X
সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪
১৫ বৈশাখ ১৪৩১

গ্রামে জনপ্রিয় হচ্ছে এজেন্ট ব্যাংকিং

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
১৪ মে ২০১৭, ১৯:৩২আপডেট : ১৪ মে ২০১৭, ১৯:৩৪

 

‘এজেন্ট ব্যাংকিং: আর্থিক অন্তর্ভুক্তির কার্যকারিতা’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে বক্তারা গ্রামে-গঞ্জে এখন এজেন্ট ব্যাংকিং  জনপ্রিয় হচ্ছে  বলে মনে করে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্ট (বিআইবিএম)।  প্রতিষ্ঠানটির এক গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘মোট গ্রাহকের ৩ শতাংশ দিনমজুর এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ব্যাংকে হিসাব খুলেছেন। শুধু তাই নয়, বর্তমানে মোট গ্রাহকের ৭ শতাংশ কৃষক। আর মোট গ্রাহকের ১৮ শতাংশ গৃহিণী।’ রবিবার মিরপুরে বিআইবিএম অডিটোরিয়ামে ‘এজেন্ট ব্যাংকিং: আর্থিক অন্তর্ভুক্তির কার্যকারিতা’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে এ তথ্য তুলে ধরা হয়।

গবেষণা প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করেন বিআইবিএমের পরিচালক ও অধ্যাপক ড. প্রশান্ত কুমার ব্যানার্জি।  বৈঠকে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর এস কে সুর চৌধুরী। বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ, বিআইবিএমের মহাপরিচালক ড. তৌফিক আহমদ চৌধুরী প্রমুখ।

প্রসঙ্গত, যেখানে ব্যাংকের শাখা নেই সেখানে চালু হয়েছে এজেন্ট ব্যাংকিং। ২০১৪ সালের জুনে ব্যাংকিং খাতে এজেন্ট ব্যাংকিং এর কার্যক্রম শুরু হয়। সর্বশেষ হিসেবে ১২টি ব্যাংক আড়াই হাজার এজেন্টের মাধ্যমে এ ধরনের ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করছে।

বিআবিএমের প্রতিবেদনে বলা হয়, এজেন্ট ব্যাংকিং এর ১৫ শতাংশ গ্রাহক সরকারি-বেসরকারি চাকরিজীবী, ৭ শতাংশ গ্রাহক শিক্ষার্থী। প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে ছোট ব্যবসায়ীদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে এজেন্ট ব্যাংকিং। এই ব্যাংকিং এর সর্বোচ্চ ২৯ শতাংশ গ্রাহক ছোট ব্যবসায়ী। এর পরেই  দ্বিতীয় অবস্থানে আছেন গৃহিণীরা; যার পরিমাণ ১৮ শতাংশ।

খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ বলেন, এজেন্ট ব্যাংকিং দিন দিন জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। এটা আমাদের জন্য ইতিবাচক। তবে এখানে এখন এক ধরনের গোপনীয় ব্যাংকিং শুরু হয়েছে। যা নিয়ন্ত্রণ করা প্রয়োজন। তিনি বলেন, গোপনীয় এজেন্টরা এর মাধ্যমে হুন্ডি ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। ক্রমেই এদের সংখ্যা বাড়ছে। দেশের স্বার্থে যা নিয়ন্ত্রণ করা প্রয়োজন। এসব গোপন এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।

এস কে সুর চৌধুরী বলেন, বেশ কয়েকটি ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং এর লাইসেন্স নিলেও হাতে গোনা দু-তিনটি ব্যাংক কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এ সংখ্যা আরও বাড়ানো প্রয়োজন।

বিআইবিএমের মহাপরিচালক ড. তৌফিক আহমদ চৌধুরী বলেন, বিপুল সংখ্যক জনগোষ্ঠী এখনও ব্যাংকিং সেবা পায় না। টেকসই উন্নয়নের জন্য এসব লোককে ব্যাংকিং সেবার আওতায় আনতে হবে। তিনি বলেন, মোবাইল ব্যাংকিং , এজেন্ট ব্যাংকিং এবং স্কুল ব্যাংকিং সবই মূলত ব্যাংক জাল বাড়ানোর জন্য। এ কারণে এ ধরণের ব্যাংকিং-এর জন্য একটি সমন্বিত নীতিমালা জরুরি। আর্থিক শিক্ষা দিতে না পারলে এজেন্ট ব্যাংকিং টিকবে না বলে মন্তব্য করেন তিনি। একই সঙ্গে ব্যাংকগুলোকে একই স্থানে অতিরিক্ত শাখা না খোলার আহ্বান জানান বিআইবিএমের মহাপরিচালক।

প্রতিবেদনে দেখা গেছে, এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছে ঢাকা বিভাগ। মোট গ্রাহকের ২৪ শতাংশ এ অঞ্চলের বাসিন্দা। এর পরেই রয়েছে চট্টগ্রাম বিভাগ। ১৮ শতাংশ গ্রাহক চট্টগ্রামের বাসিন্দা। জনপ্রিয়তার দিক দিয়ে তৃতীয় অবস্থানে রাজশাহী। এছাড়া সবচেয়ে কম জনপ্রিয় সিলেট বিভাগ; যেখানে মোট গ্রাহকের মাত্র ৫ শতাংশ এ অঞ্চলে বসবাস করে।

/ জিএম/এমএনএইচ/

 

সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
মাড় ফেলে ভাত রান্না হলে ‘১৫ ভাগ অপচয় হয়’
মাড় ফেলে ভাত রান্না হলে ‘১৫ ভাগ অপচয় হয়’
শরীরের তাপ কমায় এই ৮ খাবার
শরীরের তাপ কমায় এই ৮ খাবার
বন ও বনভূমি রক্ষায় কর্মকর্তাদের নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করতে হবে: পরিবেশমন্ত্রী
বন ও বনভূমি রক্ষায় কর্মকর্তাদের নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করতে হবে: পরিবেশমন্ত্রী
মোনাকোর হারে লিগ ওয়ান চ্যাম্পিয়ন পিএসজি
মোনাকোর হারে লিগ ওয়ান চ্যাম্পিয়ন পিএসজি
সর্বাধিক পঠিত
ভূমি ব্যবস্থাপনায় চলছে জরিপ, যেসব কাগজ প্রস্তুত রাখতে হবে
ভূমি ব্যবস্থাপনায় চলছে জরিপ, যেসব কাগজ প্রস্তুত রাখতে হবে
এমন আবহাওয়া আগে দেখেনি ময়মনসিংহের মানুষ
এমন আবহাওয়া আগে দেখেনি ময়মনসিংহের মানুষ
‘হিট অফিসার’: পদ কীভাবে নেতিবাচক হয়ে ওঠে
‘হিট অফিসার’: পদ কীভাবে নেতিবাচক হয়ে ওঠে
স্কুলে আসার আগেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন শিক্ষক
স্কুলে আসার আগেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন শিক্ষক
প্রাথমিক বাদে সোমবার ৫ জেলার সব স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা বন্ধ
প্রাথমিক বাদে সোমবার ৫ জেলার সব স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা বন্ধ