X
শনিবার, ১১ মে ২০২৪
২৭ বৈশাখ ১৪৩১

কোটালীপাড়ায় প্রধানমন্ত্রীকে হত্যাচেষ্টা: রাষ্ট্রপক্ষের শেষ শুনানি ১ ফেব্রুয়ারি

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
২৫ জানুয়ারি ২০২১, ১৬:৪৮আপডেট : ২৫ জানুয়ারি ২০২১, ১৮:৩৩

গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টার মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ১০ জঙ্গির ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদণ্ড নিশ্চিতকরণ) এবং আসামিদের আপিলের ওপর রাষ্ট্রপক্ষের শুনানির জন্য আগামী ১ ফেব্রুয়ারি দিন নির্ধারণ করেছেন হাইকোর্ট।

সোমবার (১ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি মো. বদরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ড. মো. বশির উল্লাহ ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল এমএমজি সারোয়ার পায়েল। অপরদিকে আসামি পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. নাসির উদ্দিন ও মোহাম্মদ আহসান।

পরে ড. মো. বশির উল্লাহ জানান, সোমবার রাষ্ট্রপক্ষে মামলার পেপারবুক শুনানি করা হয়েছে। আগামী ১ ফেব্রুয়ারি এ মামলার যুক্তিতর্ক ও বিভিন্ন নজির হাইকোর্টে লিখিতভাবে দাখিল করা হবে। একই দিনে মামলার শুনানি শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের ২০ আগস্ট গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টার মামলায় ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-২-এর বিচারক মমতাজ বেগম ১০ জঙ্গির সর্বোচ্চ শাস্তি দেন। গুলি করে প্রত্যেকের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার আদেশ দেন আদালত। এছাড়া চার আসামিকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেন।

মামলায় নিম্ন আদালতের রায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলো—ওয়াশিম আখতার ওরফে তারেক হোসেন, মো. রাশেদ ড্রাইভার ওরফে আবুল কালাম, মো. ইউসুফ ওরফে আবু মুসা হারুন, শেখ ফরিদ ওরফে মাওলানা শওকত ওসমান, হাফেজ জাহাঙ্গীর আলম বদর, মাওলানা আবু বক্কর, হাফেজ মাওলানা ইয়াহিয়া, মুফতি শফিকুর রহমান, মুফতি আবদুল হাই ও মাওলানা আবদুর রউফ ওরফে আবু ওমর।

পাশাপাশি আসামি মেহেদি হাসান ওরফে আবদুল ওয়াদুদকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়। আসামি আনিসুল ওরফে আনিস, মো. মহিবুল্লাহ ওরফে মফিজুর রহমান এবং সরোয়ার হোসেন মিয়াকে ১৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা অনাদায়ে আরও এক বছরের দণ্ড দেওয়া হয়।

পরে এ মামলার রায়সহ সব নথি ২০১৭ সালের ২৪ আগস্ট হাইকোর্টে পাঠানো হয়। এরপর প্রধান বিচারপতির কাছে নথি উপস্থাপন করা হলে তিনি জরুরি ভিত্তিতে এ মামলার পেপারবুক তৈরির নির্দেশ দেন। প্রধান বিচারপতির নির্দেশে এরইমধ্যে পেপারবুক তৈরি হলে হাইকোর্টে আসামিদের ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের ওপর শুনানি শুরু হয়। কিন্তু হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট বেঞ্চ কয়েকবার পুনর্গঠন হওয়ায় মামলাটির শুনানি পিছিয়ে যায়।

উল্লেখ্য, ২০০০ সালের ২০ জুলাই কোটালীপাড়ায় তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সমাবেশস্থলের পাশে ৭৬ কেজি ওজনের বোমা পুঁতে রাখা হয়। শেখ লুৎফর রহমান মহাবিদ্যালয়ের উত্তর পাশের একটি চায়ের দোকানের পেছনে এ বোমা বিস্ফোরণের মাধ্যমে শেখ হাসিনাকে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়েছিল। এ ঘটনায় তৎকালীন কোটালীপাড়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নূর হোসেন একটি মামলা দায়ের করেন।

পরে ২০০১ সালের ৮ এপ্রিল ১৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। পরবর্তীকালে ২০০৯ সালের ২৯ জুন আরও ৯ জনকে আসামি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করে সম্পূরক অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। এরপর ২০১০ সালে মামলাটি নিষ্পত্তির জন্য ঢাকা-২ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়।

/বিআই/এপিএইচ/এমওএফ/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
সৈয়দপুরে ট্রেনে কাটা পড়ে পল্লী চিকিৎসকের মৃত্যু
সৈয়দপুরে ট্রেনে কাটা পড়ে পল্লী চিকিৎসকের মৃত্যু
শাহ আমানত বিমানবন্দরের টয়লেট থেকে ৭০ লাখ টাকার সোনা উদ্ধার
শাহ আমানত বিমানবন্দরের টয়লেট থেকে ৭০ লাখ টাকার সোনা উদ্ধার
গুজরাটের ওপেনিং জুটির রানও করতে পারেনি চেন্নাই
গুজরাটের ওপেনিং জুটির রানও করতে পারেনি চেন্নাই
নিজ মুখে পিএসজি ছাড়ার ঘোষণা দিলেন এমবাপ্পে
নিজ মুখে পিএসজি ছাড়ার ঘোষণা দিলেন এমবাপ্পে
সর্বাধিক পঠিত
২০ মিনিটে লালখানবাজার থেকে বিমানবন্দর, চলবে না অটোরিকশা-বাইক
২০ মিনিটে লালখানবাজার থেকে বিমানবন্দর, চলবে না অটোরিকশা-বাইক
ফোন ছিনতাইয়ের ঘটনায় জিডি নয়, মামলা নেওয়ার নির্দেশ
ফোন ছিনতাইয়ের ঘটনায় জিডি নয়, মামলা নেওয়ার নির্দেশ
চীন বিষয়ে বিশেষজ্ঞকে ঢাকায় রাষ্ট্রদূত হিসেবে পাঠাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র
চীন বিষয়ে বিশেষজ্ঞকে ঢাকায় রাষ্ট্রদূত হিসেবে পাঠাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র
একই গ্রাম থেকে নির্বাচিত হলেন তিন চেয়ারম্যান
একই গ্রাম থেকে নির্বাচিত হলেন তিন চেয়ারম্যান
সরকারি গাড়ির যথেচ্ছ ব্যবহার, তুলছেন ভ্রমণ বিলও
সরকারি গাড়ির যথেচ্ছ ব্যবহার, তুলছেন ভ্রমণ বিলও