প্রকৌশলী হওয়ার স্বপ্ন ছিল তপুর

বাবা-মা চেয়েছিলেন ছেলে বড় হয়ে সফটওয়্যার প্রকৌশলী হবে। তাদের ইচ্ছার কথা জেনে স্বপ্ন দেখতে থাকে তন্ময় হাসান তপু (১৭)। কিন্তু তার সেই স্বপ্ন নিভে গেলো বিদ্যালয়ের গণ্ডি পার হওয়ার আগেই।

রবিবার (৭ নভেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার আল হেলাল ইসলামী অ্যাকাডেমি প্রাঙ্গণে তাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে।

পৌর এলাকার নূরনগর কলোনীপাড়ার আব্দুল মজিদের ছেলে তপু। আল হেলাল ইসলামী অ্যাকাডেমি থেকে এবার এসএসসি পরীক্ষায় বসার কথা ছিল তার। ছেলের এমন মৃত্যু মেনে নিতে পারছেন না বাবা আব্দুল মজিদ। ঘটনার পর থেকে মা-বাবা দুজনেই বাকরুদ্ধ হয়ে গেছেন।

বিদায় অনুষ্ঠানে এসএসসি পরীক্ষার্থীকে কুপিয়ে হত্যা

তপুর ফুফাতো ভাই আলিম জানান, পড়াশোনায় খুব ভালো ছিল সে। খেলাধুলাও করতো দুর্দান্ত। পড়াশোনা শেষে মা-বাবার ইচ্ছায় সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার স্বপ্ন ছিল। এবার এসএসসি পরীক্ষায় বসতো তপু। তাই আজ বিদ্যালয় থেকে পরীক্ষার প্রবেশপত্র সংগ্রহ করতে যায়। সেখানে দুর্বৃত্তদের হাতে প্রাণ হারাতে হলো। 

স্থানীয় ও নিহতের সহপাঠীরা জানায়, রবিবার সকাল থেকে আল হেলাল ইসলামী অ্যাকাডেমিতে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের বিদায় অনুষ্ঠান চলছিল। অনুষ্ঠানে অংশ নেয় তপু। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে কে বা কারা তাকে বিদ্যালয়ের এক পাশে ডেকে নিয়ে কুপিয়ে জখম করে ফেলে যায়। পরে সহপাঠীরা উদ্ধার করে তাকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেয়।

সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক শাকিল আর সালান জানান, তপুর শরীরে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়।

স্থানীয় একাধিক সূত্র বলছে, তপুর সঙ্গে তার এক সহপাঠীর প্রেম সংক্রান্ত বিরোধ চলছিল। এরই জেরে এই হত্যাকাণ্ড হয়ে থাকতে পারে।

চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন জানান, এ ঘটনার জড়িত বেশ কয়েকজনের নাম পাওয়া গেছে। তাদেরকে আটকে অভিযান চলছে।