বাসচাপায় নিহত মাঈনুদ্দিনের দাফন সম্পন্ন

রাজধানীর রামপুরায় বাসচাপায় নিহত এসএসসি পরীক্ষার্থী মো. মাইনুদ্দীন ইসলাম দুর্জয়ের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। মঙ্গলবার (৩০ নভেম্বর) রাত সাড়ে ৭টার দিকে গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার হালুয়াপাড়ায় তাকে দাফন করা হয়।

মাইনুদ্দীনের মামা মোহাম্মদ আলী জানান, সরকারের কাছে দাবি থাকবে, আর যেন এভাবে কোনও মায়ের বুক খালি না হয়। সরকারকে এ ঘটনায় দ্রুত বিচারের ব্যবস্থা করতে হবে।

খালাতো ভাই মোশারফ হোসেন বলেন, তার মতো মেধাবী ছেলে অকালে ঝরে যাবে আমরা চিন্তাই করতে পারছি না। বাসের চালক ও হেলপারের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই। সরকার যেন তার পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেয় সে দাবিও জানান তিনি।

বাবা আব্দুর রহমান জানান, গতকাল রাতে চায়ের দোকান থেকে বের হয়ে মায়ের কাছ থেকে টাকা নিয়ে বাইরে যায়। এক বন্ধুর সঙ্গে দেখা করার জন্য রামপুরা আটারমিল এলাকায় যাচ্ছিলো। রাইদা পরিবহনের বাসে উঠতে গেলে হেলপার তাকে ধাক্কা দেয়। এ সময় ছিটকে রাস্তায় পড়ে যায় মাঈনুদ্দিন। পরে ওই পরিবহনের পিছনে থাকা অনাবিল পরিবহনের বাস তাকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই সে মারা যায়।

রামপুরায় বাসচাপায় শিক্ষার্থী নিহত, আট বাসে উত্তেজিত জনতার আগুন

কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি বলেন, ‘সে আমাকে কাছে বলেছিল, বাবা পরীক্ষায় পাস করলে ভালো কলেজে ভর্তি করিয়ে দিতে হবে। কিন্তু সেই স্বপ্ন শেষ হয়ে গেলো।’

মা রাশিদা বেগম বলেন, ‘আমার কাছে রাতে ১০ টাকা নিয়ে ছোলাবুট খেয়ে আসে। পরে বাসা থেকে পানি খেয়েই দৌড়ে চলে যায়। আমি তাকে অনেক ডেকেছি, কিন্তু আসেনি। আর আসবে না। আমার ছেলে কই চলে গেলো।’

সোমবার (২৯ নভেম্বর) রাতে অনাবিল পরিবহনের বাসের চাপায় এসএসসি পরীক্ষার্থী মাইনুদ্দীন ইসলাম দুর্জয় নিহত হয়। এ সময় উত্তেজিত জনতা সড়ক অবরোধ করে আটটি বাসে আগুন ধরিয়ে দেয়।