বাস-অ্যাম্বুলেন্স সংঘর্ষ: নবজাতকের পর মারা গেলেন মা

রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলায় বাসের সঙ্গে অ্যাম্বুলেন্সের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত সেই নবজাতকের মা মোসলেমা বেগমও (৩০) মারা গেছেন। এ নিয়ে ওই দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা দাঁড়ালো চার জনে।

রবিবার (১১ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মো. ফরহাদুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। মোসলেমা বেগম নীলফামারীর ডোমার উপজেলার চিলাহাটি এলাকার রশিদুল ইসলামের স্ত্রী।

আরও পড়ুন: সাত দিনে ‌খারুভাজ সেতু এলাকায় প্রাণ গেলো ১২ জনের

পুলিশ ও নিহতদের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, তিন দিন আগে নীলফামারী সদর হাসপাতালে একটি ছেলেসন্তানের জন্ম দেন মোসলেমা। রবিবার ভোরে নবজাতক অসুস্থ হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য অ্যাম্বুলেন্সে রংপুর মেডিক্যালে নিয়ে যাচ্ছিলেন পরিবারের লোকজন। ভোর ৪টার দিকে রংপুর-দিনাজপুর সড়কের শলেয়াশাহ খারুভাজ সেতুর কাছে আসলে অ্যাম্বুলেন্সের সঙ্গে সৈয়দপুরগামী বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে অ্যাম্বুলেন্সের পাঁচ যাত্রী আহত হন। তাদের রংপুর মেডিক্যালে নেওয়ার পর নবজাতকসহ তিন জনের মৃত্যু হয়। 

নিহত অন্য দুই জন হলেন—নীলফামারী সদর উপজেলার কুমড়ারমোড় এলাকার অ্যাম্বুলেন্সচালক আল-আমিন (৩৫) এবং ডোমার উপজেলার কাচুচুড়াডাঙ্গী গ্রামের জাহানুর রহমানের ছেলে রফিকুল ইসলাম (৪০)।

তারাগঞ্জ হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ মাহাবুব মোরশেদ জানান, রবিবার ভোরে সড়ক দুর্ঘটনায় নবজাতকসহ তিন নিহত হন। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে নবজাতকের মা রংপুর মেডিক্যালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। এ নিয়ে ওই দুর্ঘটনায় মৃত্যুর সংখ্যা চার জনে দাঁড়ালো। এই ঘটনায় গতকাল তারাগঞ্জ হাইওয়ে থানায় একটি মামলা হয়েছে।