জাপান হলো বাংলাদেশের উন্নয়ন সহযোগী। দেশটি বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য এবং বিনিয়োগের অংশীদার। সেজন্যই জাপানের সঙ্গে এফটিএ বা ইপিএ সইয়ের বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন বলে মনে করেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
রবিবার (৫ জুন) ঢাকায় হোটেল লেকশোরে জাপান এক্সটার্নাল ট্রেড অর্গানাইজেশন (জেটরো) এবং জাপান-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (জেবিসিসিআই) আয়োজিত ‘দি সার্ভে অন এফটিএ/ইপিএ বিটুইন জাপান অ্যান্ড বাংলাদেশ’ শীর্ষক সেমিনারে এসব কথা বলেন তিনি। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এ বিষয়ে সম্ভাব্যতা যাচাই শুরু করার সময় এসেছে। বাংলাদেশ সরকার বিদেশি বিনিয়োগ উৎসাহিত করতে বিনিয়োগকারীদের জন্য বিশেষ সুযোগ-সুবিধা প্রদান করছে।’
টিপু মুনশি বলেন, ‘বাংলাদেশ এলডিসি গ্র্যাজুয়েশনের পর বিভিন্ন দেশের সঙ্গে ফ্রি ট্রেড এগ্রিমেন্ট (এফটিএ) বা প্রিপারেনসিয়াল ট্রেড এগ্রিমেন্ট (পিটিএ) বা ইকোনমিক পার্টনারশিপ এগ্রিমেন্ট (ইপিএ) এর মতো চুক্তি করে বাণিজ্য সুবিধা আদায়ের প্রচষ্টা শুরু করেছে। বাংলাদেশ ইতোমধ্যে ভুটানের সঙ্গে এফটিএ সই করেছে।’
বাংলাদেশ গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসায়িক অংশীদার কানাডা, জাপান, চীন, ইন্ডিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, অস্ট্রেলিয়া এবং রাশিয়ার সঙ্গে এ ধরনের চুক্তি সইয়ের প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ব্যবসায়িকভাবে গুরুত্বপূর্ণ দেশের সঙ্গে এধরনের বাণিজ্যচুক্তি সইয়ের নির্দেশনা দিয়েছেন। এতে বাংলাদেশ সাময়িকভাবে শুল্ক হারালেও দীর্ঘমেয়াদে লাভবান হবে।’
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ বিনিয়োগের জন্য এখন খুবই আকর্ষণীয় স্থান। বিনিয়োগ এবং বাণিজ্য বৃদ্ধির জন্য বাংলাদেশ উন্নত এবং উন্নয়নশীল দেশের সঙ্গে প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। বাংলাদেশ যেসব দেশে বেশি রফতানি করে, সে দেশগুলোর সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে।’
সেমিনারে ঢাকায় নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত নাওকি ইটো, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ এবং বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড টেরিফ কমিশনের চেয়ারম্যান্যান মাহফুজার আকতার বক্তৃতা করেন।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জেটরো ঢাকা এবং জেবিসিসিআই’র কান্ট্রি রিপ্রেজেনটেটিভ ইউজি আনদো।
প্যানেল আলোচনায় অংশ নেন— বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব নূর মোহাম্মদ মাহবুবুল হক, জেবিসিসিআই’র প্রতিষ্ঠাতা প্রেসিডেন্ট মতিউর রহমান, পলিসি এক্সচেঞ্জ বাংলাদেশের চেয়ারম্যান্যান অ্যান্ড সিইও মাসরুর রেজা, জাপানিস কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইয়ংহো লি।
সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেবিসিসিআই’র প্রেসিডেন্ট আসিফ এ চৌধুরী। সেমিনারের মডারেটরের দায়িত্ব পালন করেন জেবিসিসিআই’র সেক্রেটারি জেনারেল তারেক রাফি ভূইয়া।
