আনভীরের অবস্থান জানাতে ডিএমপির কাছে আবেদন

কলেজ শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার পর বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সায়েম সোবহান আনভীর কোথায় অবস্থান করছেন তা মিডিয়ার মাধ্যমে দেশবাসীকে জানাতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার বরাবর একটি আবেদন করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৯ এপ্রিল) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এস এম জুলফিকার আলী জুনু এ আবেদন করেন।

আবেদনে বলা হয়েছে, ‘যথাবিহিত সম্মানপূর্বক বিনীত নিবেদন এই যে, সম্প্রতি দেশের আলোচিত বিষয় হচ্ছে গুলশানের একটি ফ্ল্যাটে মুনিয়া নামের একটি মেয়ের আত্মহত্যার মামলা। যেই মামলায় আত্মহত্যার প্ররোচনাকারী হিসেবে দেশের স্বনামধন্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের এমডি সায়েম সোবহান আনভীরকে আসামি করা হয়েছে। কিন্তু জনমনে প্রশ্ন, মামলা দায়েরের ৩ দিন অতিবাহিত হলেও কেন এই মামলার অন্যতম আসামি সায়েম সোবাহান আনভীরকে গ্রেফতার করা হচ্ছে না? নাকি সায়েম সোবহান আনভীর দেশত্যাগ করেছে? দেশের অভ্যন্তরে থাকলে কেন পুলিশ কর্তৃক উন্নত তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে আসামি গ্রেফতার করা হচ্ছে না?’

‘জনমনে এও প্রশ্ন রয়েছে, দেশের ধনাঢ্য ব্যবসায়ী ও প্রভাবশালী বলে পুলিশ গ্রেফতারে অনীহা প্রকাশ করছে। যা দেশের সাধারণ মানুষের আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা ও ন্যায়বিচার প্রাপ্তির ক্ষেত্রে অশনি সংকেত।’

আবেদনে আরও বলা হয়েছে, ‘বাংলাদেশ পুলিশ একটি পেশাদার সুশৃঙ্খল বাহিনী। এই বাহিনীর প্রতি দেশের সাধারণ মানুষ ও আমাদের আস্থা রয়েছে। পুলিশ কমিশনার আপনার কাছে আকুল আবেদন, আত্মহত্যায় প্ররোচনার আসামি বসুন্ধরা গ্রুপের এমডি সায়েম সোবহান আনভীর দেশে আছে নাকি বিদেশে পালিয়ে গেছে এর একটি সুস্পষ্ট বক্তব্য দেশ ও জাতির কাছে জানান। দেশে থাকলে তাকে কেন গ্রেফতার করা হচ্ছে না এবং উন্নত তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে আসামি গ্রেফতার না করা কেন পুলিশের দায়িত্ব পালনে নিষ্ক্রিয়তা হিসেবে গণ্য হবে না- তা আপনাদের অবস্থান ও ন্যায়বিচারের স্বার্থে জাতিকে মিডিয়ার মাধ্যমে জানানোর অনুরোধ জানাচ্ছি।’

প্রসঙ্গত, গত ২৬ এপ্রিল সন্ধ্যায় গুলশানের ১২০ নম্বর সড়কের ১৯ নম্বর বাসার একটি ফ্ল্যাট থেকে মুনিয়ার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় মুনিয়ার বড় বোন নুসরাত জাহান তানিয়া বাদী হয়ে বসুন্ধরা গ্রুপের এমডি সায়েম সোবহান আনভীরের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ এনে একটি মামলা দায়ের করেন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, সায়েম সোবহানের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল মুনিয়ার। প্রতিমাসে এক লাখ টাকা ভাড়ার বিনিময়ে সায়েম সোবহান মুনিয়াকে ওই ফ্ল্যাটে রেখেছিল। আনভীর নিয়মিত ওই বাসায় যাতায়াত করতো। তারা স্বামী-স্ত্রীর মতো করে থাকতো। মুনিয়ার বোন অভিযোগ করেছেন, তার বোনকে বিয়ের কথা বলে ওই ফ্ল্যাটে রেখেছিল। একটি ছবি ফেসবুকে দেওয়াকে কেন্দ্র করে সায়েম সোবহান তার বোনের ওপর ক্ষিপ্ত হয়। তাদের মনে হচ্ছে, মুনিয়া আত্মহত্যা করেনি। তাকে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে।

আরও পড়ুন-

আগাম জামিন চেয়ে সায়েম সোবহান আনভীরের আবেদন

আবারও আলোচনায় সেই পিয়াসা

অভিমান আর ক্ষোভে ঠাসা মুনিয়ার ৬ ডায়েরি

সায়েম সোবহান আনভীর কোথায়?

বসুন্ধরার এমডির দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

গুলশানে তরুণীর লাশ উদ্ধার, বসুন্ধরার এমডির বিরুদ্ধে মামলা

যা বললেন মুনিয়ার বড় বোন

প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিচার চায় মুনিয়ার পরিবার

‘দুই বছর আগে আনভীরের সঙ্গে প্রেম হয় মুনিয়ার’