X
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪
১২ বৈশাখ ১৪৩১

পাঁচ বছরের মধ্যে দেশে তেল পরিশোধন তিনগুণ করতে চায় বিপিসি

সঞ্চিতা সীতু
১৭ জানুয়ারি ২০২৩, ১৪:০৬আপডেট : ১৮ জানুয়ারি ২০২৩, ১৩:৫৮

টানা ১০ বছরের বেশি সময় নানা উদ্যোগ গ্রহণ আর বাতিলের পর আবারও আলোচনায় এসেছে দেশের একমাত্র তেল শোধনাগার ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেডের দ্বিতীয় ইউনিট (ইআরএল-২)। বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি) বলছে, ২০২৭ সালের মধ্যে ইআরএল ইউনিট-২ উৎপাদনে আনতে চায় তারা। এটি চালু হলে দেশেই তেল পরিশোধনের সক্ষমতা তিনগুণ বাড়বে। এখন সেভাবেই পরিকল্পনা সাজানো হচ্ছে।

জ্বালানি বিভাগের তরফ থেকে বলা হচ্ছে, আন্তর্জাতিক বাজার থেকে ক্রড বা অপরিশোধিত তেল আমদানি করে দেশে পরিশোধন করলে প্রতি লিটারে অন্তত ১০ টাকা সাশ্রয় সম্ভব। এতে প্রতি ১০ লিটারে অন্তত ১ ডলার সাশ্রয় করা সম্ভব। দেশে তেল পরিশোধন করলে বিপুল পরিমাণ সাশ্রয় সম্ভব। আবার তেল পরিশোধন করলে উপজাত হিসেবে যেসব পেট্রোলিয়াম পণ্যও পাওয়া যাবে, সেগুলো দিয়ে দেশের অন্য চাহিদা মেটানো সম্ভব। সেক্ষেত্রেও বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় সম্ভব হবে।

সূত্র বলছে, ১৯৬৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় ইআরএল, যা বছরে মাত্র ১৫ লাখ টন তেল পরিশোধন করতে পারে। কিন্তু এখন দেশের মোট জ্বালানি তেলের চাহিদা ৭০ লাখ টন। বিদেশ থেকে সরাসরি পরিশোধিত তেল কিনে এনেই চাহিদা মেটাতে হয় বিপিসিকে।

ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেড

বিপিসি সূত্র বলছে, দেশে জ্বালানি তেলের চাহিদা ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাওয়ায় পরিশোধিত জ্বালানি আমদানি উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। পরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানি নির্ভরতা কমানো এবং দেশে অপরিশোধিত জ্বালানি তেল প্রক্রিয়াকরণ করে তুলনামূলক সাশ্রয়ী মূল্যে পরিশোধিত জ্বালানি তেল উৎপাদনের জন্য ইআরএল ইউনিট-২ নামে একটি নতুন প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। ইআরএল ইউনিট-২ প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে পরিশোধনে বাৎসরিক উৎপাদন ক্ষমতা ৪৫ লাখ মেট্রিক টনে উন্নীত হবে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জ্বালানি বিভাগের এক কর্মকর্তা বলেন, এর বাইরে সরকার ভারত থেকে ১০ লাখ টন ডিজেল কেনার পরিকল্পনা করছে। সব মিলিয়ে তখন ৫৫ লাখ টন জ্বালানি তেলের চাহিদা পূরণ হবে। এছাড়া দেশের গ্যাসক্ষেত্র থেকে পাওয়া উপজাতও পরিশোধন করতে পারলে অবশিষ্ট চাহিদার সামান্য পরিমাণ পরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানি করলেই চলবে।

সম্প্রতি জ্বালানি মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটিকে ইআরএল ইউনিট-২ নির্মাণের অগ্রগতি জানিয়েছে জ্বালানি বিভাগ। এতে বিপিসির তরফ থেকে এই পরিকল্পনা তুলে ধরা হয়েছে।

বিপিসির ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘আমরা প্রকল্পের জন্য অর্থায়ন নিশ্চিত করতে না পারায় এই সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। এরমধ্যে নানা সময়ে নানা সংকটের কারণে প্রকল্পটি আর বাস্তবায়ন সম্ভব হয়নি। তবে এবার বিপিসি এবং ইআরএলের নিজস্ব অর্থায়নে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করার চিন্তা করা হচ্ছে।’

২০১৭ সালের ১৮ জানুয়ারি বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন এবং ফ্রেঞ্চ প্রকৌশল কোম্পানি টেকনিপের মধ্যে প্রস্তাবিত ইআরএল ইউনিট-২-এর ফ্রন্ট অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ডিজাইন (ফিড)-এর চুক্তি সই হয়। চুক্তিটিতে ৩৭১ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রকল্পর নকশা প্রণয়নের কাজ দেওয়া হয়। ১৯৬৮ সালে এই প্রতিষ্ঠানটিই ইআরএল-এর বর্তমান ইউনিটের নকশা প্রণয়ন এবং নির্মাণকাজ সম্পন্ন করেছিল।

জ্বালানি মন্ত্রণালয় সূত্র বলছে, সৌদি আর দুবাইর কিছু পরিশোধনাগার বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে আগ্রহ দেখিয়েছিল। পরে তাদের বেশিরভাগই বলছে, এত ছোট আকারের পরিশোধনাগার তারা নির্মাণ করে না। এজন্য প্রকল্পটি তাদের কাছে গুরুত্ব পায়নি।

 

/ইউএস/এমওএফ/
সম্পর্কিত
চুরি ও ভেজাল প্রতিরোধে ট্যাংক লরিতে নতুন ব্যবস্থা আসছে
আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সমন্বয়আবার কমলো ডিজেল ও কেরোসিনের দাম
বিদ্যুৎ ও জ্বালানির সাশ্রয়ী ব্যবহার সবাইকে স্বস্তি দেবে: প্রতিমন্ত্রী
সর্বশেষ খবর
বাংলাদেশের উন্নয়ন দেখলে আমাদের লজ্জা হয়: শাহবাজ
বাংলাদেশের উন্নয়ন দেখলে আমাদের লজ্জা হয়: শাহবাজ
৬ ম্যাচ পর জয় দেখলো বেঙ্গালুরু 
৬ ম্যাচ পর জয় দেখলো বেঙ্গালুরু 
সাদি মহম্মদ স্মরণে ‘রবিরাগ’র বিশেষ আয়োজন
সাদি মহম্মদ স্মরণে ‘রবিরাগ’র বিশেষ আয়োজন
‘নীরব এলাকা’, তবু হর্নের শব্দে টেকা দায়
‘নীরব এলাকা’, তবু হর্নের শব্দে টেকা দায়
সর্বাধিক পঠিত
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা