বাল্যবিয়ে নিয়ে রুলের জবাব মেলেনি পাঁচ মাসেও

বাল্য বিয়ে (প্রতীকী ছবি)বিশেষ কিছু বিধান রেখে পাস হওয়া ‘বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন ২০১৭’ এর ১৯ ধারার কয়েকটি বিধান কেন অবৈধ নয়, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছিলেন হাইকোর্ট। কিন্তু রুল জারির পাঁচ মাস অতিবাহিত হলেও জবাব পায়নি বাদীপক্ষ।

এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে গত ১০ এপ্রিল হাইকোর্ট বিবাদীদের এক মাসের মধ্যে জবাব দাখিলের সময় দিয়ে রুল জারি করেন। বাদীপক্ষের দাবি,‘আদালতের ওই আদেশের পর প্রায় পাঁচ মাস পেরিয়ে গেলেও রুলের জবাব পাননি।’

এ কারণে হাইকোর্টের অবকাশকালীন ছুটির পর বিষয়টি আদালতের নজরে আনবেন রিটের পক্ষের আইনজীবী ফাওজিয়া করিম ফিরোজ।

বাংলা ট্রিবিউনকে তিনি বলেন, ‘রুলের জবাব দেওয়া হয়েছে কিনা সেটি বলতে পারছি না। কেননা, নিয়ম অনুযায়ী জবাবের একটি কপি আমাদের দেওয়ার কথা। আমরা এখনও কোনও কপি পাইনি।’ কোর্ট খুললেই বিষয়টি আদালতের নজরে আনা হবে বলে জানান এই আইনজীবী।

‘বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন ২০১৭’ এর ১৯ ধারায় উল্লিখিত বিশেষ বিধানকে চ্যালেঞ্জ করে গত ৪ এপ্রিল রিট দায়ের করে ‘নারীপক্ষ’ ও ‘জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতি’ নামের দুটি সংগঠন। এর আগে সংগঠন দু’টি থেকে গত ৬ মার্চ আইনি নোটিশ পাঠায় বিবাদীদের প্রতি।

ওই রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে ১০ এপ্রিল বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি জে বি এম হাসানের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুল জারি করেন।

চার সপ্তাহের মধ্যে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, আইন সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়।

আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ফাওজিয়া করিম ফিরোজ। তার সঙ্গে ছিলেন অ্যাডভোকেট সালমা আলী।

উল্লেখ্য, বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন ২০১৭ -এর ১৯ ধারায় বিশেষ বিধান রাখা হয়েছে।ওই বিশেষ বিধানে বলা হয়েছে,‘এই আইনের অন্যান্য বিধানে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, বিধি দ্বারা নির্ধারিত কোনও বিশেষ প্রেক্ষাপটে অপ্রাপ্ত বয়স্কের সর্বোত্তম স্বার্থে, আদালতের নির্দেশ এবং পিতা-মাতা বা প্রযোজ্য ক্ষেত্রে অভিভাবকের সম্মতিক্রমে, বিধি দ্বারা নির্ধারিত প্রক্রিয়া অনুসরণক্রমে, বিবাহ সম্পাদিত হইলে উহা এই আইনের অধীন অপরাধ বলিয়া গণ্য হইবে না।’ চলতি বছরের ২৭ ফেব্রুয়ারি ‘বাল্য বিবাহ নিরোধ বিল-২০১৭’ সংসদে কণ্ঠভোটে পাস হয়।

আরও পড়ুন:



আগুনে পোড়া সেই রোহিঙ্গা শিশুর মৃত্যু