চট্টগ্রামে ঘরের ভেতর পানি

তিন দিনের টানা বৃষ্টিতে চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। পানি ঢুকেছে রাউজান, রাঙ্গুনিয়া, হাটহাজারী, পটিয়া ও বোয়ালখালী উপজেলার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, দোকান-পাট ও বাড়িঘরের ভেতর। রাউজানে ধসে পড়েছে তিনটি ঘর। ভেঙে গেছে সড়ক। বিভিন্ন সড়কে জমে আছে হাঁটু থেকে কোমর সমান পানি। 

রাউজান উপজেলার পাহাড়তলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রোকন উদ্দিন জানান, ভারী বৃষ্টিতে রবিবার (১৯ জুন) রাতে ইউনিয়নের দাশপাড়া এলাকায় তিনটি মাটির ঘর ধসে গেছে। ওই এলাকায় পানি উঠেছে আরও ৩০ থেকে ৪০টি ঘরে। হাফেজ বজলুর রহমান সড়কের কিছু এলাকায় ভাঙন দেখা দিয়েছে। পানি জমেছে ইউনিয়নের বিভিন্ন সড়কে।

আরও পড়ুন: ডুবে গেছে চট্টগ্রাম নগরী, দুর্ভোগে মানুষ

বৃষ্টি থেমে গেলেও রাউজান পৌরসভার বিভিন্ন স্থানে এখনও পানি জমে আছে। এখানকার বাসিন্দারা গবাদিপশু, হাঁস-মুরগি নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন।

ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে পানি ঢুকে মালামাল নষ্ট হয়ে গেছে

রাঙ্গুনিয়া উপজেলার চন্দ্রঘোণা এলাকার বাসিন্দা আকবর খান জানান, চন্দ্রঘোনাসহ এই উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে পানি ঢুকে মালামাল নষ্ট হয়ে গেছে।

আরও পড়ুন: বাসায় হাঁটুপানি, বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ২ জনের মৃত্যু

হাটহাজারী উপজেলার বাসিন্দা আবু তালেব বলেন, ‘তিন দিনের বৃষ্টিতে উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। এর মধ্যে নাঙ্গল মোড়া, চিপাতলী, শিকারপুর, বুড়িরচর, পৌরসভা, ফতেপুর ও মেখল ইউনিয়নে পানি জমে আছে। এসব ইউনিয়নের অন্তত ৫শ’ বাসিন্দা পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন।’

বিভিন্ন সড়কে জমে আছে হাঁটু থেকে কোমর সমান পানি

জেলা ত্রাণ ও পুনবাসন কর্মকর্তা সজীব কুমার চক্রবর্তী বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘রাউজান উপজেলায় দুটি কাঁচা ঘর ধসে পড়েছে। এ উপজেলার একটি সড়কও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এখন পর্যন্ত অন্য কোনও উপজেলা থেকে এ ধরনের ক্ষয়ক্ষতির চিঠি আসেনি।’

তিনি আরও বলেন, ‘জেলা প্রশাসনের কাছে পর্যাপ্ত ত্রাণ মজুত রয়েছে। ক্ষয়ক্ষতি সাপেক্ষে এগুলো বিতরণ করা হবে। তবে নগরীতে জলাবদ্ধতা ও পাহাড় ধসে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য সিটি করপোরেশন এলাকায় ইতোমধ্যে ১০ টন চাল এবং পাঁচ লাখ টাকা বিতরণ করা হয়েছে। প্রয়োজন হলেও আরও বরাদ্দ দেওয়া হবে।’