যাদু মিয়ার ৪৩তম মৃত্যুবার্ষিকী

দলের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ও প্রতীক দানকারীকে ‘মনে করে না’ বিএনপি

বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির (ন্যাপ) সাবেক চেয়ারম্যান ও সাবেক সিনিয়র মন্ত্রী মশিউর রহমান যাদু মিয়ার ৪৩তম মৃত্যুবার্ষিকী আগামীকাল শনিবার (১২ মার্চ)। দিবসটি উপলক্ষে বাংলাদেশ ন্যাপ ঢাকা, নীলফামারী (ডোমার-ডিমলা), রংপুর, ঠাকুরগাঁও, সিরাজগঞ্জ, পাবনা, কিশোরগঞ্জ, ময়মনসিংহ ও গাজীপুরসহ বিভিন্ন জেলায় আলোচনা সভা ও দোয়ার আয়োজন করেছে।

শুক্রবার (১১ মার্চ) দলের মহাসচিব গোলাম মোস্তফা ভুঁইয়া এ কথা জানান।

১৯২৪ সালের ৯ জুলাই বর্তমান নীলফামারী (তৎকালীন রংপুর) জেলার ডিমলার খগাখড়িবাড়ীর এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন যাদু মিয়া। তার বাবা ওসমান গনি ও মা আবিউননেছা। ১৯৭৯ সালের ১২ মার্চ জাতির এক ক্রান্তিলগ্নে যাদু মিয়া ইন্তেকাল করেন। ৪০-এর দশকের শেষের দিকে তিনি ইয়াং ম্যান অ্যাসোসিয়েশন অব পাকিস্তানের পূর্ব পাকিস্তানের প্রধান ছিলেন। তিনি ৫০-এর দশকের শেষ দিকে রংপুর জেলা বোর্ডের কনিষ্ঠতম চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।

৬০-এর দশকের শেষের দিকে মশিউর রহমান যাদু মিয়া ন্যাপের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন ও আইয়ুববিরোধী ১১ দফা আন্দোলনে তিনি জাতীয় পরিষদের ভেতরে ও বাইরে সোচ্চার দাবি উপস্থাপন করেন এবং মওলানা ভাসানীর আহ্বানে জাতীয় পরিষদের সদস্য পদ থেকে পদত্যাগ করেন। ১৯৬৯ সালে লায়েলপুরে কৃষক সম্মেলনে ইয়াহিয়া খানকে গাদ্দার বলার কারণে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ১৯৭৭ সালে প্রগতিশীল, দেশপ্রেমিক ও জাতীয়তাবাদী শক্তির সমন্বয়ে প্রথমে জাতীয়তাবাদী ফ্রন্ট ও পরে জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) গঠনে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন তিনি।

মওলানা ভাসানীর মৃত্যুর পর ন্যাপের চেয়ারম্যানের দায়িত্বও পালন করেন। তিনি জিয়াউর রহমানের মন্ত্রিসভায় প্রধানমন্ত্রীর মর্যাদায় সিনিয়র মন্ত্রী হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। সে সময় তিনি ন্যাপ চেয়ারম্যান হিসেবে দলের প্রতীক ‘ধানের শীষ’ জিয়াউর রহমান তথা বিএনপিকে দিয়েছিলেন।

ন্যাপ বলছে, সেই বিএনপি আজ আর সেই প্রতিষ্ঠাতা ও প্রতীক দানকারীকে মনে করে না।

আরও পড়ুন:

বিএনপি গঠনে যাদু মিয়ার অবদান অনস্বীকার্য: মির্জা ফখরুল