পাঁচ ইসলামী ব্যাংকের সম্ভাব্য একীভূতকরণ ও আর্থিক স্বাস্থ্য যাচাইয়ের জটিল প্রেক্ষাপটে পদত্যাগ করেছেন এক্সিম ব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এম আখতার হোসেন। তিনি ব্যাংকটির অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এএমডি) হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছিলেন।
গত মঙ্গলবার (১৭ জুন) অনুষ্ঠিত পরিচালনা পর্ষদের সভায় তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে পদত্যাগপত্র জমা দেন। জানুয়ারি ২০২৫-এ এক্সিম ব্যাংকে যোগদানের পর থেকেই তিনি চ্যালেঞ্জিং প্রেক্ষাপটে ব্যাংকটির শীর্ষ নির্বাহী হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।
এর আগে, বাংলাদেশ ব্যাংকের পরামর্শে এক্সিম ব্যাংকের তৎকালীন এমডি মোহাম্মদ ফিরোজ হোসেনকে ছুটিতে পাঠানো হয়। এরপর থেকে আখতার হোসেন এমডির দায়িত্বে ছিলেন।
বর্তমানে এক্সিম ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী, গ্লোবাল ইসলামী, ইউনিয়ন ব্যাংক ও সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের একীভূতকরণ প্রক্রিয়া চলছে। এ লক্ষ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক এসব ব্যাংকের সম্পদ ও ঋণের গুণগত মান যাচাইয়ে উদ্যোগ নিয়েছে।
সম্প্রতি আন্তর্জাতিক অডিট প্রতিষ্ঠান আর্নেস্ট অ্যান্ড ইয়াং-এর প্রতিবেদনে এক্সিম ব্যাংকের আর্থিক পরিস্থিতি নিয়ে গুরুতর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, ব্যাংকটির মোট ঋণ বিতরণ ৫২ হাজার ৭৬ কোটি টাকা হলেও এর মধ্যে ২৫ হাজার ১০১ কোটি টাকা—অর্থাৎ ৪৮.২০ শতাংশ—খেলাপি। অথচ ব্যাংকটি তাদের অভ্যন্তরীণ হিসাবে খেলাপি দেখিয়েছে মাত্র ৩.৮২ শতাংশ।
ব্যাংকিং খাত সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, এই অস্বচ্ছ হিসাব এবং একীভূতকরণ নিয়ে চাপা উত্তেজনার মধ্যেই আখতার হোসেন পদত্যাগ করেছেন। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, একীভূতকরণ প্রক্রিয়া যত এগোচ্ছে, ততই এসব ব্যাংকের ব্যবস্থাপনায় অস্থিরতা দেখা দিচ্ছে।