X
সোমবার, ০৭ জুলাই ২০২৫
২৩ আষাঢ় ১৪৩২

জ্বালানি নীতিতে পরিবেশ এবং ব্যয় নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে: বাপা

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
২৬ জুলাই ২০২০, ১৩:৪০আপডেট : ২৭ জুলাই ২০২০, ০০:৩২

জ্বালানি নীতিতে পরিবেশ এবং ব্যয় নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে: বাপা জ্বালানি নীতিতে পরিবেশ এবং ব্যয় নিয়ন্ত্রণে রাখার উদ্যোগ নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা)।  রোববার (২৬ জুলাই) সকালে এক সেমিনারে বিশেষজ্ঞরা এই আহ্বান জানান। জ্বালানি নীতি পরিবেশ এবং বাজেটের ওপর অভিঘাত নিয়ে  এই অনলাইন সেমিনারের আয়োজন করা হয়। এতে বলা হয়, রূপপুর এবং রামপাল নিয়ে সরকারের নতুন করে চিন্তা করা উচিত।
বাপার ভাইস প্রেসিডেন্ট এস নজরুল ইসলাম মূল প্রবন্ধে বলেন, পরিবেশ রক্ষায় জ্বালানি নীতিতে কী কী পরিবর্তন আনা প্রয়োজন সেটা নিয়ে আলোচনা করা দরকার। এখানে পর্যাপ্ত উৎপাদন, বিদ্যুতের সঞ্চালন বিতরণ, বিদ্যুতের শিল্প এবং গৃহস্থালিতে ব্যবহার নিয়ে আলোচনা করা উচিত। পরিবেশের ওপর কী প্রভাব ফেলছে তা নিয়ে আলোচনা করা উচিত। যে জ্বালানি নীতি সরকার ১২ বছর ধরে অনুসরণ করছে সেখানে উৎপাদনে সফল হলেও পরিবেশের ওপর এর খারাপ প্রভাব পড়ছে। আমাদের জ্বালানি নীতি এমন হতে হবে, যেখানে উৎপাদন ঠিক রেখে টেকসই পরিবেশ ব্যবস্থাপনা বজায় রাখতে হবে।

তিনি বলেন, এটা পরিষ্কার যে গত ১২ বছরে যে উৎপাদন বৃদ্ধির চেষ্টা সেখানে নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহার একেবারে বাড়েনি। এটা বাড়ানো উচিত ছিল। ভারতেও ১৫ ভাগের বেশি নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে বিদ্যুৎ উৎপাদন করছে। সারা বিশ্বই যখন কয়লা থেকে, পরমাণু থেকে সরে আসছে, সেখানে আমাদের দেশে নতুন জ্বালানি হিসেবে সেগুলোকে গ্রহণ করা হচ্ছে। তিনি বলেন, পরিবেশের দিক থেকে বিবেচনা করলে বাংলাদেশের জ্বালানি নীতি শূন্য পাবে।

অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক আনু মুহম্মদ বলেন, বহু বছর ধরে এসব আলোচনা হচ্ছে। কিন্তু কিছু হচ্ছে না। এজন্য এ আলোচনাগুলো বারবার তুলে ধরে উচিত। তিনি বলেন, গত দশ বছর ধরে রামপাল, দেশের গ্যাস অনুসন্ধান নিয়ে যত আলোচনা হয়েছে সেই কথাই কর্ণপাত সরকার করেনি। তিনি বলেন,  সরকারি দলের মানুষও রামপালের পক্ষে নয়। কিন্তু তারাও ভয়ে কোনও কথা বলতে পারেন না।

তিনি বলেন, যে কোম্পানিগুলো বাংলাদেশে বিনিয়োগ করছে তারাই জ্বালানি নীতি তৈরি করেছে। এতে দেশের স্বার্থ রক্ষা হচ্ছে না। সরকার গ্যাস অনুসন্ধানের ফাইল আটকে রাখছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

ভূতাত্ত্বিক অধ্যাপক বদরুল ইমাম বলেন, সরকারকে আমরা চার বছর আগে রামপাল নিয়ে একটি প্রতিবেদন দিয়েছিলাম। এরপর সরকার আমাদের সঙ্গে বসতে চেয়েছিল। কিন্তু গত চার বছরেও বসেনি। আমরা অনুরোধ করলেও তারা কর্ণপাত করেনি। তিনি বলেন, এখন এলএনজি এবং কয়লা আমদানি করা হচ্ছে। তাহলে কি আমাদের নিজ জ্বালানি শেষ হয়ে গেছে? এটা একজন ভূতাত্ত্বিক হিসেবে আমরা মানতে পারি না। আমাদের বঙ্গোপসাগরে অনেক গ্যাস এবং তেল মজুদ রয়েছে। ভারত এবং মিয়ানমার সীমান্তের ব্লকগুলো সম্ভাবনাময় হলেও আমরা কিছু করতে পারছি না।

সেমিনারে অন্যান্যের মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান, অধ্যাপক ড. সাজেদ কামাল, অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান, সিপিডির ফেলো ড. মুস্তাফিজুর রহমান, বাপার সদস্য সচিব ডা. আব্দুল মতিন বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বাপার সাধারণ সম্পাদক শরীফ জামাল।

/এসএনএস/এমআর/এমওএফ/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
দ্বিতীয় ধাপে দশম দিনের বৈঠকে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন
দ্বিতীয় ধাপে দশম দিনের বৈঠকে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন
ইয়েমেনে হুথিদের তিনটি লক্ষ্যবস্তুতে বিমান হামলা চালালো ইসরায়েল
ইয়েমেনে হুথিদের তিনটি লক্ষ্যবস্তুতে বিমান হামলা চালালো ইসরায়েল
বৈষ্যমবিরোধী আন্দোলনে শহীদ হাসিবের পরিবারের অনুদান না পাওয়ার অভিযোগ
বৈষ্যমবিরোধী আন্দোলনে শহীদ হাসিবের পরিবারের অনুদান না পাওয়ার অভিযোগ
কুষ্টিয়াসহ তিন জেলায় যৌথবাহিনীর অভিযান, অস্ত্র-মাথার খুলিসহ গ্রেফতার ৪
কুষ্টিয়াসহ তিন জেলায় যৌথবাহিনীর অভিযান, অস্ত্র-মাথার খুলিসহ গ্রেফতার ৪
সর্বাধিক পঠিত
সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের মর্যাদা পাচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক 
সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের মর্যাদা পাচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক 
লোহিত সাগরে জাহাজে হামলায় আগুন, ডুবে যাওয়ার শঙ্কা
লোহিত সাগরে জাহাজে হামলায় আগুন, ডুবে যাওয়ার শঙ্কা
ফার্মেসিতে ওষুধের আড়ালে ‘ট্যাপেন্টাডল’ বিক্রির অভিযোগ, আটক ৫
ফার্মেসিতে ওষুধের আড়ালে ‘ট্যাপেন্টাডল’ বিক্রির অভিযোগ, আটক ৫
বিশেষ বিমানে গুজরাট থেকে দুই শতাধিক ‘বাংলাদেশি’কে সীমান্তে পাঠালো ভারত 
বিশেষ বিমানে গুজরাট থেকে দুই শতাধিক ‘বাংলাদেশি’কে সীমান্তে পাঠালো ভারত 
সেই ব্যাংক কর্মকর্তার খোঁজ মিলেছে
সেই ব্যাংক কর্মকর্তার খোঁজ মিলেছে