বান্দরবান পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডের সাবেক কমিশনার ও পৌর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি চথোয়াইমং মারমাকে অপহরণের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে জেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। বৃহস্পতিবার (২৪ মে) বেলা সাড়ে ১১টায় বান্দরবান প্রেস ক্লাবের সামনে থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। বান্দরবানের বিভিন্ন এলাকা প্রদক্ষিণ শেষে প্রেস ক্লাবের সামনে মিছিলটি শেষ হয়। পরে সেখানে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
এতে বক্তারা বলেন, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে চথোয়াইমং মারমাকে ছেড়ে দিলে অপহরণকারীদের সহানুভূতি দেখানো হবে নতুবা তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ সময় তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বান্দরবান একটি সম্প্রীতি বন্ধনের জায়গা। এখানে কিছু পাহাড়ি সন্ত্রাসী সংগঠন একের পর এক অপহরণ, হত্যা, গুমসহ নানা ধরনের অসামাজিক কার্যক্রম করে এ সম্প্রীতি নষ্ট করছে।
এ সময় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. ইসলাম বেবী, আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য কাজলকান্তি দাশ, জেলা পরিষদের সদস্য ক্যসাপ্রু, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক লক্ষীপদ দাশ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, বুধবার (২২ মে) রাত সাড়ে নয়টার দিকে বালাঘাটার চড়ুইপাড়া এলাকা থেকে অস্ত্রের মুখে পাহাড়ি সন্ত্রাসীরা চথোয়াইমং মারমাকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। এছাড়া গত ৭ মে সন্ত্রাসীরা জনসংহতি সমিতির কর্মী বিনয় তঞ্চঙ্গ্যাকে গুলি করে হত্যা করে। অপহরণ করা হয় ফোলাধন তংচঙ্গা নামের অপর এক কর্মীকে। এখনও তার কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। গত ৯ মে সন্ত্রাসীরা জনসংহতি সমিতির সমর্থক জয় মনি তঞ্চঙ্গ্যাকে গুলি করে হত্যা করে। এছাড়া ১৯ মে বান্দরবানের রাজবিলায় আওয়ামী লীগের সর্মথক ক্য চিং থোয়াই মারমাকে (২৭) অপহরণের পর গুলি করে হত্যা করা হয়।