চিরকুট লিখে স্কুলছাত্রীর আত্মহত্যা, অভিযুক্তের ফাঁসির দাবি

জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলায় চিরকুট লিখে স্কুলছাত্রীর আত্মহত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত যুবকের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন করেছেন তার বিদ্যালয়ের শিক্ষক, সহপাঠী ও এলাকাবাসী।

রবিবার (১৩ মার্চ) দুপুরে ওই ছাত্রীর বিদ্যালয়ের সামনে এ মানববন্ধন করা হয়েছে। এতে বক্তব্য রাখেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইউসুফ আলী, সহকারী প্রধান শিক্ষক খালিদ মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ ও কয়েকজন শিক্ষার্থী। 

মানববন্ধনে অভিযুক্ত তামিম আহমেদ স্বপনের ফাঁসির দাবি জানান তারা। দ্রুত সময়ের মধ্যে অভিযুক্ত যুবকের বিচার না করলে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইউসুফ আলী বলেন, স্বপনের কারণে ওই ছাত্রী আত্মহত্যা করেছে। ওই বখাটের কাজই ছিল মেয়েদের উত্ত্যক্ত করা। এখনও বিদ্যালয়ের সামনে তার মতো অনেক বখাটের উৎপাত দেখা যায়। এসব বখাটে গ্রেফতার করতে হবে। সেই সঙ্গে স্বপনের সহযোগীদেরও গ্রেফতার করতে হবে। দ্রুত সময়ের মধ্যে সব আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে স্বপনকে ফাঁসিতে ঝোলাতে হবে।

আরও পড়ুন: চিরকুটে ‌‘ধর্ষকের’ নাম লিখে স্কুলছাত্রীর আত্মহত্যা

এর আগে শুক্রবার দিবাগত রাতে ময়মনসিংহের সদরের অষ্টধর ইউনিয়নের চরশসা এলাকায় অভিযান চালিয়ে স্বপনকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে স্বপন। তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। স্বপন মেলান্দহের সাধুপুর কান্দাপাড়া গ্রামের মো. খোকা মোল্লার ছেলে।
 
শুক্রবার (১১ মার্চ) এ ঘটনায় মেলান্দহ থানায় মামলা করেছেন স্কুলছাত্রীর বাবা। অভিযোগ রয়েছে, অভিযুক্ত স্বপন বৃহস্পতিবার সকালে ওই ছাত্রীর বান্ধবীদের মাধ্যমে মোবাইল ফোনে কল করে ছাত্রীকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। এরপর সাধুপুর কান্দাপাড়ার একটি বাড়ির কক্ষে দিনভর আটকে রেখে ধর্ষণ করে। 

বিকালে তাকে ছেড়ে দেয়। বাড়িতে ফিরে ভুক্তভোগী নিজের ঘরে দরজা বন্ধ করে ঘুমিয়ে যায়। সন্ধ্যার দিকে কোনও সাড়াশব্দ না পেয়ে জানালা দিয়ে মেয়েকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান মা। তার চিৎকারে প্রতিবেশীরা ছুটে আসেন।

আরও পড়ুন: চিরকুট লিখে স্কুলছাত্রীর আত্মহত্যা: অভিযুক্ত গ্রেফতার 

খবর দিলে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জামালপুর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। ঘটনার পর ওই ছাত্রীর ঘরে একটি চিরকুট পাওয়া যায়। চিরকুটে লেখা ছিল, ‘তামিম আমাকে সারাদিন এক রুমে আটকাই রাখছে। তামিম আমাকে খুব ডিস্টার্ব করতো। ও আমাকে বলেছে- ওর সঙ্গে দেখা করলে সে আমার জীবন থেকে চলে যাবে। কিন্তু ও আমার সঙ্গে খুব খারাপ কিছু করেছে, যা বলার মতো না। আমি বেঁচে থাকলে তোমাদের সম্মান শেষ হয়ে যেতো। ভালো থেকো বাবা-মা।’