X
বুধবার, ০২ জুলাই ২০২৫
১৮ আষাঢ় ১৪৩২

প্রবাসী আয়ে বড় বিপর্যয়

গোলাম মওলা
০২ এপ্রিল ২০২০, ১৯:৩০আপডেট : ০২ এপ্রিল ২০২০, ২০:২৯

বাংলাদেশ ব্যাংক

অর্থনীতির শক্ত ভিত বলে খ্যাত প্রবাসী আয়েও করোনার আঘাত লেগেছে। প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স প্রবাহ হঠাৎ করেই থমকে দাঁড়িয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য বলছে, গত মার্চ মাসে প্রবাসী আয়ের প্রবৃদ্ধি হয়েছে নেগেটিভ। শুধু তাই নয়, গত ১৪ মাসের মধ্যে মার্চ মাসে প্রবাসীরা সবচেয়ে কম রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, গত ডিসেম্বর মাসে আগের বছরের একই সময়ে প্রবাসী আয়ের প্রবৃদ্ধি ছিল ৩৯ দশমিক ৭৯ শতাংশ। অথচ সদ্য বিদায় নেওয়া মার্চ মাসে আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় প্রবাসী আয়ের প্রবৃদ্ধি হয়েছে মাইনাস ১১ দশমিক ৭৯ শতাংশ।

এ প্রসঙ্গে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, ‘প্রবাসীরা যেসব দেশ থেকে রেমিট্যান্স পাঠাতেন, সেসব দেশে এখন করোনা ভাইরাসের কারণে লকডাউন। জীবন বাঁচাতে এখন সবাই মরিয়া।’ তিনি বলেন, ‘প্রবাসীদের অনেকেই দেশে চলে এসেছে। আর যারা ওই দেশে আটকা পড়েছে, তাদের আয় কমে গেছে। ফলে মার্চ মাসে যে পরিমাণ রেমিট্যান্স পাওয়া গেছে, এপ্রিলে আরও কমে আসবে।’

বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান বিআইডিএস-এর গবেষক ড. জায়েদ বখত মনে করেন, সারা পৃথিবীর অবস্থা এখন টালমাটাল। ফলে প্রবাসীদের হাতে কাজ নেই। যারা এখনও বিভিন্ন দেশে রয়ে গেছেন, তারা হয়তো চুপচাপ ঘরে বন্দি হয়ে থাকছেন। তিনিও মনে করেন, আগামী মাসে প্রবাসী আয় আরও  কমে আসতে পারে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, ২০১৯ সালের মার্চের তুলনায় এই বছরের মার্চে প্রবাসীরা ১৭ কোটি ডলার কম পাঠিয়েছেন। ২০১৯ সালে তারা পাঠিয়েছিলেন ১৪৫ কোটি ৮৬ লাখ ডলার। আর গত মার্চ মাসে প্রবাসীরা ১২৮ কোটি ৬০ লাখ ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন, যা গত ১৪ মাসের মধ্যে সবচেয়ে কম। ১৪ মাস আগে অর্থাৎ ২০১৮ সালের ডিসেম্বর মাসে প্রবাসীরা পাঠিয়েছিলেন এর চেয়ে কম, অর্থাৎ ১২০ কোটি ৬৯ লাখ ডলার।

বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে গত ডিসেম্বরে প্রবাসী আয় এসেছে ১৬৮ কোটি ৭০ লাখ ডলার। জানুয়ারিতে এসেছে ১৬৩ কোটি ৮৪ লাখ ডলার। ফেব্রুয়ারিতে এসেছে ১৪৫ কোটি ২০ লাখ ডলার।

প্রসঙ্গত, বিদায়ী বছরজুড়ে প্রবাসী আয়ে বড় ধরনের বৃদ্ধি ঘটে। পুরো বছরে প্রবাসীরা এক হাজার ৮৩৩ কোটি মার্কিন ডলারের আয় পাঠিয়েছেন। বাংলাদেশি টাকায় যার পরিমাণ এক লাখ ৫৫ হাজার ৮০৫ কোটি টাকা। আর ২০১৮ সালে এসেছিল এক হাজার ৫৫৩ কোটি ডলার।  প্রবাসী আয়ে ২ শতাংশ প্রণোদনা, ডিজিটাল হুন্ডি বন্ধের উদ্যোগ ও ডলারের বিপরীতে টাকার মূল্যমান কমায় বৈধ পথে আয়  আসা বাড়তে ছিল, কিন্তু করোনার কারণে হঠাৎ ছন্দপতন হলো।

/এপিএইচ/এমএমজে/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
কুমিল্লায় বাস ও ট্রাকের ধাক্কায় ৩ জন নিহত
কুমিল্লায় বাস ও ট্রাকের ধাক্কায় ৩ জন নিহত
সীমানা নির্ধারণ ও তত্ত্বাবধায়ক ইস্যুতে রাজনৈতিক দলগুলো একমত: আলী রীয়াজ
সীমানা নির্ধারণ ও তত্ত্বাবধায়ক ইস্যুতে রাজনৈতিক দলগুলো একমত: আলী রীয়াজ
বিচারকের সঙ্গে খারাপ আচরণ: আপিলের শর্তে জামিন পেলেন আইনজীবী
বিচারকের সঙ্গে খারাপ আচরণ: আপিলের শর্তে জামিন পেলেন আইনজীবী
সাবেক এমপি জাফর আলম আরও ৭ দিনের রিমান্ডে
সাবেক এমপি জাফর আলম আরও ৭ দিনের রিমান্ডে
সর্বাধিক পঠিত
অবশেষে রিজার্ভে আইএমএফের লক্ষ্য পূরণ হলো
অবশেষে রিজার্ভে আইএমএফের লক্ষ্য পূরণ হলো
যারা ফেসবুক লাল করেছিল, তাদের জীবন লাল করে দেবে আ.লীগ: পার্থ
যারা ফেসবুক লাল করেছিল, তাদের জীবন লাল করে দেবে আ.লীগ: পার্থ
ক্যাম্পাসে নতুন সভাপতির প্রবেশ ঠেকাতে দুদিন পাঠদান বন্ধ!
ঢাকা সিটি কলেজক্যাম্পাসে নতুন সভাপতির প্রবেশ ঠেকাতে দুদিন পাঠদান বন্ধ!
পরীক্ষার প্রশ্নে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ, তদন্তে কমিটি
পরীক্ষার প্রশ্নে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ, তদন্তে কমিটি
বাসা থেকে বিচারকের স্ত্রীর লাশ উদ্ধার
বাসা থেকে বিচারকের স্ত্রীর লাশ উদ্ধার