শীতলক্ষ্যায় লঞ্চডুবির তৃতীয়দিনে আরও দুই লাশ উদ্ধার

নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যায় চর সৈয়দপুর এলাকায় কার্গো জাহাজের ধাক্কায় যাত্রীবাহী লঞ্চডুবির ঘটনায় আরও দু’জনের লাশ উদ্ধার হয়েছে। মঙ্গলবার (২২ মার্চ) সকালে দুই জনের লাশ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন সদর নৌ-থানার উপপরিদর্শক হাফিজুর রহমান।
 
তিনি বলেন, মুক্তারপুর শাহ সিমেন্টের পাশে নদী থেকে আব্দুল্লাহ আল জাভের (৩০) এবং বন্দরের হরিপুর পাওয়ার প্ল্যান্ট ঘাট থেকে নিখোঁজ এক শিশুর (৩) লাশ উদ্ধার করা হয়। জাভের ডেমরার আবদুল্লাহ আল সিদ্দিকীর ছেলে। 

শীতলক্ষ্যায় লঞ্চডুবি: তিন কার্যদিবসে প্রতিবেদন দিতে পারবে না তদন্ত কমিটি

দুর্ঘটনার তৃতীয় দিন পর্যন্ত ১০ জনের লাশ উদ্ধার হলেও ৯ জনের লাশ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। 
 
কারণ হিসেবে সদর নৌ থানার উপপরিদর্শক হাফিজুর রহমান বলেন- সোমবার (২১ মার্চ) সকালে শাহ সিমেন্ট ঘাট এলাকা থেকে উদ্ধার লাশটি নৌ-দুর্ঘটনায় নিখোঁজ কারও নয় বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। তাই এখন পর্যন্ত ৯ জনের লাশ উদ্ধার হয়েছে।

শীতলক্ষ্যায় লঞ্চডুবি: জাহাজের মাস্টারসহ ৮ জন রিমান্ডে

উদ্ধার হওয়া লাশের মধ্যে ছয় জনের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে। এরা হলেন মুন্সীগঞ্জ পৌরসভার উত্তর ইসলামপুর এলাকার জয়নাল আবেদীন ভূইয়া (৫০), মুন্সীগঞ্জের রমজানবেগ এলাকার আরিফা (৩৫) ও তার শিশু সন্তান সাফায়েত (দেড় বছর), গজারিয়া উপজেলার ইসমানিরচর এলাকার শিল্পা রানী, স্কুলশিক্ষিকা উম্মে খায়রুল ফাতেমা ও আব্দুল্লাহ আল জাভের।

এদিকে সোমবার ভোরে ডুবে যাওয়া এমএল আফসার উদ্দিন লঞ্চটি উদ্ধার করে উদ্ধারকারী জাহাজ প্রত্যয়।

প্রসঙ্গত, রবিবার (২০ মার্চ) দুপুরে শীতলক্ষ্যা নদীর চর সৈয়দপুর এলাকায় এমভি রূপসী-৯ নামে কার্গো জাহাজের ধাক্কায় মুন্সীগঞ্জগামী লঞ্চ এমএল আফসার উদ্দিন ডুবে যায়। এ সময় লঞ্চের ১৫ থেকে ২০ যাত্রী সাঁতরে তীরে উঠতে সক্ষম হন।