পারেনি হামজা-রুস্তম, ফেরি উদ্ধারে নামছে জেনুইন এন্টারপ্রাইজ

মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ঘাটের কাছে পদ্মায় ডুবে যাওয়ার পাঁচদিন পরও উদ্ধার হয়নি ফেরি শাহ আমানত। এটি উদ্ধারের সক্ষমতা নেই বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) উদ্ধারকারী জাহাজ ‘হামজা’ ও ‘রুস্তম’-এর। সিদ্ধান্ত হয়েছে, চট্টগ্রামের বেসরকারি উদ্ধারকারী প্রতিষ্ঠান জেনুইন এন্টারপ্রাইজ ফেরিটি উদ্ধারে কাজ শুরু করবে।

রবিবার (৩১ অক্টোবর) দুপুরে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) যুগ্ম-পরিচালক (উদ্ধার) মো. ফজলুল রহমান এই তথ্য জানান।

পণ্যবাহী সব যান ডাঙায়, ফেরি উদ্ধারে সক্ষমতা নেই হামজা-রুস্তমের

তিনি বলেন, নৌ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনক্রমে ফেরি শাহ আমানত উদ্ধারে যাবতীয় ব্যয় বহন করবে বিআইডব্লিউটিএ। জেনুইন এন্টারপ্রাইজের পৃথক ছয়টি উইং বার্জ ফেরি উদ্ধারে কাজ করবে। সোমবার (১ নভেম্বর) থেকে অর্ধ ডুবন্ত আমানত শাহ উদ্ধারে মূল কাজ শুরু হবে। ইতোমধ্যে প্রতিষ্ঠান টিকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানিয়েছে, ফেরি উদ্ধারে জেনুইন এন্টারপ্রাইজের মালিক আলহ্বাজ বদিউল আলমের সঙ্গে চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে। সবকিছু ঠিক থাকলে সোমবার থেকে উদ্ধার কাজ শুরু হবে।

গত ২৭ অক্টোবর সকালে পাটুরিয়া ৫ নম্বর ঘাটে ফেরি শাহ আমানত ১৭টি পণ্যবাহী ট্রাক ও ১৬টি মোটরসাইকেল নিয়ে ডুবে যায়। এ সময় যাত্রী ও যানবাহন চালকরা কোনোরকমে নেমে আসেন। উদ্ধারে কাজ শুরু করে ফায়ার সার্ভিস ও নৌ বাহিনীর সদস্যরা। গতকাল শনিবার শাহ আমানত থেকে ভেসে ও ডুবে যাওয়া সবগুলো যানবাহন (ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান) উদ্ধার করেছে উদ্ধারকারী জাহাজ ‘হামজা’ ও ‘রুস্তম’।

ডুবে যাওয়া ফেরিটি ৪২ বছরের পুরনো

ফেরি শাহ আমানত ডুবে যাওয়ার চার দিন পর উদ্ধার কাজে যোগ দেয় ৬০ টন উদ্ধার সক্ষমতার ‘রুস্তম’। তবে ফেরি উদ্ধারে রুস্তমের সক্ষমতা নেই। হামজা ও রুস্তমের সক্ষমতা একই। দুটির মিলে মোট সক্ষমতা ১২০ টন। আর ফেরি আমানত শাহর অবকাঠামোর ওজন, ভেতরে জমে থাকা পানি আর পলি (বালু) মিলিয়ে এক হাজার টনের কম হবে না।