দারুল ইহসানের সনদধারী শিক্ষকদের এমপিও স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারের দাবি

এমপিওভুক্তির দাবিতে মানববন্ধন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দ্বৈতনীতি পরিহার করে এমপিও স্থাগিতাদেশ প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয়ের সনদধারী বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নিয়োগ পাওয়া শিক্ষকরা। মঙ্গলবার (১১ জুন) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত মানববন্ধন ও সমাবেশ থেকে এ দাবি জানানো হয়।

সমাবেশে শিক্ষকরা বলেন, উচ্চ আদালতের রায়ের পর দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয়ের সনদধারী প্রায় তিন হাজার শিক্ষক-কর্মচারীদের জন্য এমপিও দিতে আদেশ জারি করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। কিন্তু অদৃশ্য কারণে ২০১৮ সালের ২৮ আগস্ট জারি করা এমপিও আদেশ পরদিন ২৯ আগস্ট স্থগিত করা হয়। বলা হয়, আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত না নেওয়ার কারণে আদেশ স্থগিত করা হয়েছে। কিন্তু আইন মন্ত্রণালয় পরে মতামত দিলেও এ বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ কোনও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেনি।

শিক্ষকরা অভিযোগ করেন, সমস্যা সমাধানে দৃশ্যমান কোনও পদক্ষেপ না নেওয়ায় নঅনেক শিক্ষক-কর্মচারী বঞ্চিত হচ্ছেন। পাশাপাশি যাদের টাকা ও তদবিরের জোর আছে তারা গোপনে এমপিও বাগিয়ে নিচ্ছেন। গোপনে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের ভাইসহ অনেককে এমপিও দেওয়া হয়েছে। এই দ্বৈতনীতি পরিহার করতে হবে।

দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয় সনদের এমপিও বঞ্চিত ফোরামের আহবায়ক মোহাম্মদ ছিয়ামুল হক বলেন, ‘দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সনদ অর্জনকারীদের এমপিওভুক্তির ক্ষেত্রে দ্বৈতনীতি অনুসরণ করে চলেছে কর্তৃপক্ষ। সনদধারীরা সরকারি বিধিমোতাবেক নিয়োগ পেলেও দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে বেতন-ভাতার অভাবে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। পক্ষান্তরে তদবির, ক্ষমতার জোর ও প্রভাবশালীদের আশীর্বাদপুষ্টরা অনায়াসে এমপিওভুক্ত হচ্ছেন। উচ্চ আদালতের রায়ের পর এমপিওভুক্তির ক্ষেত্রে দ্বৈতনীতির ধারা অব্যাহত রয়েছে।’

সমাবেশে শিক্ষকরা দারুল ইহসানের সনদধারী ১৫ জন শিক্ষক ও সহকারী গ্রন্থাগারিকের এমপিওভুক্তির তালিকা তুলে ধরা হয়।

সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন- সহকারী শিক্ষক শাহ আলম, মো রফিকুল ইসলাম, হায়দার আলী, মনিরুল ইসলাম প্রমুখ।

আরও পড়ুন:
দারুল ইহসানের সনদে এমপিও পেয়েছেন সিইসি’র ভাই



দারুল ইহসানের সনদে আবারও তিন শিক্ষকের এমপিও