নূরজাহান বেগম বলেন, তার মেয়ে জামাই মোস্তাক আহম্মেদ ৭ বছর আগে মারা গেছেন। গত ১০ অক্টোবর দুপুরে মিজান তার বাসায় আসেন। তার হাতে শুধু একটি ব্যাগ ছিল। এক রাত থেকে পরের দিন (শুক্রবার) সে সিলেট মাজারে যাবে বলেছিল। গত বছরও তিনি একবার এসে এক রাত থেকে পরের দিন মাজারে গিয়েছিলেন।
নূরজাহান বেগমের মেয়ে শিউলি বেগম বলেন, ‘মিজান আমার জামাইয়ের বন্ধু ছিল। সে খারাপ ছিল এটা আমাদের জানা ছিল না। আমার জামাইয়ের বন্ধু হিসেবে বেশ কয়েকবার আমাদের বাসায় এসেছে। তার কাছে হানিফ বাসের টিকেট দেখে বুঝেছি তিনি গাড়িতে এসেছেন। আগে যতবার তিনি এসেছেন গাড়ি নিয়ে এসেছে।’
প্রসঙ্গত, সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে শুক্রবার (১১ অক্টোবর) ভোরে শ্রীমঙ্গলের ওই বাসা থেকে তাকে আটক করে র্যাব। ওই সময় তার কাছ থেকে একটি অবৈধ পিস্তল, চার রাউন্ড গুলি, একটি ম্যাগাজিন ও নগদ দুই লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়। এরপর তাকে ঢাকায় নিয়ে এসে প্রথমে লালমাটিয়ায় তার কাউন্সিলর কার্যালয়ে এবং পরে মোহাম্মদপুরে আওরঙ্গজেব রোডে তার বাসায় অভিযান পরিচালনা করে র্যাব। কার্যালয়ে অবৈধ কিছু না পেলেও বাসা থেকে ছয় কোটি ৭৭ লাখ টাকার চেক ও এক কোটি টাকার এফডিআর উদ্ধার করে র্যাব।
আরও পড়ুন
অবৈধ অর্থে বিদেশেও সম্পত্তির পাহাড় গড়ে তুলেছেন কাউন্সিলর মিজান