৫ দিন পর স্কুলছাত্রের লাশ দিলো বিএসএফ

দিনাজপুর সদর উপজেলার দাইনুর সীমান্তে গুলিতে নিহত স্কুলছাত্রের মরদেহ পাঁচ দিন পর ফেরত দিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। সোমবার (১২ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৫টা ১০ মিনিটের দিকে দাইনুর সীমান্তের ৩১৪/৭ সাব পিলারের কাছে গেট দিয়ে শিক্ষার্থীর মরদেহ ফেরত দেওয়া হয়। 

এ সময় বিজিবি খানপুর সীমান্ত ফাঁড়ির সুবেদার আনিসুর রহমান, ৯ নম্বর আস্করপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যার আবু বকর ছিদ্দিক, দিনাজপুর কোতোয়ালি থানার ওসি তানভিরুল ইসলাম, পরিদর্শক (তদন্ত) গোলাম মাওলা, সদস্য মাজেদুর রহমান, শিক্ষার্থীর বাবা জাহাঙ্গীর আলম, দুলাভাই আজগার আলী, বিজিবি দাইনুর সীমান্ত ফাঁড়ির সদস্য, ভারতের ভাদড়া হরিপুর বিএসএফ সীমান্ত ফাঁড়ির কর্মকর্তা ঈসা, গঙ্গারামপুর থানার পুলিশের এসআই পল্লব কুমারসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। 

বিকালেই নিহতের মরদেহ বাড়িতে এনে দাফনের প্রস্তুতি শুরু হয়। মাগরিবের নামাজের পর জানাজা শেষে দাফন কাজ সম্পন্ন হবে বলে জানিয়েছেন স্বজনরা।

বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি স্কুলছাত্র নিহত

এর আগে, সোমবার সকাল ১০টায় আন্তর্জাতিক সীমারেখা ৩১৪/৭ সাব পিলারে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। দ্বিতীয় দফায় বিজিবি-বিএসএফের ওই পতাকা বৈঠকের পর স্কুলছাত্র মিনহাজুল ইসলাম ওরফে মিনার বাবুর মরদেহ ফেরত দিতে রাজি হয় বিএসএফ। তবে এ ঘটনায় নিখোঁজ দুই জনের বিষয়ে কোনও কিছুই জানাতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

বিজিবি দাইনুর সীমান্ত ফাঁড়ির কমান্ডার আক্তার হোসেনের কাছে জানতে চাইলেও তিনি কোনও কথা বলেননি। 

দিনাজপুর কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) গোলাম মাওলা বলেন, বিএসএফ ও বিজিবির উপস্থিতিতে নিহতের মরদেহ আমাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। যেহেতু ওই দেশে ময়নাতদন্ত হয়েছে, তাই এই দেশে আর ময়নাতদন্ত হবে না। মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত বুধবার দিবাগত রাত ১১টার দিকে জেলার সদর উপজেলার দাইনুর সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে মিনহাজুল ইসলাম ওরফে মিনার বাবু (১৬) নামে এক বাংলাদেশি স্কুলছাত্র নিহত হয়। নিহত মিনার বাবু সদর উপজেলার ৯ নম্বর আস্করপুর ইউনিয়নের ভিতরপাড়া এলাকার জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে। সে খানপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। মিনারের মরদেহ ভারতের দক্ষিন দিনাজপুর তেলিয়াপাড়া এলাকায় ধান ক্ষেতে পড়ে ছিল। এ ঘটনায় একই ইউনিয়নের খানপুর এলাকার লতিফুরের ছেলে এমদাদুল (২৮) ও সালমানের ছেলে সাগর (২০) নিখোঁজ রয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন তাদের স্বজনরা।