X
সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪
১৫ বৈশাখ ১৪৩১

আন্ডারগ্রাউন্ড ক্যাবলিং: ১৫ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
৩১ অক্টোবর ২০১৯, ১৫:১৪আপডেট : ৩১ অক্টোবর ২০১৯, ১৯:০৯

 রাজধানীর কোন কোন এলাকায় আন্ডারগ্রাউন্ড ক্যাবলিং করা যায় সে বিষয়ে ১৫ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দিয়েছেন বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু। বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) বিদ্যুৎ ভবনে ঝুলন্ত তার ভূগর্ভে নিয়ে যাওয়া বিষয়ে এক আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় তিনি এই নির্দেশনা দেন।

রাজধানীতে ঝুলন্ত তার ভূগর্ভে নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে গত দশ বছর ধরে আলোচনা চলছে। তবে ঢাকার ইন্টারনেট ও ক্যাবল অপারেটররা সরকারের উদ্যোগে সায় দিচ্ছিলো না। এতে করে ঝুলন্ত তারে ছেয়ে আছে পুরো শহর। শ্রীহীনতার পাশাপাশি দুর্ঘটনাও ঘটছে প্রতিদিন। বিদ্যুৎ বিভাগ মাঝে-মধ্যে তার সরানোর উদ্যোগ নিলেও আবার অজানা কারণে তা থমকে যায়। অবশ্য বিতরণ কোম্পানিগুলো বলছে, প্রতিমাসে অন্তত আটদিন তারা ঝুলন্ত তার অপসারণের কাজ করছে। তবে অভিযোগ রয়েছে, একদিক দিয়ে তার কেটে ফেললে সার্ভিস প্রোভাইডাররা অন্যদিক সংযোগ দিচ্ছে।

এ নিয়ে বৃহস্পতিবারের সভায় বিদ্যুৎ বিভাগের সঙ্গে উত্তপ্ত আলোচনার এক পর্যায়ে সাংবাদিকদের সভা থেকে বের হয়ে যাওয়ার অনুরোধ করা হয়।

সভায় উপস্থিত বিদ্যুৎ বিভাগের এক কর্মকর্তা বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, মূলত সরকারি সংস্থাগুলোর কাছে সমন্বয়হীনতার ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে। বিটিআরসিকে ঢাকা মহানগরের যেসব এলাকায় লোকাল ডিস্ট্রিবিউশন পয়েন্ট (এলডিপি) আছে তার তালিকা করে জিআইএস ম্যাপসহ বিদ্যুৎ বিভাগে জমা দিতে বলা হয়েছিল। ২০১৬ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি এক আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় ওই নির্দেশনা দেওয়া হয়। এর জন্য এক সপ্তাহ সময় দেওয়া হলেও গত তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে তালিকা জমা করতে পারেনি প্রতিষ্ঠানটি। প্রতিমন্ত্রী বিষয়টি নিয়ে সভায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

এ বিষয়ে সমাধানে পৌঁছাতে গত ১৭ জুলাই বিদ্যুৎ বিভাগের সিনিয়র সচিব ক্যাবল অপারেটরদের নিয়ে বৈঠক করেন। ১৮ জুলাই প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিবও একই ধরনের আরেকটি সভা করেন।

এদিকে পাওয়ার সেল বলছে প্রতিমাসেই ঝুলন্ত তার অপসারণে তারা সভা করছে। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে ঝুলন্ত তার অপসারণের কোনও উদ্যোগ কার্যকর হচ্ছে না।

সভার পর প্রতিমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, আগামী ১৫ দিনের মধ্যে বিদ্যুৎ বিভাগের সংশ্লিষ্ট কমিটি একটি প্রতিবেদন দেবে। সেই প্রতিবেদনে রাজধানীর কোন কোন এলাকায় আন্ডারগ্রাউন্ড ক্যাবলিং সিস্টেম চালু করা যায় তার উল্লেখ থাকবে। যেখানে সুযোগ রয়েছে সেখানে দ্রুত ঝুলন্ত তার মাটির নিচে নিয়ে যাওয়া দরকার।

তিনি আরও বলেন, শুধুমাত্র ইন্টারনেট ও ডিস লাইন নয়, রাস্তার সিগন্যাল বাতি, সিসি ক্যামেরার যেসব তার রয়েছে সেগুলোও নিচে নেওয়া সম্ভব।

বিপু বলেন, ঢাকার ধানমন্ডিতে ডিপিডিসি আন্ডারগ্রাউন্ড ক্যাবলিং সিস্টেম চালু করতে যাচ্ছে। সেখানে বিদ্যুতের তারের সঙ্গে অন্যসব ঝুলন্ত তারও মাটির নিচে নিয়ে যাওয়া হবে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ঢাকার নতুন শহরগুলোতে আন্ডারগ্রাউন্ড ক্যাবলিং সিস্টেম চালুর জন্য বিদ্যুৎ বিভাগ অনুরোধ করলেও রাজউক বিষয়টিকে গুরুত্ব দেয়নি। এখন আমরা পূর্বাচল এবং উত্তরা থার্ড ফেইজ এলাকায় আন্ডারগ্রাউন্ড ক্যাবলিং সিস্টেম প্রকল্প হাতে নিচ্ছি। এজন্য আমাদের অতিরিক্ত টাকা খরচ হবে।

সভার ক্যাবল অপারেটর এবং ইন্টারনেট সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে এনটিটিএন’র সামিট কমিউনিকেশন এবং ফাইবার অ্যাট হোম অংশ নেয়। সভায় ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়, বিটিআরসি, রাজউক, মেট্রোপলিটন পুলিশের কমকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

 

/এসএনএস/টিটি/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
মোনাকোর হারে লিগ ওয়ান চ্যাম্পিয়ন পিএসজি
মোনাকোর হারে লিগ ওয়ান চ্যাম্পিয়ন পিএসজি
বাজারে এলো বাংলা ভাষার স্মার্টওয়াচ ‘এক্সপার্ট’
বাজারে এলো বাংলা ভাষার স্মার্টওয়াচ ‘এক্সপার্ট’
চার বছরে আট ফ্লপ, আসছে আরও এক হালি!
চার বছরে আট ফ্লপ, আসছে আরও এক হালি!
জোড়া আঘাতে হায়দরাবাদকে গুটিয়ে চেন্নাইয়ের জয় রাঙালেন মোস্তাফিজ
জোড়া আঘাতে হায়দরাবাদকে গুটিয়ে চেন্নাইয়ের জয় রাঙালেন মোস্তাফিজ
সর্বাধিক পঠিত
ভূমি ব্যবস্থাপনায় চলছে জরিপ, যেসব কাগজ প্রস্তুত রাখতে হবে
ভূমি ব্যবস্থাপনায় চলছে জরিপ, যেসব কাগজ প্রস্তুত রাখতে হবে
এমন আবহাওয়া আগে দেখেনি ময়মনসিংহের মানুষ
এমন আবহাওয়া আগে দেখেনি ময়মনসিংহের মানুষ
‘হিট অফিসার’: পদ কীভাবে নেতিবাচক হয়ে ওঠে
‘হিট অফিসার’: পদ কীভাবে নেতিবাচক হয়ে ওঠে
স্কুলে আসার আগেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন শিক্ষক
স্কুলে আসার আগেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন শিক্ষক
প্রাথমিক বাদে সোমবার ৫ জেলার সব স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা বন্ধ
প্রাথমিক বাদে সোমবার ৫ জেলার সব স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা বন্ধ