আবরার হত্যা মামলায় আরও একজনসহ মোট গ্রেফতার ১১

আবরার ফাহাদ

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)-এর ১৫ ব্যাচের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় আরও একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তার নাম শামসুল আরেফিন রাফাত (২১)। তিনি বুয়েটের মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ১৭ ব্যাচের ছাত্র।

মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ৩টায় রাজধানীর জিগাতলা এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে ডিএমপি’র গোয়েন্দা ও অপরাধ তথ্য বিভাগ (দক্ষিণ)।

ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মো. ওবায়দুর রহমান এই তথ্য জানিয়েছেন।

এরআগে, এই ঘটনায় সোমবার (৬ অক্টোবর) আবরারের বাবা ১৯ জনকে আসামি করে চকবাজার থানায় মামলা দায়ের করেছেন এবং রাতেই ১০ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠালে আদালত তাদের প্রত্যেকের ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এনিয়ে আবরার হত্যার ঘটনায় ১১ জনকে গ্রেফতার করলো ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ। এছাড়া ছাত্রলীগ থেকেও স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে বুয়েট ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকসহ ১১ নেতাকে। 

উল্লেখ্য, ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেওয়ার জের ধরে আবরার ফাহাদকে রবিবার (৬ অক্টোবর) রাতে ডেকে নিয়ে যায় বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী। এরপর রাত ৩টার দিকে শেরে বাংলা হলের নিচতলা ও দুইতলার সিঁড়ির করিডোর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

সোমবার (৭ অক্টোবর) দুপুর দেড়টার দিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল মর্গে আবরারের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডা. সোহেল মাহমুদ লাশের ময়নাতদন্ত করেন। তিনি বলেন, ‘ছেলেটিকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।’

নিহত আবরার বুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি শেরে বাংলা হলের ১০১১ নম্বর কক্ষে থাকতেন।

আরও খবর:

অবশেষে বুয়েটে এলেন ভিসি, আলোচনায় না বসায় অবরুদ্ধ

বুয়েটের ভিসি কোথায়?

অনির্দিষ্টকালের জন্য বুয়েটে ভর্তি ও অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা আন্দোলনকারীদের

বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি বন্ধের দাবি, সমর্থন শিক্ষক সমিতির

আবরার হত্যার বিচারসহ ৭ দফা দাবিতে উত্তাল বুয়েট

বুয়েটে আবরার হত্যা: ছাত্রলীগ থেকে ১১ জনকে স্থায়ী বহিষ্কার

 
 

ফোনে ডেকে নেওয়ার পর লাশ মিললো বুয়েট শিক্ষার্থীর

আবরার হত্যার বিচার চেয়ে সরব ফেসবুক