ঢাকা-১০ উপনির্বাচন

গলায় নৌকার কার্ড, মুখে ধানের শীষ!

ভোটকেন্দ্রঢাকা-১০ উপনির্বাচনের ভোট হচ্ছে রাজধানীর জিগাতলা মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে। দ্বিতীয় তলার একটি কক্ষে বসে আছেন চারজন সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার ও ছয়জন এজেন্ট। তাদের পরিচয় জানতে চাইলে দুজন এজেন্ট জানান তারা নৌকার পক্ষের। তৃতীয় জনকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, আমি ধানের শীষের এজেন্ট। কিন্তু তার গলায় ঝুলানো ছিল নৌকা প্রতীকে মনোনীত প্রার্থীর কার্ড। ওই নারী এজেন্টকে মিথ্যা বলছেন কেন প্রশ্ন করা হলে, তিনি মুচকি হেসে মুখ লুকালেন। পাশ থেকে নৌকার আরেক এজেন্ট বললেন, বিএনপির প্রার্থীরা বাইরে গেছে।

শনিবার (২১ মার্চ) দুপুর একটার দিকে জিগাতলা মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে এই ঘটনা ঘটে। প্রায় একই চিত্র ছিল অন্য কেন্দ্রগুলোতেও। কাকলি হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজ, সিটি কলেজ, লেক সার্কাস উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের ভোটকেন্দ্রগুলো ঘুরে আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতাকর্মীদের উল্লেখযোগ্য উপস্থিতি দেখা গেলেও অন্য প্রার্থীদের এজেন্ট পাওয়া যায়নি।

বিএনপি প্রার্থী শেখ রবিউল আলম ধানমন্ডি হাই স্কুল কেন্দ্রে ভোট দিতে এসে অভিযোগ করে জানান, তার পোলিং এজেন্টদের কেন্দ্রে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। ক্ষমতাসীন দলের লোকেরা এজেন্টদের শারীরিকভাবে আঘাত করছে।

একই অভিযোগ করেছেন জাতীয় পার্টির প্রার্থী হাজী মো. শাহজাহান। তিনি বলেন, ‘আমি কোনও কেন্দ্রে আমার এজেন্টদের ঢুকাতে পারিনি। আমি নিজে জরিনা সিকদার ভোটকেন্দ্রে, জিগাতলা কুইন্স স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে গেলে সেখানে লাঞ্ছিত করে আমাকে ও কর্মীদের বের করে দেওয়া হয়। আমাদের এজেন্টদের ঢুকতে দেয়নি, ভোটাররাও ভোট দিতে পারছেন না। আমি নির্বাচন কমিশনে মৌখিক অভিযোগ করেছি। লিখিত অভিযোগের প্রস্তুতি নিচ্ছি।’

প্রসঙ্গত, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস পদত্যাগ করায় ঢাকা-১০ আসনটি গত ২৯ ডিসেম্বর শূন্য ঘোষণা করা হয়। রাজধানীর ধানমন্ডি, নিউমার্কেট, কলাবাগান, শের-ই বাংলা ও লালবাগ থানা এলাকা নিয়ে গঠিত এ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ছয় প্রার্থী। এ আসনে ভোটার তিন লাখ ২১ হাজার ২৭৫ জন। আর ভোটকেন্দ্র রয়েছে ১১৭টি ও ভোটকক্ষ ৭৭৬টি। এই আসনে ইভিএমে ভোটগ্রহণ হচ্ছে।

আরও পড়ুন

সোয়া এক ঘণ্টা অপেক্ষা করেও ভোট দিতে পারলেন না আ.লীগ প্রার্থী

হাত ধোয়ার ব্যবস্থা রেখে ভোট শুরু

ভোটারদের দ্রুত বাড়ি ফেরার পরামর্শ বাগেরহাটে