X
শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪
১৪ বৈশাখ ১৪৩১

নতুন দিনের স্বপ্ন দেখি…

মো. সাফায়েত আলম
১৬ আগস্ট ২০২০, ১৮:৪৬আপডেট : ১৬ আগস্ট ২০২০, ১৮:৪৮



মো. সাফায়েত আলম গল্প-উপন্যাসকেও হার মানাবে, এমন এক বাস্তবতায় দাঁড়িয়ে আমরা। কোভিড-১৯ মহামারি মুহূর্তে আজকের ‘গ্লোবাল ভিলেজ’ এই বিশ্বকে সেই অচেনা সংযোগহীন পৃথিবী করে দিয়েছে। এর মধ্যে অনেক অসহায়ত্বের ও অসুবিধার গল্পও ছিল। ঠিক কবে পৃথিবী সুস্থ হবে, তা কেউ জানে না! তবে আশা করতে কোনও দোষ নেই।
করোনা মহামারির কারণে সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশও গত মার্চ মাস থেকে জুলাই পর্যন্ত প্রায় স্থবির হয়ে ছিল। এই সময়ে দেশের অর্থনৈতিক ও সামগ্রিক উন্নয়ন কর্মকাণ্ড অনেকটা ব্যাঘাত ঘটেছে। সবচেয়ে বড় যে সমস্যাটি হয়েছে, মানুষের কষ্ট হয়েছে। হয়তো কিছু কষ্ট লাঘব করা যেতো, কিছু কষ্ট অনেককে ভোগ নাও করতে হতো! তবে সবকিছুর পরেও একটি বিষয়ই সামনে আসে, সেটি হলো মানুষের আশাবাদ।
করোনাভাইরাসের বৈশ্বিক মহামারির মধ্যেও শুধু জুলাই মাসেই ২.৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। একক মাসে ইতিহাসে এর আগে কখনও এত পরিমাণ রেমিট্যান্স আসেনি। (সূত্র: দ্য ডেইলি স্টার, ৩ আগস্ট)। করোনা মহামারির কারণে যতগুলো সেক্টর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল, তার মধ্যে অন্যতম ছিল প্রবাসী ও রেমিট্যান্স খাত। মহামারি শেষ হওয়ার আগেই এই খাত ঘুরে দাঁড়িয়েছে। মানুষ তার প্রিয়জনের কথা চিন্তা করে, দেশের জন্য ভালোবাসা অনুভব করে সেটি আবারও প্রমাণ হলো।
বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় খাত তৈরি পোশাক শিল্প। মহামারির সময়ে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলারের ক্রয়াদেশ বাতিল হয়েছে। তৈরি পোশাক শিল্পের মালিকদের সহায়তার জন্য বাংলাদেশ সরকার বড় ধরনের প্রণোদনা প্রদান করে কিছুটা সামাল দেওয়ার ব্যবস্থা করেছে। বাংলাদেশ সরকারের প্রণোদনার মধ্যেই এই খাতও ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে। করোনা মহামারির কারণে গত এপ্রিল, মে, জুন ও জুলাই—এই চার মাসে তৈরি পোশাকের রফতানি আদেশ স্থগিত হয়েছিল প্রায় ৮ বিলিয়ন ডলারের। এই ৮ বিলিয়ন ডলারের মধ্যে প্রায় সাড়ে ৬ বিলিয়ন ডলার বা স্থগিত আদেশের ৮০ শতাংশ ফিরে পেয়েছেন বাংলাদেশের গার্মেন্টস ব্যবসায়ীরা। (সূত্র: বাংলা ট্রিবিউন, ২০ জুলাই)।
আশার কথা বলে আসলে শেষ করা যায় না। সারা বিশ্বের দেশগুলোর মধ্যে সবকিছুর দিক থেকে আধুনিক ও ধনী এবং উন্নত দেশগুলোতে করোনা মহামারিতে যত মানুষ আক্রান্ত ও মৃত্যুবরণ করেছে, সেটা সত্যিই খুব বেদনাদায়ক এবং আশ্চর্য হওয়ার মতো। সেই তুলনায় বাংলাদেশে আক্রান্তের হার ও মৃত্যুর হার অনেক কম। এটা নিয়ে স্বস্তি বা তুষ্টির কিছু নেই। তবে ভাববার বিষয় আছে। বাংলাদেশে লকডাউনের সময় মানুষের মধ্যে অনেক ধরনের অসচেতনতা কাজ করেছে, এটা যেমন সত্যি, তেমনি এই মানুষই কিন্তু আশায় বুক বেঁধে নতুন দিনের স্বপ্ন দেখেছে। যে কারণে কেউ ধৈর্য হারিয়ে ফেলেনি। যার ফল সারা দেশ পেয়েছে। এখন করোনার প্রকোপ কিছুটা কমতে শুরু করেছে।
মানুষের কথা বলতে গিয়ে নিজেদের প্রতিষ্ঠানের কথাও একটু বলতে হয়। ‘মানুষ বাঁচলে দেশ বাঁচবে’ এই কথাটি বিশ্বাস করে বাংলাদেশ ডাক বিভাগের ডিজিটাল লেনদেন ‘নগদ’। যে কারণে করোনা মোকাবিলায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর তহবিলে ৬০ লাখ টাকা অনুদান দিয়েছে ‘নগদ’। এছাড়া দুস্থ ও অসহায় মানুষের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া ঈদ উপহার সর্বোচ্চ সংখ্যক উপকারভোগীর কাছে পৌঁছে দিয়েছে ‘নগদ’। এভাবে মানুষের জন্য কাজ করার নতুন নতুন দিক উন্মোচন করার চেষ্টা করছে ‘নগদ’।
অন্ধকার যেকোনও সময়ই আসতে পারে। সেই অন্ধকার কখনও স্থায়ী হয় না। করোনা মহামারির এই অন্ধকার সময় বাংলাদেশের মানুষ যেভাবে মোকাবিলা করেছে, তাতে নতুন দিন খুব বেশি দূরে নয়। আবার সবাই হাসবে, কাঁধে কাঁধ রেখে বাংলাদেশকে গড়বে।
লেখক: নির্বাহী পরিচালক, ‘নগদ’, ডাক বিভাগের ডিজিটাল লেনদেন।

 

 
/এমএমজে/

*** প্রকাশিত মতামত লেখকের একান্তই নিজস্ব।

বাংলা ট্রিবিউনের সর্বশেষ
লেবাননের ইসরায়েলি হামলায় ২ জঙ্গি নিহত
লেবাননের ইসরায়েলি হামলায় ২ জঙ্গি নিহত
হামলার ঘটনায় মামলা করায় এবার বোমা হামলা, আহত ১৫
হামলার ঘটনায় মামলা করায় এবার বোমা হামলা, আহত ১৫
যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে ইসরায়েলের প্রতিক্রিয়া পেলো হামাস
যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে ইসরায়েলের প্রতিক্রিয়া পেলো হামাস
রংপুর হাসপাতালে বাড়ছে হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত রোগী, ৫ দিনে ২২ জনের মৃত্যু
রংপুর হাসপাতালে বাড়ছে হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত রোগী, ৫ দিনে ২২ জনের মৃত্যু
সর্বশেষসর্বাধিক

লাইভ