দুই রেল লাইনের মাঝখানের জমি দখল করে মার্কেট!

দুই রেল লাইনের মাঝখানের জমি দখল করে মার্কেট!লাকসাম-নোয়াখালী রেল রুটে কুমিল্লার লাকসাম উপজেলার দৌলতগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশনের মেইন লাইন ও লুপ লাইনের মাঝের জায়গায় মার্কেট তৈরি করা হচ্ছে। এতে রেল ক্রসিংয়ের লুপ লাইন মাটির নিচে পড়ে হুমকির মুখে পড়েছে লাকসাম-নোয়াখালী রেল লাইন। নাম প্রকাশে একাধিক রেলওয়ে কর্মকর্তা জানান, বাংলাদেশের রেলের ইতিহাসে এমন দখলের নজির বিরল।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, দৌলতগঞ্জ স্টেশন ভবন লাগোয়া উত্তর পাশের জলাশয়টি গত বছরের অক্টোবর থেকে ডাকাতিয়া নদীর বালু এনে ভরাট করা হয়। বর্তমানে ওই জায়গায় হকার্স মার্কেট নাম দিয়ে দোকান নির্মাণ করা হচ্ছে। দোকান নির্মাণের কারণে ট্রেন ক্রসিং করার একমাত্র লুপ লাইন মাটির নিচে চাপা পড়েছে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, স্থানীয় আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতার নির্দেশে মার্কেট নির্মাণ করা হচ্ছে। দুই শতাধিক দোকানের প্রতিটি ৪০-৫০ হাজার টাকা অগ্রিম নিয়ে ভাড়া দেওয়ার পরিকল্পনা চলছে। এখানে মার্কেট নির্মিত হলে রেল লাইনে ট্রেন চলাচলে বাধার সৃষ্টি হবে।

এ বিষয়ে দৌলতগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশনের মাস্টার আবদুল মান্নান চৌধুরী বলেন, ‘এখানে ভরাটের কারণে লুপ লাইন মাটির নিচে চাপা পড়ে গেছে। ট্রেন ক্রসিং করা যাবে না। এ কারণে লাকসাম-নোয়াখালী রেললাইন বর্তমানে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের অনুমতি না নিয়েই এ কাজ হয়েছে।’ এ কাজ লাকসাম পৌরসভা করছে বলে তিনি দাবি করেন।

দৌলতগঞ্জ রেল স্টেশনের পাশে মার্কেট নির্মাণ নিয়ে জানতে চাইলে লাকসাম পৌরসভার মেয়র মো. আবুল খায়ের ব্যস্ততার কারণ দেখিয়ে কথা বলতে চাননি।

রেলওয়ে কুমিল্লার সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘দুইটি রেল লাইনের মাঝের স্থান দখল করে মার্কেট নির্মাণ বিরল ঘটনা। এ বিষয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।’

রেলমন্ত্রী মো. মুজিবুল হক বলেন, ‘রেলের জায়গা কাউকে দখল করতে দেওয়া হবে না। উচ্ছেদ কার্যক্রম আমাদের রুটিন ওয়ার্ক। দৌলতগঞ্জ রেল স্টেশনের দখলদারদেরও উচ্ছেদ করা হবে।’

আরও পড়ুন- 


‘আরিফের ফাঁসি হওয়ায় তৃপ্তি পাচ্ছি’

/এফএস/