয়েছে। কেন তাদের শোকজ করা হবে না তা জানতে আদালত রুল জারি করেছেন।’

প্রসঙ্গত, গত ১৫ জুলাই শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের ১৮ শিক্ষকের কলেজে ফিরে যাওয়ার বিষয়ে ছয় মাসের স্থগিতাদেশ দেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে আদেশটি কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না এই মর্মে রুল জারি করেন আদালত। এরপর হাইকোর্টের এই স্থগিতাদেশের বিপক্ষে আপিল করে বিশ্ববিদ্যালয়। পরে আপিলের শুনানি এক দফা পেছানোর পর গত ১৪ আগস্ট শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। শুনানি শেষে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে আপিল বিভাগের একটি বেঞ্চ হাইকোর্টের দেওয়া স্থগিতাদেশ বহাল রাখে। সেই সঙ্গে হাইকোর্টের জারি করা রুল নিষ্পত্তির আদেশ দেন।

প্রসঙ্গত, গত বছরের ২০ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) পক্ষ থেকে তিন সদস্যের একটি দল চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইআর) শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়টি পরিদর্শনে যান। ইউজিসি’র ওই দল পরিদর্শন শেষে গত ১৫ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে আইইআর শিক্ষকদের আর্গানোগ্রাম ও নীতিমালাসহ যোগ্যতা নিয়ে তিন দফা সুপারিশ পাঠায়। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ৩১ মে অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫১৫তম সিন্ডিকেট সভায় ওই সুপারিশ বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সে অনুযায়ী ওই ১৮ শিক্ষককে আইইআরের শিক্ষক হিসেবে নেওয়ার সিদ্ধান্ত বাতিল করে তাদের কলেজে (বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজে) ফেরত পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৪ জুন ওই ১৮ শিক্ষককে কলেজে ফিরে যেতে নোটিশ দেওয়া হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে ওই ১৮ শিক্ষকের মধ্যে দুই শিক্ষক পৃথকভাবে হাইকোর্টে রিট করেন।

আরও পড়ুন- চবির ১৮ শিক্ষকের কলেজে ফিরে যাওয়ার বিষয়ে হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ