ডুবে গেছে ১৪৫ হেক্টর জমির ধান, ক্ষতিগ্রস্ত ৮০০ কৃষক

উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে পাটলাই নদীর পানি বেড়ে সুনামগঞ্জের ১৪৫ হেক্টর জমির ফসল ডুবে গেছে। এতে ৮০০ কৃষক ক্ষতির মুখে পড়েছেন। এ অবস্থায় হাওরের ফসল রক্ষায় বাঁধ তদারকির জন্য কৃষকদের আহ্বান জানিয়েছে জেলা প্রশাসন।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের তথ্য অনুযায়ী, সদর উপজেলার রংগারচর ও সুরমা ইউনিয়নে ছোট কানলার হাওরের পানি উপচে ৫০ হেক্টর, তাহিরপুর ও ধর্মপাশার টাঙ্গুয়ার হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধ ভেঙে ৬৫ হেক্টর, ছাতক উপজেলার ইসলামপুরের গোয়াবাগুড়া চরমহল্লা ইউনিয়নের গজ্জার হাওরের পানি উপচে ৩০ হেক্টর জমির ফসল ডুবে গেছে। 

আরও পড়ুন: বাঁধ ভেঙে হাওরে ঢুকেছে পানি, ২ কোটি টাকার ফসল নষ্টের শঙ্কা

তবে স্থানীয় কৃষকদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এসব উপজেলার অন্তত ২০০ হেক্টর জমির ফসল ডুবে গেছে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন অন্তত ৮০০ কৃষক। দ্বিতীয় দফায় সোমবার (০৪ এপ্রিল) বিকাল থেকে পানি বেড়ে ফসলি জমিতে প্রবেশ করছে।

রংগারচর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল হাই বলেন, ‘বিরামপুর গ্রামের মরাগাঙ নদীর পানি উপচে কানলার হাওরের কিছু জমিতে পানি ঢুকে ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’ 

আরও পড়ুন: তাহিরপুরে মাটিয়ান হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধে ফাটল

সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইমরান শাহরিয়ার বলেন, ‘কানলার হাওরের নদীর পানি উপচে অনেক ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’ 

বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাদি উর রহিম জাদিদ বলেন, ‘উপজেলার বাঁধের অবস্থা এখন পর্যন্ত ভালো আছে। তবে নদীর পানি বাড়লে বাঁধগুলো হুমকির মুখে পড়বে। এতে ফসলি জমিতে পানি ঢুকে ধান ক্ষতিগ্রস্ত হবে।’ 

আরও পড়ুন: সুনামগঞ্জে নদীর তীর উপচে ফসলি জমিতে পানি

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক বিমল চন্দ্র সোম বলেন, ‘এখন পর্যন্ত ১৪৫ হেক্টর জমির ফসল ডুবে গেছে। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে পানি নেমে গেলে কোনও ক্ষতি হবে না। যদি পানি থেকে যায় তাহলে ধান ক্ষতিগ্রস্ত হবে।’ 

জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জরুরি বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়েছেন, জেলার প্রধান নদ-নদীর পানি অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। হাওরের বোরো ফসল রক্ষায় আগামী ২৪ ঘণ্টা কৃষকদের ফসল রক্ষা বাঁধ তদারকির আহ্বান জানান তিনি।