X
সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪
১৫ বৈশাখ ১৪৩১

শুকনো মৌসুমেও ভাঙন, সব হারানোর শঙ্কায় ৩ গ্রামের মানুষ

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
২২ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১১:১০আপডেট : ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১১:১৯

শুকনো মৌসুমেও ভাঙন, সব হারানোর শঙ্কায় ৩ গ্রামের মানুষ

এখন শীতকাল। নদীতে স্রোত নেই, পানিও কম। তারপরও ভাঙছে ধরলা। আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন তিন গ্রামের মানুষ। নদীর পাড়ে জড়ো হয়ে তাই সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন তারা। ভাঙন রোধে এখনই পদক্ষেপ না নিলে আগামী বর্ষা মৌসুমে নদীতে বিলীন হয়ে যাওয়ার শঙ্কা করছেন তারা।    

বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সরেজমিনে মোগলবাসা ঘাটে গিয়ে দেখা যায়- শিক্ষার্থী, স্থানীয় বাসিন্দা ও জনপ্রতিনিধিরা ধরলা নদীর ভাঙনের ওপর দাঁড়িয়ে সংবাদকর্মীদের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করছেন।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, গত এক মাস ধরে সদর উপজেলার মোগলবাসা ইউনিয়নের কিসামত, কিসামত মোগলবাসা ও সিতাইঝাড় গ্রামে প্রায় পাঁচ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে নদী ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে। ইতোমধ্যেই কয়েকশ’ ঘর-বাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। ভাঙনের হুমকিতে পড়েছে তিন গ্রামের পাঁচ শতাধিক ঘর-বাড়ি, বিদ্যালয়, উচ্চ বিদ্যালয়, প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাদ্রাসা, মসজিদ ও মন্দির, ঐতিহ্যবাহী মোগলবাসা হাট, ইউনিয়ন পরিষদ ভবনসহ বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান।

শুকনো মৌসুমেও ভাঙন, সব হারানোর শঙ্কায় ৩ গ্রামের মানুষ

তারা আরও জানান, গত এক বছরের মধ্যে এক কিলোমিটার দূরে থাকা ধরলা নদী ভাঙতে ভাঙতে এখন পানি উন্নয়ন বোর্ডের তীর রক্ষা বাঁধের একেবারেই কাছে চলে এসেছে।

এই অবস্থায় ভাঙন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কোনও পদক্ষেপ না থাকায় স্থানীয় বাসিন্দারা নিজ উদ্যোগে বাঁশের বান্ডেল দিয়ে ভাঙন রোধের চেষ্টা অব্যাহত রাখলেও তা কোনও কাজে আসছে না।

মোগলবাসা দ্বি-মুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আব্দুল হাই জানান, আমার বিদ্যালয়ে ১২শ’ শিক্ষার্থী। নদী বিদ্যালয়ের সন্নিকটে চলে এসেছে। এখনই ভাঙন রোধে ব্যবস্থা না নিলে আগামী বর্ষা মৌসুমের আগেই বিদ্যালয় নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাবে। তখন এই বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থীকে নিয়ে কোথাও যাওয়ার উপায় থাকবে না।

মোগলবাসা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. নুরুজ্জামান বাবলু জানান, ধরলার ভাঙনে ইতোমধ্যে মোগলবাসা ইউনিয়নের বেশকিছু পরিবার গৃহহীন হয়ে পড়েছে। এভাবে ভাঙতে থাকলে শুকনো মৌসুমেই আরও বেশকিছু ঘর-বাড়ি, জমিসহ বিভিন্ন স্থাপনা নদীগর্ভে বিলীন হবে। আমি দ্রুত এই ভাঙন রোধে সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি।

এ ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফুল ইসলাম জানান, মোগলবাসার ইউনিয়নের ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করে জরুরি ভিত্তিতে অস্থায়ী প্রতিরোধের জন্য অর্থ বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। বরাদ্দ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ধরলার ভাঙন রোধে ওই এলাকায় অস্থায়ীভাবে কাজ শুরু করা হবে। এছাড়াও ধরলার ডান তীর রক্ষা প্রকল্প নামে স্থায়ী প্রতিরোধের জন্য একটি প্রকল্প একনেকে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। এই প্রকল্পটি পাশ হলে মোগলবাসাসহ ধরলার ভাঙন কবলিত এলাকাগুলোতে স্থায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা সম্ভব হবে।

 

/এএইচ/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
মাড় ফেলে ভাত রান্না হলে ‘১৫ ভাগ অপচয় হয়’
মাড় ফেলে ভাত রান্না হলে ‘১৫ ভাগ অপচয় হয়’
শরীরের তাপ কমায় এই ৮ খাবার
শরীরের তাপ কমায় এই ৮ খাবার
বন ও বনভূমি রক্ষায় কর্মকর্তাদের নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করতে হবে: পরিবেশমন্ত্রী
বন ও বনভূমি রক্ষায় কর্মকর্তাদের নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করতে হবে: পরিবেশমন্ত্রী
মোনাকোর হারে লিগ ওয়ান চ্যাম্পিয়ন পিএসজি
মোনাকোর হারে লিগ ওয়ান চ্যাম্পিয়ন পিএসজি
সর্বাধিক পঠিত
ভূমি ব্যবস্থাপনায় চলছে জরিপ, যেসব কাগজ প্রস্তুত রাখতে হবে
ভূমি ব্যবস্থাপনায় চলছে জরিপ, যেসব কাগজ প্রস্তুত রাখতে হবে
এমন আবহাওয়া আগে দেখেনি ময়মনসিংহের মানুষ
এমন আবহাওয়া আগে দেখেনি ময়মনসিংহের মানুষ
‘হিট অফিসার’: পদ কীভাবে নেতিবাচক হয়ে ওঠে
‘হিট অফিসার’: পদ কীভাবে নেতিবাচক হয়ে ওঠে
স্কুলে আসার আগেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন শিক্ষক
স্কুলে আসার আগেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন শিক্ষক
প্রাথমিক বাদে সোমবার ৫ জেলার সব স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা বন্ধ
প্রাথমিক বাদে সোমবার ৫ জেলার সব স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা বন্ধ