বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) জাতীয় সংসদ ভবনে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপন করেন। বাজেটের বরাদ্দগুলো বিশ্লেষণ করে এই তথ্য পাওয়া গেছে।
২০১৯-২০ অর্থবছরের পরিচালন ও উন্নয়ন বাজেটে দেখা যায়, সবচেয়ে বেশি বরাদ্দ জনপ্রশাসন খাতে। এখাতের জন্য মোট বাজেটের ১৮ দশমিক ৫ শতাংশ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। যার পরিমাণ এক লাখ ৫৪ হাজার ৯ কোটি টাকা। যা, চলতি বছরের বাজেটের তুলনায় ১৭ হাজার ১২২ কোটি টাকা বেশি। গত বছর এ খাতে বরাদ্দ ছিল ১ লাখ ৩৬ হাজার ৮৮৭ কোটি টাকা।
অন্যদিকে সবচেয়ে কম বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে শিল্প ও অর্থনৈতিক সার্ভিসে। এ খাতের জন্য তিন হাজার ৮৯১ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। যা মোট বাজেটের মাত্র ০ দশমিক ৭ শতাংশ। যা চলতি অর্থবছরের বাজেটের তুলনায় ৪২৫ কোটি টাকা কম। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে বরাদ্দ ছিল তিন হাজার ৪৬৬ কোটি টাকা।
অর্থমন্ত্রীর বাজেট বক্তৃতায় বলা হয়, নির্বাচনি ইশতেহারে ঘোষিত অঙ্গীকার বাস্তবায়নে দ্রুত সেবা প্রদান, প্রশিক্ষণ ও দক্ষতা বৃদ্ধি, প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার কাযক্রম এবং মাঠ প্রশাসনকে তথ্য প্রযুক্তর আওতায় আনয়ন ও শক্তিশালীকরণকে অগ্রাধিকার হিসেবে চিহ্নিত করেছে। সরকারি কর্মচারি আইন, ২০১৮ প্রণয়ন করা হয়েছে। দক্ষতা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারিদের পদোন্নতি ও পদায়ন করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন..,
বছরে ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত লেনদেন ভ্যাটমুক্ত
সবচেয়ে বেশি বরাদ্দ জনপ্রশাসনে, কম শিল্প ও অর্থনৈতিক সার্ভিসে
বাজেটকে স্বাগত জানিয়ে আ.লীগের আনন্দ মিছিল
জিডিপির আকার ২৮ লাখ ৮৫ হাজার ৮৭২ কোটি টাকা
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের জন্য বরাদ্দ ১ হাজার ৩৩৮ কোটি টাকা
ডাক ও টেলিযোগাযোগে বরাদ্দ সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকা
নির্বাচনি ইশতেহারের আলোকে এই বাজেট অসম্পূর্ণ: সিপিডি
মুক্তিযোদ্ধাদের মাসিক ভাতা বাড়বে ২ হাজার টাকা
যেসব পণ্যের দাম বাড়তে পারে, কমতে পারে
সুনীল অর্থনীতিতে জিডিপি বাড়বে ২ শতাংশ