এক স্বাস্থ্য কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ দিলেন ১৭ জন, দিনভর তদন্ত

বগুড়া দুপচাঁচিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শামছুন্নাহারের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, অনিয়ম, অর্থ আত্মসাৎ ও কর্মকর্তা কর্মচারীদের সঙ্গে অসদাচরণের বিষয়ে করা অভিযোগের তদন্ত শেষ হয়েছে। রবিবার (১৬ জুলাই) রাজশাহী স্বাস্থ্য বিভাগের পরিচালক ডা. হাবিবুল আহসান তালুকদার দিনব্যাপী তদন্ত করেন।

তবে তদন্তে কী পেয়েছেন এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি এই স্বাস্থ্য কর্মকর্তা। তিনি জানান, পরে রিপোর্ট দেওয়া হবে।

স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে ডা. হাবিবুল আহসান তালুকদার রবিবার সকালে দুপচাঁচিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসেন। তিনি উপজেলা পরিবার কল্যাণ সহকারীদের কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনেশনের সম্মানী ভাতা যথাযথভাবে না দেওয়াসহ বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতির অভিযোগ তদন্ত শুরু করেন। পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা জাকারিয়া হোসেন ও অভিযোগকারী ১৭ জন পরিবার কল্যাণ সহকারীদের সাক্ষাৎকারসহ লিখিত বক্তব্য নেন।

এ ছাড়াও উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি গাজিউর রহমানসহ সুশীল সমাজের ১৫ জনের পৃথক অভিযোগ তদন্ত করেন। তিনি অভিযোগকারী সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দ ও মুক্তিযোদ্ধাদের সাক্ষাৎকারসহ লিখিত বক্তব্য নেন। এ ছাড়াও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত কর্মচারীদেরও লিখিত বক্তব্য নিয়েছেন।

জানা গেছে, ডা. শামছুন্নাহারের বিরুদ্ধে উপজেলা পরিবার কল্যাণ সহকারীদের কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনেশনের সম্মানী ভাতা যথাযথভাবে প্রদান না করাসহ বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। এ বিষয়ে গত ২৫ জুন পরিবার কল্যাণ সহকারী আফরোজা বেগম, রাবেয়া খাতুন, রিনা খাতুন, শম্পা খাতুন, হাবিবা সুলতানা, নিলুফা ইয়াসমিন, মার্জিনা আক্তার, কাত্যায়নী বর্মণ, শরিফা খাতুন, নাছিমা খাতুন, আজমিন, ফারহানা নুসরাত, মাহবুবা খাতুন, সম্পা সরকার, জান্নাতি, সুরাইয়াসহ ১৭ জনের স্বাক্ষরিত অভিযোগ বগুড়ার সিভিল সার্জন, জেলা প্রশাসক, উপ-পরিচালক পরিবার পরিকল্পনা বিভাগসহ বিভিন্ন দফতরে পাঠান। ওই অভিযোগের ভিত্তিতে রাজশাহীর স্বাস্থ্য বিভাগের পরিচালক ডা. হাবিবুল আহসান তালুকদার এক চিঠির মাধ্যমে ১৬ জুলাই তদন্তের দিন ধার্য করেছিলেন।