X
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪
১৩ বৈশাখ ১৪৩১

দেবেশ রায় : কিছু কথা থেকে গেল আমাদের...

কৃষ্ণপ্রিয় ভট্টাচার্য
১৭ ডিসেম্বর ২০২০, ১৬:০৭আপডেট : ১৭ ডিসেম্বর ২০২০, ২৩:১৮

বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক দেবেশ রায় চলতি বছরের ১৪ মে মৃত্যুবরণ করার পর কৃষ্ণপ্রিয় ভট্টাচার্য তাকে নিয়ে লিখেছিলেন। মৃত্যুর পর দেবেশ রায়ের প্রথম জন্মদিনে লেখাটি প্রকাশ করা হলো।

দেবেশ রায় : কিছু কথা থেকে গেল আমাদের...
আমি শুনেছি, ১৯৬০-এ কোনো এক সময় আমার মা, সুজাতা আমাকে কোলে করে কলকাতা থেকে পশ্চিমবঙ্গের একেবারে উত্তর সীমান্তে, ডুয়ার্সের কামাক্ষাগুড়িতে নিয়ে এসেছিলেন। বাবার কর্মস্থল। তখন আমার বয়স নাকি এক বছর। ততক্ষণে দেবেশ রায়ের গল্পকা হিসেবে খ্যাতিলাভ শুরু। এরপর থেকে কামাক্ষাগুড়ি, আলিপুরদুয়ার তারপর শিলিগুড়ি—এখন পর্যন্ত আমার এই তিনটি ভুবন। কিন্তু এর বাইরেও আমার এক চতুর্থ ভুবন আছে। সে ভুবনের কোনো নিজস্ব ডাকঘর নেই জেলা নেই। যখন তখন আমার সেই ভুবনে যাতায়াত চলে। আমার সেই চতুর্থ ভুবনের কিছু গ্রহ-তারা আছে। দেবেশ রায়ের প্রয়াণে আমার সেরকম একটি নিজস্ব নক্ষত্র খসে গেল। ২০১৬ তে হারিয়েছিলাম দিদিকে (মহাশ্বেতা দেবী), এবার ১৫ই মে (২০২০), জৈষ্ঠ্যের প্রথম দিনে আমার দ্বিতীয় নক্ষত্রটি নিভে গেল। কী বলবো, কী লিখবো? নিজের নক্ষত্র নিজের কাছ থেকে দূরে চলে গেলে নিজের প্রিয় কথারাও দূরে চলে যায়! দেবেশদা’র প্রয়াণে আমার মতো অনেকেরই নিজস্ব কথাদেরও কেউ কেউ হয়তো দূরে চলে গেল! মোটামুটি ১৯৮৬ থেকে সম্পর্ক। তারপর থেকে সেই যে দেবেশদা, মানে আমার চেয়ে প্রায় ২৪ বছরের বড় দেবেশদা, আমার বন্ধু, সেটা ১৪ মে, ২০২০ অবধি অটুট ছিল। এখন ওর লেখারা আমার বন্ধু থাকবেন। আমার নিজেরই এখন ৬১। যে কোনোদিন আমি চলে গেলে আমাদের দুজনের বন্ধুত্ব ফিনিশ! প্রিয় কবিবন্ধু, শামীম রেজার ইচ্ছেয় দেবেশ রায়কে নিয়ে এই লেখা, নিতান্তি ব্যক্তিগত স্মৃতিচারণ। যদিও দেবেশদা’র মৃত্যুর এই কয়েক দিনের ব্যবধানে কিছু লিখতে মন সায় দেয়নি। কিন্তু তবুও আমার সঙ্গে বছর ছয়েক আগের কিছু মোবাইল ফোনের ম্যাসেজের মাধ্যমে হওয়া কথোপকথন, আর স্মৃতি থেকে কিছু বলি! উনি তো গত বেশ কয়েক বছর ধরে কানে কম শুনতেন, তাই আমাদের কথা হতো, মোবাইলে ম্যাসেজের মাধ্যমে বা দেখা হলে। এরকম প্রচুর ম্যাসেজ, সবগুলো আর লিখে রাখা নেই। খুব তাড়াহুড়োতে কয়েকটি পেলাম।

২৩/১০/২০১৪, রাত-১০.৫৩ :—কৃষ্ণপ্রিয় : ‘আজকে আমাদের কামাক্ষাগুড়ির বাড়িতে, শেফালিতলায় একটি শিফিয়া রঙের ঘুঘু পাখি এসেছিল। অনেকক্ষণ ছিল। আমি ইচ্ছা করেই ওর ছবি তুলিনি। আমার মনে হলো, ঘুঘু পাখির সব ছবি তুলতে নেই...!’ ২৪/১০/২০১৪, সকাল ৮.৫৩ :—দেবেশ রায় : ‘ওহ: আপনার তো সশরীরে বৈকুণ্ঠবাস হয়ে গেল! একে কামাক্ষাগুড়ি, তায় উঠোন, তায় ঘুঘু, তায় ধোয়া হলুদ রঙ! আমি যেন এক পুরাণকাব্য দেখছি!’ ১/১০/২০১৪, রাত ১০.২৬ :—কৃষ্ণপ্রিয় : ‘ইউসুফটা পড়ছি, এটা যে আমাদের কোথায় নিয়ে যাবে, কে জানে...!’ রাত ১০.৩১ :—দেবেশ রায় : ‘এত রহস্য খুঁজে পড়ছেন কেন? প্রথমে স্বপ্ন-পুরুষ, তাকে পেতে গিয়ে দেখা গেল ‘দাশ’ ছাড়া স্বপ্ন হয় না, কারণ দাশের-ই এক, হ্যাজ্ নাথিং টু লুজ্ বাট চেইন্স...’ রাত ১০.৪৭ :—কৃষ্ণপ্রিয় : ‘আসলে আপনি যত সহজভাবে মানুষের স্বপ্নকে পলিটিসাইজ করতে পারেন, ইকনমাইজ করতে পারেন, আমি হয়তো ততটা পারি না। আমার হৃদয়ে জেগে ওঠে শাশ্বত আবেগ। আমার ইউসুফ তাই হয়তো আপনার ইউসুফ থেকে আলাদা...! রাত ১০.৫৭ :—দেবেশ রায় : ‘তা না হলে, লেখার মজা কোথায়? লেখা কি জেরক্স? লেখক যদি পাঠককে তার মতো করে চরিত্র ভাবাতে পারে, তাহলেই তো গল্প লেখা সার্থক।’ ২০/১০/২০১৪, রাত ৯.১৯ :—কৃষ্ণপ্রিয় : ‘কঙ্ক পত্রিকাটা আজ কিনলাম। এটাই আজকের তাজা খবর! তপনও একটা কিনেছে। আহা, কী আনন্দ! দেবেশ রায় সংখ্যা! আকাশে...বাতাসে...! রাত ৯.২৩ :—দেবেশ রায় : ‘ওটা শিলিগুড়িতেও পৌঁছেছে? আত্মরক্ষার কোনো জায়গা থাকবে না নাকি?’ রাত ৯.৩৮ : —কৃষ্ণপ্রিয় : ‘কিস্যু করার নেই, দেবেশদা। ধর্মের কল বাতাসে নড়ে! এতদিনে জানলাম, আপনি উত্তরবঙ্গের আদিবাসী নিয়ে চারখানা প্রবন্ধ লিখেছিলেন। তখন আমি ক্লাস ফোর। ভাগ্যিস আমি তখন আপনাকে চিনতাম না! রাত ৯.৪৩ :—কৃষ্ণপ্রিয় : ‘৪ খানা না, ৮ খানা! লিস্টটা ভাল করে দেখলাম। এগুলো এখন আমাকে খুঁজতে হবে! আবার কাজ বাড়লো!’ রাত ৯.৪৮ :—দেবেশ রায় : ‘নেই কাজ তো খই ভাজ! ওই তামাদি লেখাগুলোতে একটা শব্দও পাওয়া যাবে না, যা আপনার কাছে নতুন!

২/১১/২০১৪, রাত ২.১৮ :—কৃষ্ণপ্রিয় : ‘দেবেশদা, ডুয়ার্সের আদিবাসী নিয়ে আপনার একটি বাক্য আমি জীবনে ভুলবো না, ‘লালশুকরা বেশিক্ষণ স্লোগান দিতে পারে না, গান হয়ে যায়...; বেশিক্ষণ গাইতে পারে না, নাচ হয়ে যায়...!’ রাত ১২.২১ :—দেবেশ রায় : ‘কি সব খুঁজে খুঁজে যে পড়েন আপনি...আশ্চর্য! ২৩/১১/২০১৪, রাত ১.১২ :—কৃষ্ণপ্রিয় : ‘এই ‘রবীন্দ্রনাথ-ফুকো’ লেখাটা আপনার ২০১২ তে লেখা একটি সেমিনার-পেপার। এটা তো একটু কঠিন হবেই! ফুকো’কে এত মহান করে এর আগে কেউ দেখেছেন কি না, জানি না। কিন্তু, রবীন্দ্রনাথ এখানে আরও বড় হয়ে উঠেছেন। এই থিসিস একমাত্র আপনিই করতে পারেন! আপনাকে আবার লাল সেলাম! রাত ৯.১৪ :—দেবেশ রায় : ‘এবার ছেলে জন্মদিনের বায়না নিয়েছে। ৮০ বছরেরটা আপনার পাওনা থাকলো। বুক করে রাখলাম! আপনি খুব ভালো পাঠক। তাই ধরতে পেরেছেন যে রবীন্দ্রনাথই মুখ্য ও পাওয়ার-তত্ত্ব। আমাদের আগেই বোঝা উচিত ছিল। আপনার মতো পাঠক পেলে লিখে সুখ! —ডি আর।

১/১০/২০১৪, রাত ১০.০৩ : —কৃষ্ণপ্রিয় : আজকালে ইউসুফটা পড়ছিলাম। সকালে অশ্রুদা ফোন করে বললেন, ‘আরেকরকম’ ম্যাগাজিনে আপনার একটা লেখা পড়তে। আমি শিলিগুড়ি থেকে ওটা যোগাড় করে দেখলাম, আপনি আবার আমাকে নিয়ে একটি বড় লেখা লিখেছেন। আমি তো বেশ লজ্জায় পড়ে গেলাম। এখন আমার যে কী হবে! রাত ১০.০৬ : —দেবেশ রায় : আরও অনেকে না লিখলে আগত্যা আমাকে তো লিখতেই হয়! রাত ১০.০৯ : —কৃষ্ণপ্রিয় : অশ্রুদা বললেন, উনি খুব আনন্দ পেয়েছেন। রাত ১০.২১ : আমার ইদানিং মন খুব খারাপ। আবার শিলিগুড়ি থেকে আলিপুরদুয়ার ট্র্যান্সফার হয়েছে। তার মধ্যে এই লেখা! আমার এবারের ভাঙা পুজোটা আপনি রিপেয়ার করে দিলেন। বিজয়, তপন ও আমার পক্ষ থেকে আপনাকে লাল সেলাম! রাত ১০.২৫ : —দেবেশ রায় : আপনাকে ঠেকিয়ে রাখে কে? আলিপুরদুয়ারে আপনি আবার আগের মতো বনস্পতি হয়ে উঠবেন। আপনার মধ্যে সে জ্বর আছে।

২/১১/২০১৪, রাত ১১.৫০ : —কৃষ্ণপ্রিয় : দেবেশদা ‘আয় রাত্র ভান্ড খুলি তোর’ পড়ে বুঝলাম, আপনি কলকাতার একটা গুদামে থেকে, গঙ্গা থেকে উঠে আসা জলে স্নান করে, এম এ পাশ করেছিলেন। আমি জানতে চাই, আপনার তখনকার দৈনন্দিন জীবনের আরও অনেক কথা। রাত ১১.৫৩ : — দেবেশ রায় : সবারই এমন হতো, আমাদের সময়ে। তাও জানলেন, বাকিটা ওরকমই! ৬/১১/২০১৪ রাত ১১.৫২ : —কৃষ্ণপ্রিয় : ‘কঙ্ক’ দেবেশ রায় ভলিউমটা ইতিমধ্যে শিলিগুড়িতে কয়েকটি কপি বিক্রি হয়েছে। কালকে শুনলাম, জলপাইগুড়িতে দশ কপি অর্ডার হয়েছে। রাত ১২.০৭ : —দেবেশ রায় : আমার সঙ্গে ‘কঙ্ক’র কোনো চেনেজানাও নেই। ১২.১৫ : —দেবেশ রায় : মানে, ওঁদের কাগজটা বেরোলে পাই, পড়ি। কিন্তু এই সংখ্যার ব্যাপারে এমন ভুল ধারণা কারো কারো হয়েছে, দেখতে পাই, যেন সংখ্যাটা আমার ইচ্ছাতে ও সাহায্যে তৈরি...। রাত ১২.২৫ : —কৃষ্ণপ্রিয় : আমি এই ‘কঙ্ক’র মার্কেটিং প্রসঙ্গটা তুলতে চাইনি। এটা আমার মাথায় ছিল না। বিষয়টা নিয়ে এদিককার উৎসাহের খবরটা আপনাকে জানাচ্ছিলাম...। আমি জানি, আপনি এসব মার্কেটিং-এ নেই। রাত ১২.৩১ : —দেবেশ রায় : এই সংখ্যা ছাড়াই আপনাদের আমার সম্পর্কে উৎসাহ আমাকে সবসময়ই উত্তাপ দেয়। তেমন উত্তাপ ছাড়া এতদিন লিখতে...ভাবতে পারতাম না। পত্রিকাটি বিক্রি হলে খুশি হব তো বটেই। এরা তো নিজের খাটনির রোজগার দিয়েই কাগজটা করেছে। আমার শুধু সংকোচ, আমি এর যোগ্য নই! রাত ১২.৪২ : —কৃষ্ণপ্রিয় : ‘কঙ্ক’, দেবেশ রায় ভল্যুম বের হওয়ার পর থেকে ল্যাডলীদা এটার বহুল প্রচারে নেমেছেন। উনি আমাকেও ফোন করেছিলেন। শিলিগুড়িতে ও আলিপুরদুয়ারে এটা বিক্রি বাড়ানোর জন্য। তারপর উনি জলপাইগুড়িতে একজনকে ফোন করে বলেছেন, এটা যেন ওখানে কিছু বিক্রি হয়। ল্যাডলীদা’র এই উদ্যোগ আপনাকে খানিকটা বিব্রত করে থাকতে পারে। আপনি এসব ব্যাপারে মন দেবেন না প্লিজ্! রাত ১২.৪৫ : —দেবেশ রায় : ল্যাডলীও বোধহয়, ‘কঙ্ক’র সম্পাদকের আর্থিক একটু রক্ষা করতে চায়। সেটা তো ভালই। আজ থাক...। ১২.৪৭ : —কৃষ্ণপ্রিয় : ওকে, দেবেশদা, গুড নাইট!

১০/১১/২০১৪, রাত ১২.৩০ : —কৃষ্ণপ্রিয় : দেবেশদা, আমি দীনেশ রায়ের ‘ঐরাবতের মৃত্যু’ গল্পটাই শুধু একবার পড়তে চাই। আমাকে বলুন না, কোথায় পাবো? সকাল ৯.২৫ : —দেবেশ রায় : আপনার পোস্টাল ঠিকানাটা জানান, আমি পাঠানোর ব্যবস্থা করছি। সকাল ৯.৩১ : —কৃষ্ণপ্রিয় : ৩৮/২ অরবিন্দপল্লী মেইন রোড, পো : রবীন্দ্র সরণি, শিলিগুড়ি ৭৩৪০০৬। সকাল ৯.৫১ : —দেবেশ রায় : ঠিক আছে, আশা করি এই সপ্তাহেই পাবেন। সকাল ৯.৫২ : —কৃষ্ণপ্রিয় : ওকে, স্যার! [ডিটিডিসি ক্যুরিয়ারে গল্পটার একটি ফোটোকপি আমার কাছে চলে এসেছিল, ঠিক সময়ে।] ২৭/১২/২০১৪, রাত ৯.৫৬ : —কৃষ্ণপ্রিয় : দেবেশদা, ‘ঐরাবতের মৃত্যু’ শুধু সাহিত্যের সম্পদ নয়, এটা আধুনিক নৃতত্ত্ব গবেষণার সংসারেও একটি রত্ন হিসেবে সংরক্ষিত হচ্ছে নিশ্চয়ই। আমি খুব শান্তি পেয়েছি, এটা পড়ে! রাত ১০টা : —দেবেশ রায় : দাদা মাত্রই পাঁচটা ছোটগল্প আর গোটা তিন/চার ছোট উপন্যাস লিখেছেন। প্রায় প্রত্যেকটিতেই আমার আর আমরা বলদের জোয়াল টানি। আপনার ভালো লাগার দাম আলাদা!

২২/১১/২০১৪, রাত ১১.২০ : —কৃষ্ণপ্রিয় : একটি বারো পৃষ্ঠার নিবন্ধে তেরোটি অজানা বাংলা শব্দ! এরকম হলে তো খুব মুশকিল! এই লেখাটা আমাকে রবীন্দ্রনাথ সম্পর্কে আবার আগ্রহী করে ফেললো! যা বাব্বা! এরকম ইন্ফেক্শাশ আট হাজার শব্দবোমা থেকে আমি বাঁচতে চাই! বাপ্রে বাপ্! এই লেখাটা সঞ্জয় মুখার্জী, অভিজিৎ চক্রবর্তী... নিশ্চয়ই পড়েছেন...! [রেফারেন্স, রায় দেবেশ, ‘আরেকরকম’, ১৬-৩০ নভেম্বর ২০১৪, পৃ. ২৯-৪৯]। রাত ১১.৫৯ : —দেবেশ রায় : আমি দিল্লিতে। লেখাটা যে বেরিয়েছে, তা জানলাম, আপনার ম্যাসেজে। এতটাই কঠিন হয়ে গেছে জেনে খারাপ লাগছে! কী আর করা যাবে? ঠিক আছে...।

১৬/১২/২০১৪, রাত ১০.১৮ : —কৃষ্ণপ্রিয় :  দেবেশদা, কালকে আপনি ডি আর ৭৯। আমাদের শুভেচ্ছা রইল! রাত ১১.২৬ : —দেবেশ রায় : আপনার শুভেচ্ছাই প্রথম... —দেবেশদা! রাত ১১.২৬ : —কৃষ্ণপ্রিয় : আমি আপনার মেইলে একটা ফোটো পাঠাচ্ছি...এই ছবিটা আমি আপনাকে জন্মদিনে প্রেজেন্ট করলাম। আপনার পছন্দ হলে, আমার ছবি তোলা সার্থক হবে। মেইল রিপ্লাই : দারুণ ছবি, অভিনন্দন! ১৭/১২/২০১৪, রাত ১২.০৭ : —কৃষ্ণপ্রিয় : দেবেশদা, আপনি কি ‘দেবেশ রায়’ হল্ট ছবিটা দেখেছেন? সকাল ৯.৪০ : —দেবেশ রায় : হ্যাঁ তো! আমি তো দুইবার জানালাম আপনাকে! দারুণ হয়েছে! ওটা বড় করে বাঁধাবো। ম্যাট ফিনিশ কি এখানে হয়? ছবিটার আলো এত নরম!-ডি আর। রাত ৯.৪১ : —কৃষ্ণপ্রিয় : থ্যাঙ্ক ইউ, স্যার!

 

এবার একটি চিঠির কথা টেনে লেখা শেষ করছি।

 

বাগুইহাটি : ১৩.১২.২০১২

বাবু কৃষ্ণপ্রিয় :

আপনি আমার ভয়ে নেপাল সীমান্ত পার হতে পারেন, কিন্তু আমার আপনাকে ভয় পেয়ে দূরে থাকার কোনো উপায় নেই। বিজয়কে বলবেন (জলপাইগুড়ির কবি বিজয় দে), ওর প্রতিশ্রুত লেখাটি আমি আজও পাইনি।

এই চিঠি নিয়ে আপনার সঙ্গে দেখা করতে বলেছি স্মিতা বসুকে। ইনি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে তুলনামূলক সাহিত্যের গবেষক হিসেবে রাজবংশী গানের কিছু সংকলনের কাজ করছেন ও কোনো অজানা কারণে আমাকে ওঁর রিসোর্স পার্সন ঠাউরেছেন। ওঁর এমন ভুলের একমাত্র কারণ হতে পারে ওঁর শিক্ষকতুল্য পার্থ মজুমদারের বাবার বন্ধু আমি। এই কোয়ালিফিকেশনে রিসোর্স পার্সন হওয়া যায় কী না, জানি না। সুতরাং আমি অবিলম্বে ওঁকে আপনার হেপাজতে পাঠালাম। আমরা উত্তরবাংলার মানুষ নবকুমার-বংশীয়। পরের জন্য কাষ্ঠাহরণ আমাদের কুলবৃত্তি। সুতরাং ওঁকে উত্তরবঙ্গের, মানে আপনার উত্তরবঙ্গের, দুর্গমতম এলাকা থেকে জয়ের খাতাভর্তি গান সংগ্রহের ব্যবস্থা করে গোত্রের সম্মান রাখবেন।

বাড়িতে ভূতের মা-ঠাকুমা নিশ্চয়ই বাল আছেন। বিনীত

বন্ধুবিস্মৃত

দেবেশ রায়, ১৩.১২.২০১২

//জেডএস//
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
সৎ মাকে বটি দিয়ে কোপালো কিশোর, ঢামেকে মৃত্যু
সৎ মাকে বটি দিয়ে কোপালো কিশোর, ঢামেকে মৃত্যু
ধানক্ষেত পাহারা দিতে গিয়ে বুনো হাতির আক্রমণে কৃষক নিহত
ধানক্ষেত পাহারা দিতে গিয়ে বুনো হাতির আক্রমণে কৃষক নিহত
কোনও রান না দিয়ে ৭ উইকেট, টি-টোয়েন্টিতে ইন্দোনেশিয়ার বোলারের বিশ্ব রেকর্ড
কোনও রান না দিয়ে ৭ উইকেট, টি-টোয়েন্টিতে ইন্দোনেশিয়ার বোলারের বিশ্ব রেকর্ড
রাজধানীতে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় স্কুল শিক্ষার্থীসহ নিহত ২
রাজধানীতে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় স্কুল শিক্ষার্থীসহ নিহত ২
সর্বাধিক পঠিত
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
খুলনায় এযাবৎকালের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
খুলনায় এযাবৎকালের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
চুক্তিতে মাউশির ডিজি হলেন নেহাল আহমেদ
চুক্তিতে মাউশির ডিজি হলেন নেহাল আহমেদ
ব্রাজিল থেকে গরু আমদানি প্রসঙ্গে যা বললেন রাষ্ট্রদূত
ব্রাজিল থেকে গরু আমদানি প্রসঙ্গে যা বললেন রাষ্ট্রদূত