পলাশের ভাই মিজান জানিয়েছেন, তার ভাই রানার অটোমোবাইলসে কাজ করতো। অফিসের কাজেই তাকে নেপালে পাঠানো হয়েছিল। ছয় ভাইবোনের মধ্যে পলাশ সবার ছোট।
পলাশের বাড়ি সোনাগাজী উপজেলার বগাদানা ইউনিয়নের কাজীরহাটে। তিনি ফেনী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট থেকে ইলেকট্রিক্যালে ডিপ্লোমা করে ঢাকায় রানার অটোমোবাইলসে চাকরি করতেন।
মিজানের সঙ্গে এ নিয়ে কথা হয় ওই এলাকার ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইছহাক খোকনের। তিনি জানান, বিমানে পলাশের থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হলেও পরিবার জীবিতদের নামের তালিকায় তার নাম খুঁজে পায়নি। দুর্ঘটনার পর থেকে পলাশের সঙ্গে কোনও যোগাযোগ নেই পরিবারের। এ নিয়ে পরিবারটি উৎকণ্ঠায় আছে। ধারণা করা হচ্ছে, তিনি আর বেঁচে নেই।
এদিকে, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম তার ফেসবুকে নিহত ও আহতদের নামের তালিকা প্রকাশ করেছেন। নিহতের তালিকায় পলাশের নাম রয়েছে।
প্রসঙ্গত, সোমবার চারজন ক্রু ও ৬৭ যাত্রী মিলে৭১ জন আরোহী নিয়ে ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট ঢাকা থেকে রওনা দিয়ে নেপালের স্থানীয় সময় দুপুর ২টা ২০ মিনিটে কাঠমান্ডু বিমানবন্দরে পৌঁছায়। অবতরণের সময় বিমানটিতে আগুন ধরে যায়। এরপর বিমানবন্দরের কাছেই একটি ফুটবল মাঠে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। নেপালের সেনাসূত্রে জানা গেছে, ৫০ জন নিহত হয়েছেন এই দুর্ঘটনায়।
আরও পড়ুন:
ক্যাপ্টেন আবিদ সুলতান মারা গেছেন
বিধ্বস্ত বিমানের ব্ল্যাকবক্স উদ্ধার
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ে কন্ট্রোল রুম
নেপালের প্রধানমন্ত্রীকে শেখ হাসিনার ফোন
ইউএস বাংলার ওই ফ্লাইটে যাত্রী ছিলেন যারা
ছবিতে কাঠমুন্ডুর ইউএস বাংলার বিমান দুর্ঘটনা