রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরে মাটি খুঁড়লেই মিলছে অবৈধ গ্যাসের লাইন। ঝাউচর এলাকায় শুরু হওয়া তিতাসের উচ্ছেদ অভিযানের বিষয়ে এমনই তথ্য দিয়েছেন দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তারা।
অভিযানের কারণে বকেয়া বিল পরিশোধের হারও বেড়েছে বলে জানিয়েছে তিতাস। তিতাস কর্মকর্তারা বলছেন, সব ঠিকঠাক থাকলে শিগগিরিই বৈধ গ্রাহকরা গ্যাস পাবেন। তবে এর সুনির্দিষ্ট দিনক্ষণ কেউ বলতে পারছেন না।
সোমবার (২৩ মে) একজন ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে তিতাসের ধানমন্ডি জোনের একজন ডিজিএম, পাঁচ জন ম্যানেজার ও কয়েকজন শ্রমিক নিয়ে এই অভিযান শুরু হয়েছে।
সোমবার সকাল ১০টা থেকে অভিযান শুরু হয়ে বিকাল পর্যন্ত চলেছে। বুধবারও অভিযান চলবে বলে তিতাস জানায়।
প্রসঙ্গত, বৈধ সংযোগের চেয়ে পাঁচ গুণ অবৈধ সংযোগ রয়েছে এবং বৈধ গ্রাহকদের কাছেই ৬৭ কোটি টাকা বকেয়া বিল থাকার অভিযোগে গত ১০ মে সন্ধ্যা ছয়টা নাগাদ কামরাঙ্গীরচরে সকল গ্যাস লাইন বিচ্ছিন্ন করে তিতাস।
তিতাস বলছে, অবৈধ গ্রাহকদের শায়েস্তা করতে গ্যাসের ভাল্বও খুলে নিয়ে আসা হয়েছে। যে কারণে বৈধদের গ্যাসও বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
বর্তমানে আবাসিক, শিল্প ও বাণিজ্যিক মিলিয়ে কামরাঙ্গীরচরে তিতাসের গ্রাহক ১২ হাজারের মতো।
অভিযান কবে শেষ হবে, বা কবে বকেয়া বিল আদায় শেষ হবে তা বলতে পারছে না তিতাসের কেউ। এতে অনিশ্চিত অবস্থায় চরম ভোগান্তিতে আছেন কামরাঙ্গীরচরের গ্রাহকরা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিতাস উত্তর জোনের এক কর্মকর্তা জানান, আজ আমরা অভিযান শুরু করেছি। ঝাউচরের প্রায় প্রতিটি বৈধ লাইনের সঙ্গে দুই-এক কিলোমিটার করে অবৈধ লাইন। লাইনগুলো উচ্ছেদ করেছি। স্থানীয় ব্যাংককে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বকেয়া বিল পরিশোধের হারও বেড়েছে। আগামী পড়শু আবার আমরা অভিযানে নামবো। আগেই বলেছিলাম, বৈধ লাইনের চেয়ে অবৈধ লাইন বেশি। আগে অবৈধ লাইন কাটবো, এরপর সংযোগ দেবো। এর আগে নয়।
অন্য এক কর্মকর্তা জানান, এলাকাটির মাটি খুঁড়তেই একের পর এক বেরিয়ে আসছে অবৈধ পাইপলাইন। যার কিছু অংশ কেটে পাইপের মুখ বন্ধ করে আবার মাটি ফেলে ঢেকে দেওয়া হচ্ছে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, একই সংযোগ বছরে কয়েকবার করে কেটে যায় তিতাস। কখনোই কারও বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয় না। তাদের মতে, শুধু এলাকার লোক নয়, অবৈধ সংযোগের পেছনে তিতাসেরও অসাধু কর্মকর্তারা জড়িত।