এশিয়ার ম্যানগ্রোভ রক্ষায় সমন্বিত আঞ্চলিক উদ্যোগ নেওয়ার কোনও বিকল্প নেই। এক্ষেত্রে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে বাংলাদেশের নেতৃত্বের ভূমিকা নেওয়া উচিৎ। কেননা এদেশে রয়েছে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ম্যানগ্রোভ বন।
সোমবার খুলনা’র হোটেল রয়্যাল ইন্টারন্যাশনালে আয়োজিত ‘চায়না-বাংলা ম্যানগ্রোভ কোঅপারেশন’ শীর্ষক এক মতবিনিময় সভায় বক্তারা এ কথা বলেন।
বাংলাদেশের ‘উপকূলীয় জীবনযাত্রা ও পরিবেশ কর্মজোট (ক্লিন)’এবং তাইওয়ানের সি ফাউন্ডেশন, দক্ষিণ কোরিয়ার ইকোপিস-এশিয়া, চীনের চায়না ম্যানগ্রোভ কনজারভেশন নেটওয়ার্ক (সিএমসিএন) ও ন্যাচার ফান এই মতবিনিময় সভার আয়োজন করে।
দৈনিক কালের কণ্ঠের খুলনা ব্যুরো প্রধান গৌরাঙ্গ নন্দীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সিএমসিএন-এর প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক লি ইউ,ন্যাচার ফান-এর প্রধান পরিচালক ই-ফেং হুয়াং, ইকোপিস-এশিয়ার চীন শাখার পরিচালক স্যাংহো পার্ক ও সি ফাউন্ডেশনের প্রকল্প কর্মকর্তা ঝৌ ইয়ান। অন্যদের বক্তৃতা করেন ক্লিন-এর প্রধান নির্বাহী হাসান মেহেদী, সিসিইস’র নির্বাহী পরিচালক মওদুদুর রহমান, সুন্দরবন একাডেমি’র পরিচালক ফারুক আহমেদ, ওয়াইল্ড টিমের কো-অর্ডিনেটর রেজভীন আক্তার, বেলা’র বিভাগীয় সমন্বয়কারী মাহফুজুর রহমান মুকুল, জনউদ্যোগ-খুলনার সদস্য সচিব মহেন্দ্রনাথ সেন, জাগ্রত যুব সঙ্ঘ (জেজেএস)-এর রিয়াদ হোসেন প্রমুখ।
চীনের ম্যানগ্রোভ সংরক্ষণে গৃহীত বিভিন্ন উদ্যোগের কথা তুলে ধরে চীনা প্রতিনিধিরা বলেন, বিগত কয়েক বছর ধরে পরিবেশ সংরক্ষণে চীন সরকারের ইতিবাচক ভূমিকা বাড়ছে। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে সরকারি দৃষ্টি অর্থনৈতিক উন্নয়নে কেন্দ্রীভূত থাকার ফলে সরকারের তুলনায় নাগরিক সংগঠনগুলোর দক্ষতা ও সক্ষমতা বেড়েছে। তাই, নাগরিক সংগঠনগুলো পরিবেশ সংরক্ষণে সরকারকে সহায়তা করতে পারছে। অপরদিকে, বাংলাদেশের সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রক্রিয়ায় সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণ থাকায় এখানকার এনজিও ও সরকারের কাছ থেকে শেখার অনেক সুযোগ আছে। তাই সরকারি যোগাযোগের পাশাপাশি বেসরকারি পর্যায়েও ম্যানগ্রোভ সংরক্ষণের অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা বিনিময় করা দরকার। মতবিনিময় সভায় অংশগ্রহণকারী প্রতিনিধিরা ভবিষ্যতে যৌথভাবে ম্যানগ্রোভ রক্ষায় ভূমিকা পালন করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
/জেবি/টিএন/