X
শনিবার, ১৮ মে ২০২৪
৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

প্রাগপুরে ৫ বছরেও শুরু হয়নি স্থলবন্দর নির্মাণ কাজ

কুদরতে খোদা সবুজ, কুষ্টিয়া
২৭ আগস্ট ২০১৬, ০৪:১৭আপডেট : ২৭ আগস্ট ২০১৬, ০৭:২৩

কুষ্টিয়া কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী প্রাগপুরে স্থলবন্দর নির্মাণের কাজ ৫ বছরেও শুরু হয়নি। সড়ক ও জনপথ বিভাগ ২০১১ সালে উপজেলার তারাগুনিয়া ত্রি-মোহিনীতে একটি দিক নির্দেশনামূলক বোর্ড স্থাপন করেন। অথচ বাস্তবে এখন পর্যন্ত প্রাগপুরে স্থলবন্দরের কোনও কাজই শুরু হয়নি। ফলে এ অঞ্চলের মানুষের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন বাস্তবায়ন থমকে আছে।

তথ্য মতে, কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার প্রাগপুর ইউনিয়নের প্রাগপুর এলাকা থেকে পশ্চিমবঙ্গের কোলকাতার দূরত্ব মাত্র ১২০ কিলোমিটার। আর এখান থেকে ঢাকার দূরত্ব ২৫০ কিলোমিটার। প্রাগপুর সংলগ্ন ভারতীয় অংশ শিকারপুর। এটি পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার কাশিমপুর থানার অন্তর্গত। পদ্মার ছোট্ট শাখা নদী মাথাভাঙ্গা দু'দেশের সীমান্ত ভাগ করে রেখেছে। নদীর এপাড় ঘেঁষে প্রাগপুর বাজার। সেখানে বিজিবি প্রাগপুর কোম্পানি সদর অবস্থিত। এখান থেকে রাজধানী ঢাকাগামী বিভিন্ন যানবাহন চলাচল করে। আর নদীর ওপারের পাড় ঘেঁষে ভারতের শিকারপুর। কাঁটাতারের বেড়ার পাশাপাশি একটি বিএসএফ ক্যাম্প রয়েছে। আছে শিকারপুর থেকে কোলকাতা যাবার মহাসড়ক। প্রয়োজন শুধু ৮০ মিটার দৈর্ঘ্যের একটি সেতু। যে সেতুটি নির্মিত হলে দু'দেশের মধ্যে সড়ক যোগাযোগ স্থাপন করা সময়ের ব্যাপার মাত্র। ২০১১ সালের ১ অক্টোবর নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান কুষ্টিয়া সফরে এসে প্রাগপুরে স্থলবন্দর করার ব্যাপারে খোঁজ নেন। এরই প্রেক্ষিতে ওই মাসের ২৫ তারিখে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মফিদুল ইসলাম প্রাগপুর পরিদর্শনে এসে সেখানে বন্দর স্থাপনের প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করেন। তার প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ে এ সংক্রান্ত এক বৈঠকে দেশে ৬টি নতুন স্থলবন্দর স্থাপনের সিদ্ধান্ত হয়। তার মধ্যে প্রাগপুর স্থলবন্দর অন্যতম।

এ ব্যাপারে স্থানীয় স্কুল শিক্ষক আহমেদ রাজু বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, ‘মাথাভাঙ্গ নদীতে একটি ব্রিজ নির্মাণ হলে দৌলতপুর থেকে ভারতের করিমপুর, কৃষ্ণনগর, নতুন শিকারপুরের যোগাযোগ সৃষ্টি হবে। এর ফলে বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের পণ্য সরবরাহ সহজ হবে।’

তিনি আরও জানান, ‘দৌলতপুলে স্থলবন্দর হলে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় সহজেই পণ্য আনা নেওয়া সম্ভব হবে। কারণ কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা সড়কটি সরাসরি প্রাগপুর হয়ে ভারতের করিমপুর কৃষ্ণনগরে প্রবেশ করেছে। এছাড়াও দৌলতপুরের প্রাগপুরে স্থলবন্দর হলে সরকার প্রতিবছর কয়েকশ কোটি টাকা রাজস্ব পাবে। একই সঙ্গে চোরাচালানও রোধ করা সম্ভব হবে।’

কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসগার আলী বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘প্রাগপুর সীমান্তে স্থলবন্দর হলে এ অঞ্চলে উন্নয়নের ধারা বয়ে যাবে। এ বন্দর দিয়ে বেনাপোলের চেয়েও পণ্য আনা-নেওয়ায় যেমন কম সময় লাগবে, তেমনই ব্যয়ও হবে অনেক কম। তাছাড়া রাজধানী ঢাকার সঙ্গে এলাকার দূরত্বও কমে যাবে অনেক।’

কুষ্টিয়া-১ (দৌলতপুর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আফাজউদ্দিন আহমেদ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘প্রাগপুর স্থলবন্দরটি চালু হলে এখানকার নদী ভাঙন কবলিত হাজারও মানুষের কাজের সুযোগ সৃষ্টিসহ ব্যবসা-বাণিজ্যের অবারিত দ্বার উন্মেচিত হবে।’

কুষ্টিয়া-১ (দৌলতপুর) আসনের সংসদ সদস্য রেজাউল হক চৌধুরী বলেন, ‘প্রাগপুর সীমান্তে স্থলবন্দর হলে দৌলতপুরসহ কুষ্টিয়ায় উন্নয়ন  হবে। এ বন্দর দিয়ে মালামাল পরিবহনের ক্ষেতে ঢাকার দূরত্ব অনেকাংশে কমে যাবে। তাই এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি এই বন্দর।’

তিনি আরও বলেন, ‘স্থলবন্দর করার মতো প্রয়োজনীয় অবকাঠামোগত সুবিধা প্রাগপুরে রয়েছে। এখানে স্থলবন্দর হলে প্রাগপুর সড়কের সঙ্গে ডাংমড়কা, হোসেনাবাদ, আল্লারদর্গা, ভেড়ামারা ও পাকশী লালনশাহ সেতু হয়ে ঢাকা পর্যন্ত মহাসড়ক হবে।’

/এসএনএইচ/

সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি আমাদের ঐক্য ও শক্তির প্রতীক: ধর্মমন্ত্রী
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি আমাদের ঐক্য ও শক্তির প্রতীক: ধর্মমন্ত্রী
হেলমেট ছাড়া পেট্রোলপাম্পে গেলে পুলিশে খবর দেওয়ার নির্দেশ
হেলমেট ছাড়া পেট্রোলপাম্পে গেলে পুলিশে খবর দেওয়ার নির্দেশ
শ্রমজীবী মানুষের জন্য আলাদা বাজেটের দাবি
শ্রমজীবী মানুষের জন্য আলাদা বাজেটের দাবি
স্বাস্থ্য সহকারী পদে লিখিত পাস করে মৌখিকে প্রক্সি দিতে এসে ধরা
স্বাস্থ্য সহকারী পদে লিখিত পাস করে মৌখিকে প্রক্সি দিতে এসে ধরা
সর্বাধিক পঠিত
অতিরিক্ত ডিআইজি মনিরুজ্জামানের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ ইসির
অতিরিক্ত ডিআইজি মনিরুজ্জামানের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ ইসির
যাত্রীর জামাকাপড় পুড়িয়ে পাওয়া গেলো সাড়ে চার কোটি টাকার স্বর্ণ
যাত্রীর জামাকাপড় পুড়িয়ে পাওয়া গেলো সাড়ে চার কোটি টাকার স্বর্ণ
দাম কমেছে সবজি-মাংসের, তবু পরিস্থিতি অস্বাভাবিক
দাম কমেছে সবজি-মাংসের, তবু পরিস্থিতি অস্বাভাবিক
সুপ্রিম কোর্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউটের স্থান পরিদর্শন প্রধান বিচারপতির
সুপ্রিম কোর্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউটের স্থান পরিদর্শন প্রধান বিচারপতির
৩০ শতাংশ বেতন বৃদ্ধির দাবি তৃতীয় শ্রেণির সরকারি কর্মচারীদের
৩০ শতাংশ বেতন বৃদ্ধির দাবি তৃতীয় শ্রেণির সরকারি কর্মচারীদের