মঙ্গলবার মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে এ প্রসঙ্গে বিসিবির পরিচালক ও আবাহনীর কোচ সুজন সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘আমি সব সময় বলি, ঢাকা লিগ বাংলাদেশের ক্রিকেটের প্রাণ। আমি চাই ঠাণ্ডার মধ্যে খেলা হোক। তবে আমাদের ক্রিকেট-সূচি এখন আগের চেয়ে অনেক ব্যস্ত। আগে বিসিএল ছিল না, বিপিএল ছিল না। এগুলো হচ্ছে বলে ঢাকা লিগ একটু পিছিয়ে যাচ্ছে। তবে আমরা সামনে এটা নিয়ে কাজ করবো।’
লিগের একটি ম্যাচে ৫০ ওভার উইকেটকিপিং করার পর ব্যাটিংয়ে নেমে ব্যক্তিগত ৬৬ রানে ক্র্যাম্পের কারণে মাঠ ছাড়তে বাধ্য হন জাকির হোসেন। এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে পাইলট লিখেছেন, ‘দীর্ঘ সময় প্রচণ্ড গরমে মাঠে থাকার কারণে সারা শরীরে ক্র্যাম্প ছড়িয়ে পড়তে থাকে জাকিরের। সারা শরীরে বরফ ম্যাসেজের পরও ঠিক মতো সাড়া দিচ্ছিল না ও। অবস্থার উন্নতি না দেখে তড়িঘড়ি অ্যাম্বুলেন্স ডেকে পাঠানো হয়। শেষ পর্যন্ত হাসপাতালে ভর্তি হওয়া না লাগলেও ২ দিন পরও পুরোপুরি ফিটনেস ফিরে পায়নি জাকির।’
পরিস্থিতি যে নাগালের বাইরে, তা প্রকারান্তরে স্বীকার করে জাতীয় দলকে নেতৃত্ব দেওয়া সুজনের মন্তব্য, ‘আজকের মিটিংয়ে এ নিয়ে আমাদের কথা হয়েছে। খেলোয়াড়রা প্রফেশনাল। এই রকম সময়ে আগেও ঢাকা লিগের খেলা শেষ হয়েছে। তবে এটা ক্রিকেটের জন্য আইডিয়াল নয়। সত্যি কথা বলতে, এই সময়ে খেলা বাচ্চাদের (তরুণ ক্রিকেটার) জন্য কঠিন। কিন্তু কিছু করার নাই।’
ক্রিকেটারদের গরম থেকে বাঁচাতে কিছু পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন তিনি, ‘গরম নিয়ে আমাদের কিছু পরিকল্পনা আছে। গরমের সময় আইস বাথের দরকার। গরমের কারণে অনেকেরই ক্র্যাম্প হচ্ছে। আমরা ছেলেদের মনিটরিংয়ে রাখছি। আমাদের ট্রেনার এবং ফিজিও সবার প্রতি খেয়াল রাখছেন।’
/আরআই/এএআর/
আরও পড়ুন:
ক্রিকেটারদের বাঁচাতে খালেদ মাসুদের আকুতি