X
শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪
৬ বৈশাখ ১৪৩১

গ্যাসের উৎপাদন বাড়ালে বিদ্যুৎ খাত হবে আরও শক্তিশালী

আমীন আল রশীদ
২৩ অক্টোবর ২০২২, ২০:৫৬আপডেট : ২৩ অক্টোবর ২০২২, ২০:৫৬

বুধবার (১৯ অক্টোবর) গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে পাবনার ঈশ্বরদীতে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের দ্বিতীয় ইউনিটের পারমাণবিক চুল্লি বা নিউক্লিয়ার রিয়্যাক্টর প্রেসার ভেসেল স্থাপন কাজের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরিকল্পনা অনুযায়ী, পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিট ২০২৩ সালে ১ হাজার ২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করবে এবং ২০২৪ সালে দ্বিতীয় ইউনিট থেকে একই পরিমাণ বিদ্যুৎ পাওয়া যাবে (বাংলা ট্রিবিউন, ১৯ অক্টোবর ২০২২)।

রূপপুরে দেশের প্রথম এই পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ নিঃসন্দেহে একটি বড় ঘটনা। কিন্তু এখান থেকে যে পরিমাণ বিদ্যুৎ পাওয়া যাবে, সেটি মোট চাহিদার খুব সামান্যই পূরণ করতে পারবে। বরং বিদ্যুৎ উৎপাদনের সস্তা মাধ্যম গ্যাসের উৎপাদন বাড়ানো এবং নতুন গ্যাসক্ষেত্র অনুসন্ধানে রাষ্ট্রের কতটা নজর আছে, সে বিষয়ে আলোকপাত করা যাক।

অস্বীকার করার সুযোগ নেই, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পর পর তিন মেয়াদে দায়িত্ব পালন করা আওয়ামী লীগ সরকারের সবচেয়ে বড় সাফল্যগুলোর অন্যতম বিদ্যুৎ।

সংকট মোকাবিলায় ত্বরিত ব্যবস্থা গ্রহণের অন্যতম একটি পদক্ষেপ ছিল আইন করে বেসরকারি খাতে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু এবং এই খাতকে উন্মুক্ত করে দেওয়া। জেনারেটরের ওপর থেকে ট্যাক্স তুলে দেওয়া হয় এবং শিল্পকারখানার মালিকদেরও নিজেদের চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে বলা হয়। শুধু তাই নয়, তারা চাইলে বিদ্যুৎ বিক্রি করতে পারবেন বলেও বিধান করা হয়। এভাবে ধীরে ধীরে বিদ্যুৎ পরিস্থিতির উন্নতি হতে থাকে।

যদিও বেসরকারি খাতের কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎ নিয়ে সরকারকে নানা ধরনের সমালোচনার মুখেও পড়তে হয় এর খরচ এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে দায়মুক্তি দেওয়ার বিধানের কারণে। কেননা, ২০১০ সালে জাতীয় সংসদে পাস হওয়া ‘বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইন’কে পাবলিক প্রকিউরমেন্ট আইনের ঊর্ধ্বে স্থান দেওয়া হয় এবং এই আইনের অধীনে গৃহীত কোনও কাজের বৈধতা সম্পর্কে আদালতের কাছে প্রশ্ন করা বা মামলা করা যাবে না বলেও উল্লেখ করা হয়। অর্থাৎ যারা বেসরকারি পর্যায়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করবেন, তাদের আগে থেকেই দায়মুক্তি দেওয়া হয় এই বিশেষ আইনে।

এভাবে বিদ্যুৎ খাতে সরকারের আরও নানাবিধ পদক্ষেপে ২০২২ সালের ২১ মার্চ দেশকে শতভাগ বিদ্যুতের আওতায় আনার ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

ট্র্যাজেডি হলো, শতভাগ বিদ্যুতায়নের এই ঘোষণার ৬ মাসের মধ্যেই বিদ্যুৎ পরিস্থিতি নিয়ে নাজেহাল হতে থাকে দেশের মানুষ। ৪ অক্টোবর গ্রিড বিপর্যয়ের কারণে দেশের একটি বড় অংশ বিদ্যুৎহীন (ব্ল্যাকআউট) হয়ে পড়লে এ নিয়ে সোশাল মিডিয়ায় সমালোচনার ঝড় বয়ে যায়।

চাহিদার তুলনায় যে পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যাচ্ছে না, তার পেছনে বড় কারণ গ্যাসের উৎপাদন কমে গেছে এবং মজুতও দ্রুত ফুরিয়ে আসছে। তার বিপরীতে যথেষ্ট সম্ভাবনা থাকার পরেও যেরকম তৎপরতার সাথে দেশের বিভিন্ন এলাকায় গ্যাস অনুসন্ধান করার কথা ছিল, তা হয়নি। বরং এলএনজি আমদানির প্রতি সরকারের বেশি আগ্রহ দেখা গেছে। তার পেছনে একটি যুক্তি দেওয়া হয় যে গ্যাস অনুসন্ধান করলেই যে পাওয়া যাবে তার কোনও নিশ্চয়তা নেই। এটা অনেকটা ভাগ্যের ওপর নির্ভর করে। ফলে অনুসন্ধান কার্যক্রমে খরচ করা অর্থ পুরোটাই অপচয় হতে পারে, আবার গ্যাস পাওয়া গেলে বিপুল লাভও হতে পারে। সরকার সেই ঝুঁকিটা নিতে চায়নি বা পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য তারা বিদ্যমান গ্যাস দিয়ে যতটা সম্ভব বিদ্যুৎ উৎপাদন করে বাকিটা তেল ও কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ এবং এলএনজি আমদানি করে মোকাবিলা করতে চেয়েছে।

কিন্তু গত ১২ বছর ধরে যদি অব্যাহতভাবে গ্যাস অনুসন্ধান করা হতো তাহলে এতদিনে অন্তত একটি নতুন ক্ষেত্রও আবিষ্কৃত হতে পারতো। কারণ, বাংলাদেশের মাটির নিচে যে গ্যাস রয়েছে, সে কথা প্রমাণিত। সুতরাং যেসব জায়গায় সম্ভাবনা বেশি, সেসব জায়গায়ও গভীর অনুসন্ধান করা হয়নি। এমনকি সাগরের মীমাংসিত ব্লকে গ্যাস উত্তোলনের উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। বরং সরকার নিজের করা টেন্ডারও বাতিল করেছে। সাধারণত, গ্যাস অনুসন্ধানের বৈশ্বিক সাফল্যের হার প্রতি সাত কূপে একটি। কিন্তু বাংলাদেশে এই অনুপাত প্রতি তিন কূপে একটি। গ্যাস অনুসন্ধানে প্রায় দ্বিগুণ সাফল্যের হার থাকা সত্ত্বেও দেশে নতুন গ্যাসক্ষেত্র অনুসন্ধানের কাজ সেভাবে শুরু হয়নি।

এসবের পেছনে সরকারের টাকা খরচ করতে না চাওয়া এবং এলএনজি আমদানির সঙ্গে যুক্ত ব্যবসায়ীদের প্রভাব থাকা অস্বাভাবিক নয়। কিন্তু এখন যখন বিদ্যুৎ পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে গেছে এবং মানুষের যখন আবার মোমবাতি ও হারিকেনের যুগে ফেরার দশা হয়েছে, তখন সরকার বা নীতিনির্ধারকরা ঠিকই গ্যাস অনুসন্ধানের বাস্তবতা উপলব্ধি করছেন।

বাস্তবতা হলো, গত এক দশকে ব্যাপক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির কারণে চাহিদা তথা ব্যবহার বেড়েছে। এরমধ্যে গ্যাসের বড় কোনও মজুতও আবিষ্কার না হওয়ায় পুরনো ক্ষেত্রগুলোর ওপর বেশি চাপ পড়ছে, সেগুলোর উৎপাদনও কমে আসছে।

গ্যাসের উৎপাদন কম হওয়ায় শুধু যে বিদ্যুৎ উৎপাদনে এর প্রভাব পড়ছে তাই নয়, অনেক দিন ধরেই পাইপলাইনের মাধ্যমে যে গ্যাস সরবরাহ করা হয়, সেখানেও তীব্র সংকট। রাজধানী এবং আশপাশের নাগরিকদের এটা এখন খুব সাধারণ অভিযোগ যে সকাল ৮টার পরে, আবার কোথাও ৮টার মধ্যে গ্যাস চলে যায়। আসে বিকালে। মানুষের রান্নাবান্নার কাজে যখন সবচেয়ে বেশি গ্যাসের প্রয়োজন হয়, তখনই গ্যাস নেই। ফলে বাধ্য হয়ে মধ্য রাতে বা শেষ রাতে ঘুম থেকে উঠে রান্না করতে হয়। অথচ মাস শেষে দুই চুলার গ্যাসের বিল ঠিকই ১০৮০ টাকা দিতে হচ্ছে। অর্থাৎ সেবা না থাকলেও পয়সায় মাফ নেই।

শুধু বাসাবাড়ি নয়, গ্যাস সংকটের কারণে ঢাকা, গাজীপুর, সাভার, কোনাবাড়ী, আশুলিয়া, নারায়ণগঞ্জসহ সারা দেশের শিল্পকারখানায় উৎপাদনও ব্যাহত হচ্ছে। দিনের একটা বড় সময় কারখানা বন্ধ রাখতে হচ্ছে। যার প্রভাব পড়ছে সামগ্রিক অর্থনীতিতে। আবার গ্যাসের বিকল্প জ্বালানি দিয়ে কলকারখানা চালু রাখা অনেক ব্যয়বহুল। তাতে উৎপাদন খরচ বেড়ে যায়। বাসাবাড়িতে অনেকে বৈদ্যুতিক চুলা ব্যবহার করেন। কিন্তু যখন দিনের একটা বড় সময় বিদ্যুৎ থাকছে না, তখন ওইসব চুলাও ব্যবহার করা যায় না। উপরন্তু বৈদ্যুতিক চুলার ব্যবহার বাড়লে বিদ্যুতে আরও চাপ বাড়বে। তখন লোডশেডিংও বাড়াতে হবে। আবার এর ফলে গ্রাহকের বিদ্যুতের বিলও বেড়ে যাবে। সব মিলিয়ে পুরো গ্যাস ও বিদ্যুৎ খাত নিয়ে মানুষকে এখন একদিকে অনেক টাকা খরচ করতে হচ্ছে। আবার সেই টাকা খরচ করেও তারা কাঙ্ক্ষিত সেবা পাচ্ছেন না।

বিশেষজ্ঞদের অনেকেই মনে করেন, গত দুই দশকে কোনও নতুন গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কার না হওয়ায় আগামী ১০ বছরের মধ্যেই প্রাকৃতিক গ্যাসের মজুত ফুরিয়ে যাওয়ার মতো অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে চলেছে বাংলাদেশ। আগামী কয়েক বছরের মধ্যে দেশে যদি বড় কোনও গ্যাসক্ষেত্রের সন্ধান পাওয়া না যায়, তাহলে বিভিন্ন খাতের শিল্পের প্রবৃদ্ধি ও উৎপাদনশীলতা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। যেহেতু আমাদের পুরো শিল্প অবকাঠামো গ্যাসের ওপর নির্ভরশীল, তাই হঠাৎ গ্যাস সাপ্লাইয়ে সংকট দেখা দিলে সেটি অর্থনীতিতে বিরাট বিপর্যয় ঘটাতে পারে (বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড, ১৮ এপ্রিল ২০২২)।

এই সবকিছুর একমাত্র সমাধান হচ্ছে নিজস্ব গ্যাসের উৎপাদন বাড়ানো; নতুন গ্যাসক্ষেত্রের জন্য অনুসন্ধান জোরদার করা এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানির উৎপাদন ও ব্যবহার বাড়ানো। কিন্তু দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রচুর অনাবিষ্কৃত গ্যাসক্ষেত্র থাকলেও অনুসন্ধান কাজে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি নেই। সাগর এলাকায়ও গ্যাস অনুসন্ধানে জোরালো পদক্ষেপ নেওয়া দরকার। সেজন্য বাপেক্সকে আরও শক্তিশালী করতে হবে। এখন থেকে চেষ্টা করলে আগামী পাঁচ ছয় বছরের মধ্যে নতুন কয়েকটি ভালো মজুতের গ্যাসক্ষেত্রের সন্ধান পাওয়া অসম্ভব নয়। সমতল ভূমি ও উপকূলীয় এলাকার পাশাপাশি পাহাড়ি এলাকায়ও গ্যাসের অনুসন্ধান করা জরুরি।

প্রসঙ্গত, বর্তমানে দেশের ২২টি গ্যাসক্ষেত্রে উত্তোলনযোগ্য গ্যাসের পরিমাণ ১০ লাখ কোটি ঘনফুট। সে তুলনায় বার্ষিক ব্যবহার বা চাহিদা হচ্ছে এক লাখ কোটি ঘনফুট। ২০০৯ সালে যুক্তরাজ্যভিত্তিক আরপিএস এনার্জি লিমিটেডের হিসাব ও সম্প্রতি আবিষ্কৃত গ্যাসক্ষেত্র থেকে পাওয়া ধারণা অনুযায়ী, দেশের ২৭টি বাণিজ্যিক গ্যাসক্ষেত্রে গ্যাসের মোট প্রমাণিত ও সম্ভাব্য মজুত ২৯.৫৪ ট্রিলিয়ন ঘনফুট। তবে পেট্রোবাংলার উপাত্ত অনুযায়ী মোট গ্যাস মজুতের ২০ ট্রিলিয়ন ঘনফুট ২০২১ সালের মধ্যে তুলে ফেলা হয়েছে। অর্থাৎ এখন ১০ ট্রিলিয়ন ঘনফুটের বেশি মজুত নেই। নতুন ক্ষেত্র আবিষ্কৃত না হলে এবং প্রকৃতি সদয় না হলে প্রতি বছর এক লাখ কোটি ঘনফুট গ্যাস উত্তোলনের হিসাবে ১০ বছর পরে এই মজুত শূন্য হয়ে যাবে। তখন পরিস্থিতি কী হবে?

সুতরাং বিদ্যমান গ্যাসক্ষেত্রগুলোর সঠিক রক্ষণাবেক্ষণ, শুকিয়ে যাওয়া ও পরিত্যক্ত গ্যাসক্ষেত্রগুলো সংস্কার করার পাশাপাশি নতুন গ্যাসক্ষেত্রে আবিষ্কারের কর্মসূচিকে সরকারের এখন সর্বোচ্চ অগ্রাধিকারে নিয়ে আসা দরকার। বিদ্যুৎ পরিস্থিতির উন্নয়নে ২০০৯ সালের পরে সরকার যেরকম ‘অ্যাগ্রিসিভ’ ছিল, এখন গ্যাসের উৎপাদন বাড়ানো এবং নতুন গ্যাসক্ষেত্রে আবিষ্কারেও সেরকম জোরালো পদক্ষেপের বিকল্প নেই। বিকল্প যদি হয় আমদানি, তবে সেই বিকল্পের মাশুল গুনতে হবে জনগণকে, রাষ্ট্রকে। তারও চেয়ে বড় কথা, বিশ্ব পরিস্থিতি খারাপ হয়ে গেলে পয়সা দিয়েও গ্যাস পাওয়া যাবে না। সেক্ষেত্রে নিজের সম্পদই ভরসা। সেই সম্পদের বিপুল সম্ভাবনা যেহেতু রয়েছে, অতএব সেটিকে কাজে লাগাতে হবে।

নতুন গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কারের জন্য পয়সা খরচ করতে হবে। তবে খেয়াল রাখতে হবে, এই অনুসন্ধানের নামে যেন আবার জনগণের পয়সার শ্রাদ্ধ না হয়। কারণ, সাম্প্রতিক বছরগুলোয় যেরকম উন্নয়ন প্রকল্প মানেই বিরাট অঙ্কের লুটপাট বিষয়টা বেশ প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেছে, সেরকম অনিয়ম ও লুটপাট যাতে না হয়, সেটি রাষ্ট্রকেই নিশ্চিত করতে হবে।

এমনিতেই জ্বালানি খাতের অনিয়ম ও দুর্নীতির বিষয়ে নানা গল্প ও ধারণা প্রচলিত আছে। ফলে গ্যাস অনুসন্ধানের নামে যাতে জনগণের পয়সা তসরুপ না হয়, বরং দেশের অর্থনীতি ও প্রবৃদ্ধি এবং সর্বোপরি মানুষের জীবনমান যেহেতু এখন হুমকির মুখে, সুতরাং এই ক্ষেত্রে দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকারের জিরো টলারেন্স বা শূন্য সহনশীল নীতি গ্রহণের কোনও বিকল্প নেই। এটি এখন বাঁচামরার প্রশ্ন। অর্থাৎ গ্যাসের উৎপাদন ও মজুত বাড়াতে না পারলে বিদ্যুতের ভবিষ্যৎ অন্ধকার।

লেখক: কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স এডিটর, নেক্সাস টেলিভিশন।

 
 
/এসএএস/এমওএফ/

*** প্রকাশিত মতামত লেখকের একান্তই নিজস্ব।

বাংলা ট্রিবিউনের সর্বশেষ
সংঘাত বাড়াতে চায় না ইরান, ইসরায়েলকে জানিয়েছে রাশিয়া
সংঘাত বাড়াতে চায় না ইরান, ইসরায়েলকে জানিয়েছে রাশিয়া
বিএনপির বিরুদ্ধে কোনও রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী
বিএনপির বিরুদ্ধে কোনও রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী
চুয়াডাঙ্গায় মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা, হিট অ্যালার্ট জারি
চুয়াডাঙ্গায় মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা, হিট অ্যালার্ট জারি
জিমি নেই, তারপরও খেলতে নেমেছে মোহামেডান
জিমি নেই, তারপরও খেলতে নেমেছে মোহামেডান
সর্বশেষসর্বাধিক

লাইভ