১১ দিন ধরে বিদ্যুৎ নেই হাসপাতালে

দীর্ঘ ১১ দিনেও সচল হয়নি রাঙামাটির কাউখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বিদ্যুৎ লাইন। ফলে ভোগান্তিতে আছে ওয়ার্ডে ভর্তি থাকা রোগী, দায়িত্বরত ডাক্তার, নার্স ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

৩ দিন ধরে বিদ্যুৎ নেই হাসপাতালে

হাসপাতাল ভবনে বিদ্যুৎলাইন বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়লে অস্থায়ী মিটার দিয়ে আলাদা বিদ্যুৎলাইন টেনে জরুরি কিছু জায়গায় কয়েকটি বাতি জ্বালানো হচ্ছে। এ ছাড়া ফ্রিজে রাখা ওষুধ নষ্ট হওয়ার শংঙ্কায় ইপিআই রুমে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়েছে।

এ ঘটনায় দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছিল সংশিষ্ট কর্তৃপক্ষ। তদন্ত কমিটির রিপোর্টে জানা যায়, গত মঙ্গলবার থেকে কাজ শুরু করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি। কাজ শেষ করতে আরও তিন থেকে চার দিনের বেশি সময় লাগবে।

এদিকে শুক্রবার আবাসিক কোয়ার্টারগুলোতে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার চেষ্টা করতে গিয়ে আবার কারিগরি ক্রটি দেখা দেয় বলে জানা গেছে। সংশ্লিষ্ট এক ব্যক্তি জানান, শুক্রবার ট্রান্সফরমারে সমস্যা হয়েছে। যা শনিবার সকালে চট্টগ্রামে মেরামতের জন্য পাঠানো হয়েছে।

উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক তদন্ত কমিটির সদস্য ও বেতবুনিয়া বিদ্যুৎ সরবরাহের আবাসিক প্রকৌশলী আতিকুল আলম জানান, বৃহস্পতিবার রাতে একবার ট্রায়াল দেওয়া হয়েছিল। কারিগরি ত্রুটি থাকায় সেবারও বিদ্যুৎলাইনের ফিউজ কেটে যায়। শুক্রবার ঠিকাদারের লোকজন চট্টগ্রাম থেকে ইঞ্জিনিয়ার এনে আবার লাইন দেওয়ার চেষ্টা করে টান্সফরমারের ত্রুটি খুঁজে পায়। যা মেরামতের জন্য চট্টগ্রামে পাঠিয়েছে তারা।

কাউখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ও উপজেলা তদন্ত কমিটির সদস্য ডা. ফরহাদুল আলম জানান, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটির কাজের অদক্ষতা প্রকাশ পেয়েছে। তদন্ত কাজে অনেক ভুল উঠে এসেছে।

উল্লেখ্য, ২৭ ও ২৮ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার) দুই দফায় বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটে হাসপাতালের অভ্যন্তরীণ বৈদ্যুতিক লাইন পুড়ে বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কোয়ার্টারগুলো। ২০২১ সালের শেষের দিকে উদ্বোধন হওয়া ৫০ শয্যার নতুন ভবনে এ দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে নিম্নমানের কাজ করা হয়েছিল অভিযোগ ছিল স্থানীয়দের। স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতর ১৪ কোটি ৭০ লাখ টাকা ব্যয়ে ৩১ শয্যা থেকে ৫০ শয্যায় উন্নীত করা কাউখালী উপজেলার এ হাসপাতালটি নির্মাণ করে।