X
শনিবার, ০৪ মে ২০২৪
২০ বৈশাখ ১৪৩১

গতবারের চেয়ে এবার কৃষিঋণ ২০০০ কোটি টাকা বেশি বিতরণ করতে চায় ব্যাংক

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
২৯ জুলাই ২০২১, ১৫:৩৪আপডেট : ২৯ জুলাই ২০২১, ১৫:৩৪

দারিদ্র্য বিমোচন, ক্ষুধামুক্তি এবং গ্রামীণ অর্থনীতির উন্নয়নের উদ্দেশ্যে পল্লী অঞ্চলে পর্যাপ্ত কৃষি ঋণ প্রবাহ বৃদ্ধির মাধ্যমে কৃষি উৎপাদন বাড়াতে চায় বাংলাদেশ ব্যাংক। 

বৃহস্পতিবার (২৯ জুলাই) নতুন কৃষিঋণ নীতিমালা ঘোষণা করেছে। নতুন এই মুদ্রানীতিতে এই তিনটি বিষয়কে সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।

নতুন অর্থবছরের জন্য কৃষি ও পল্লী ঋণ নীতিমালায় চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরে কৃষকদের জন্য ২৮ হাজার ৩৯১ কোটি টাকা ঋণ বরাদ্দ রেখেছে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো। যা আগের অর্থবছরের বরাদ্দের চেয়ে প্রায় দুই হাজার কোটি টাকা বেশি।

নী‌তিমালায় বলা হয়, করোনা মহামারির কারণে সৃষ্ট আর্থিক সংকট মোকাবিলায় এবং সরকারের কৃষি ও কৃষকবান্ধব নীতির সঙ্গে সঙ্গতি রেখে দেশের টেকসই উন্নয়নের নির্ধারিত লক্ষ্যের কৃ‌ষি ও পল্লীঋণ নীতিমালায় তিনটি বিষয় জোর দেওয়া হয়েছে। এগুলো হলো দারিদ্র্য বিমোচন, ক্ষুধামুক্তি এবং গ্রামীণ অর্থনীতির উন্নয়নের উদ্দেশ্যে পল্লী অঞ্চলে পর্যাপ্ত কৃষিঋণ প্রবাহ বৃদ্ধির মাধ্যমে কৃষি উৎপাদন বাড়ানো। 

চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশ ব্যাংকের বার্ষিক কৃষি ও পল্লীঋণ বিতর‌ণের লক্ষ্য ঠিক ক‌রে‌ছে ২৮ হাজার ৩৯১ কোটি টাকা। যা গত অর্থবছরের চেয়ে ৭ দশমিক ৯৮ শতাংশ বেশি। গত অর্থবছর কৃষিঋণের লক্ষ্য ছিল ​২৬ হাজার ২৯২ কোটি টাকা।

এ নীতিমালায় আওতায় সোনালি মুরগী ও মহিষ এবং গাড়ল পালনের জন্য ঋণ দেওয়া হবে। কৃষিঋণের সুদহার ৮ শতাংশ।

নীতিমালায় বলা হয়েছে, কৃষি ও পল্লী ঋণের ক্রমবর্ধমান চাহিদা বিবেচনায় চলতি অর্থবছরে রাষ্ট্র মালিকানাধীন বাণিজ্যিক ও বিশেষায়িত ব্যাংকসমূহের জন্য ১১ হাজার ৪৫ কোটি টাকা এবং বেসরকারি ও বিদেশি বাণিজ্যিক ব্যাংকসমূহ ১৭ হাজার ৩৪৬ কোটি টাকা কৃষি ও পল্লীঋণ বিতরণ করবে।  

গত ২০২০-২১ অর্থবছরে ব্যাংকসমূহ ২৫ হাজার ৫১১ কোটি ৩৫ লাখ টাকা কৃষি ও পল্লীঋণ বিতরণ করেছে। যা লক্ষ্যমাত্রা ২৬ হাজার ২৯২ কোটি টাকার ৯৭ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ।

গত অর্থবছরে মোট ৩০ লাখ ৫৫ হাজার ১৬৬ জন কৃষিঋণ পেয়েছেন। যার মধ্যে ব্যাংকসমূহের নিজস্ব নেটওয়ার্ক ও এমএফআই লিংকেজের মাধ্যমে ১৬ লাখ পাঁচ হাজার ৯৪৭ জন নারী প্রায় নয় হাজার ২৮৭ কোটি ৯৬ লাখ টাকা কৃষি ও পল্লীঋণ পেয়েছেন। একই অর্থবছরে ২২ লাখ ৪৫ হাজার ৫১২ জন ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষি বিভিন্ন ব্যাংক থেকে প্রায় ১৭ লাখ ৬৩৯ কোটি ৯৩ লাখ টাকা ঋণ নিয়েছেন এবং চর, হাওর প্রভৃতি অনগ্রসর এলাকার সাত হাজার ৭৯৬ জন কৃষক প্রায় ৩৩ কোটি ৯৬ লাখ টাকা কৃষি ও পল্লীঋণ পেয়েছেন।

 

/জিএম/এনএইচ/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
ছেলের মৃত্যুর ৪ দিনের মাথায় চলে গেলেন বাবা, গ্রামজুড়ে শোকের ছায়া
ছেলের মৃত্যুর ৪ দিনের মাথায় চলে গেলেন বাবা, গ্রামজুড়ে শোকের ছায়া
গাজা ও ইউক্রেনে যুদ্ধ বন্ধে যুক্তরাজ্যের সঙ্গে কাজ করতে চায় বাংলাদেশ: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
গাজা ও ইউক্রেনে যুদ্ধ বন্ধে যুক্তরাজ্যের সঙ্গে কাজ করতে চায় বাংলাদেশ: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
অনেক নার্ভাস ছিলেন সাইফউদ্দিন
অনেক নার্ভাস ছিলেন সাইফউদ্দিন
বকশিবাজার মোড়ে বাসের ধাক্কায় পথচারী নিহত
বকশিবাজার মোড়ে বাসের ধাক্কায় পথচারী নিহত
সর্বাধিক পঠিত
মুক্তি পেলেন মামুনুল হক
মুক্তি পেলেন মামুনুল হক
যশোরে আজ সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
যশোরে আজ সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
২৫ জেলার সব মাধ্যমিক স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা শনিবার বন্ধ
২৫ জেলার সব মাধ্যমিক স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা শনিবার বন্ধ
কেমন থাকবে আগামী কয়েকদিনের আবহাওয়া?
কেমন থাকবে আগামী কয়েকদিনের আবহাওয়া?
নদীতে ধরা পড়ছে না ইলিশ, কারণ জানালেন মৎস্য কর্মকর্তা
নদীতে ধরা পড়ছে না ইলিশ, কারণ জানালেন মৎস্য কর্মকর্তা