খ্রিস্টযাগের মধ্য দিয়ে আজ বৃহস্পতিবার (২৫ অক্টোবর) শেরপুরে শুরু হচ্ছে ক্যাথলিক খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের দুই দিনব্যাপী ফাতেমা রানীর ২১ তম বার্ষিক তীর্থ। এ উপলক্ষে বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলের খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরি হয়েছে।
‘ত্যাগ, সেবা ও প্রেমের রাণী ফাতেমা রাণী, মা মারিয়া’ এই মূল সুরের ওপর শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার বারমারী সাধু লিওর খ্রিস্টান ধর্মপল্লীতে তীর্থ উৎসবের উদ্বোধনী খ্রিস্টযাগ উৎসর্গ করবেন ময়মনসিংহ খ্রিস্ট ধর্ম প্রদেশের ধর্মপাল বিশপ পনেন পৌল কুবি সিএসসি।
তীর্থ উদযাপন কমিটি সূত্রে জানা গেছে, এবারের তীর্থোৎসবে হাজারো ভক্তের অংশগ্রহণে প্রথম দিন বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টায় পুনর্মিলন ও পাপ স্বীকার, ৪টায় পবিত্র খ্রিস্টযাগ, রাত ৮টায় আলোক শোভাযাত্রা, রাত ১১টায় সাক্রান্তের আরাধনা ও রাত ১২টায় নিশী জাগরণ অনুষ্ঠান হবে। পরদিন শুক্রবার সকাল ৮টায় জীবন্ত ক্রুশের পথ ও সকাল ১০টায় মহা খ্রিস্টযাগের মাধ্যমে তীর্থোৎসবের সমাপ্ত হবে।
এ তীর্থোৎসবে খ্রিস্টভক্তরা নিজেদের পাপ মোচনে মোমবাতি জ্বালিয়ে আলোর মিছিলে অংশ নিয়ে প্রায় দেড় কিলোমিটার পাহাড়ি ক্রুশের পথ অতিক্রম করবেন। পরে তারা মাদার ম্যারির ৪২ ফুট উচু প্রতিকৃতির সামনের বিশাল প্যান্ডেলে সমবেত হয়ে ফাতেমা রানীর প্রতি শ্রদ্ধা জানাবেন ও সাহায্য প্রার্থনা করবেন।
তীর্থ উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক রেভারেন্ট ফাদার মনিন্দ্র এম চিরান বলেন, ‘এই তীর্থস্থানে প্রতিবছর তীর্থযাত্রীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। এ বছর প্রায় ৩০ হাজার তীর্থযাত্রী অংশ নেবে বলে আমরা আশা করছি। তাই তীর্থযাত্রীদের নিরাপত্তায় পুলিশ, বিজিবি, আনসার, ভিডিপি, গ্রাম পুলিশ ও স্বেচ্ছাসেবক দল সার্বক্ষণিক নিয়োজিত থাকবে। পারস্পারিক সম্প্রীতির বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে এই তীর্থযাত্রা অনুষ্ঠানকে সফল করতে সবার সহযোগিতা কামনা করি।’