দুনিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস সংক্রমণ এড়িয়ে যেতে থাকা ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট জইর বলসোনারোর সমর্থন ব্যাপকভাবে কমে গেছে। নতুন এক জরিপে উঠে এসেছে এই তথ্য। তবে আরও একটি জরিপে দেখা গেছে, সমর্থন কমলেও ব্রাজিলের অধিকাংশ মানুষই তাকে এখনই ক্ষমতা থেকে সরাতে চান না। শুক্রবার রাতে এসব জরিপের ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
উগ্র ডানপন্থী প্রেসিডেন্ট জইর বলসোনারো ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে ক্ষমতায় আসার পর থেকে বেশ কয়েকটি পরিবেশগত সংকটের মুখে পড়েছে ব্রাজিল। বনাঞ্চলে অবৈধ কর্মকাণ্ডকে উৎসাহ দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে এই প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে। এসব কর্মকাণ্ডের কারণে দেশটিতে বনাঞ্চল উজাড় বৃদ্ধিসহ দাবানলের ঘটনাও বেড়েছে। করোনাভাইরাসের মহামারির সময়ে ভাইরাসটির প্রাদুর্ভাবকে খাটো করে দেখার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
শুক্রবার রাতে প্রকাশ করা জরিপের ফলাফলে দেখা গেছে ৪০ শতাংশই উত্তরদাতাই মনে করেন বলসোনারোর প্রশাসন মারাত্মক খারাপ। অথচ গত ডিসেম্বরের শুরুতে অপর এক জরিপে এই সংখ্যা ছিলো মাত্র ৩২ শতাংশ। গত সপ্তাহে ব্রাজিলে করোনার টিকা প্রদান শুরু হলেও এর ধীর গতি নিয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠা নাগরিকের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে বলে জরিপে উঠে এসেছে।
করোনাভাইরাসের ভয়াবহতাকে খাটো করে দেখানোর পাশাপাশি এর টিকা নিতেও অস্বীকার করেছেন প্রেসিডেন্ট জইর বলসোনারো। তবে এই মহামারিতে ইতোমধ্যেই দেশটির দুই লাখ ১৫ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
তারপরেও অবশ্য ব্রাজিলের ৫৩ শতাংশ মানুষই চায় না জইর বলসোনারোকে ক্ষমতা থেকে অপসারণের প্রক্রিয়া শুরু হোক। যদিও নতুন জরিপে দেখা গেছে, তাকে ক্ষমতা থেকে সরাতে চাওয়া মানুষের সংখ্যা আগের ৪৩ শতাংশ থেকে বেড়ে ৪৬ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।